উঠে গেল যোজনা আয়োগ। গত মে মাসে গদিতে বসার পর ঋণদানি এই আয়োগের ঝাঁপ বন্ধ করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেনি নয়া কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় রাজ্যগুলির ভূমিকা জোরদার করার সদিচ্ছাতেই এই পদক্ষেপ। পূর্বজের তুলনায় নীতি আয়োগে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের বক্তব্য বেশি গুরুত্ব পাবে। তবে আদত বদল আসবে কেন্দ্র থেকে রাজ্য তহবিল হস্তান্তরের ধরনধারণে। এ জন্য রাজ্যের ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। সেই সঙ্গে তাদের দায়বদ্ধতাও। কেন্দ্র-রাজ্য হস্তান্তরে স্বচ্ছতা, নজরদারি ও মূল্যায়ন ব্যবস্থার উন্নতি চাই। অযথা কালক্ষেপ নয়, ঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। জটিলতা দূর করে গোটা ব্যবস্থাটা হবে সহজসরল। এ সব মৌল পরিবর্তন ছাড়া, ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
উঁচু থেকে নিচুতে তহবিল হস্তান্তর যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদত। করের মাধ্যমে টাকাকড়ি জোগাড়ে কেন্দ্রের সুযোগ ঢের বেশি। আর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন কাজে টাকাখরচে রাজ্য ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে থাকার কথা। দেশে করব্যবস্থার এলেম বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চলছে লাগাতার। এ কাজে সাফল্য এসেছে। তবে ব্যয় ও কেন্দ্র থেকে রাজ্য তহবিল জোগানের ক্ষেত্রে এখনও অনেক সংস্কার বাকি। জেলা পরিষদ, পুরসভার মতো স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে খরচখরচা এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়েও একই কথা খাটে।
হস্তান্তরের ক্ষেত্রে, রাজ্য সরকারের প্রান্তিক ব্যয়ে ভর্তুকি ব্যবস্থায় যৌথ ভাণ্ডারের সমস্যা (কমন পুল প্রবলেম) অর্থাৎ টানাটানি থেকে যায়। ঝিল থেকে এক জন মৎস্যজীবী মাছ ধরলে ঠিক আছে। কিন্তু দলে দলে মৎস্যজীবী ঝাঁপিয়ে পড়লে যেমন সমস্যার সৃষ্টি হয়, তেমনই আর কী! ঘাটতি পূরণজনিত হস্তান্তর এই অদক্ষ ব্যবস্থার এক নমুনা। পক্ষান্তরে, কিছু হস্তান্তরে গ্রহীতা রাজ্য সরকারের প্রান্তিক ব্যয় প্রভাবিত হয় না। ফল অর্থনীতি অধিকৃত থাকে। এখানে একটি বিষয়ে পার্থক্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকে রাজ্য সরকারের রাজস্ব ক্ষমতা বৃদ্ধি। আবার অনেক সময় রাজ্য ও দেশের মঙ্গলের মধ্যে চলে টানাপোড়েন।
ব্যারি ওয়াইনগাস্ট এবং তাঁর সহলেখক (যেমন ক্যারিগা ও ওয়াইনগাস্ট ২০০১) উন্নয়নশীল দেশের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন। যেমন, রাজস্ব ক্ষমতা ও ভাগাভাগি পদ্ধতি পরিচালনা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশজনিত প্রভাব। কিছুটা অতি সরলীকরণের ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রসঙ্গ বা বিষয়গুলি দুই প্রস্তে ভাগ করতে পারি। স্ট্যান্ডার্ড পাবলিক ফিনান্সে রাজ্যগুলির এক্তিয়ারভুক্ত আয় জানা, এটা ধরে নিয়ে ট্যাক্স অ্যাসাইনমেন্ট এবং হস্তান্তরের ইনসেনটিভের দিক দেখা হয়। আর বিকাশ প্রেক্ষিতটি বা গ্রোথ পার্সপেক্টিভ আয় বাড়ানোর জন্য (যেমন সরকারি বা বেসরকারি লগ্নি মারফত) ইনসেনটিভে কর ও হস্তান্তর ব্যবস্থার প্রভাব খতিয়ে দেখে।
ক্যারিগা ও ওয়াইনগাস্ট (২০০১) একটি মডেল ব্যবহার করেছেন যাতে সরকারের নীতি নির্ধারকরা করভিত্তির চৌহদ্দি বাড়াতে পারেন। বিকাশবৃদ্ধিকারী যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্যের প্রান্তিক রিটেনশনের হার বেশি। ভারতের ক্ষেত্রে এই যুক্তি অর্থ আয়োগের (ফিনান্স কমিশন) হস্তান্তর সূত্র সংশোধনে সমর্থন করতে পারে। এমনকী বিভিন্ন স্তরের সরকারের কর বসানোর এক্তিয়ার হেরফেরের মাধ্যমে উঁচু থেকে নীচে সম্পদ হস্তান্তরের মাত্রা কমানো যায়। ভারতে হস্তান্তরের অন্যান্য মাধ্যমের ভূমিকা ও বিধিব্যবস্থা নিয়ে নতুন ভাবে ভাবনাচিন্তা করার খোরাক মেলে এতে।
অর্থ আয়োগ, যোজনা আয়োগ (এখন এর উত্তরাধিকারী নীতি আয়োগ) ও মন্ত্রকগুলির মাধ্যমে কেন্দ্র রাজ্য হস্তান্তরের দিকটি এক সংযুক্ত কাঠামোর মধ্যে দেখার দিকে জোর দিয়েছেন সিং ও শ্রীনিবাসন (২০১৩)। ভারতের রাজস্ব যুক্তরাষ্ট্রিকতা নিয়ে আলোচনায় এ বিষয়টি বারংবার উঠে আসছে। বেশি কচকচির মধ্যে না ঢুকে সাদামাটা ভাবে বলা যায়, হস্তান্তর তিন কিসিমের --- অর্থ আয়োগের দ্বারা নির্ধারিত চলতি রাজস্ব, লগ্নির জন্য মূলধন হস্তান্তর (আগে এটা ছিল যোজনা আয়োগের গণ্ডি), কেন্দ্রের অর্থানুকূল্যে চলা বা স্পনসরড প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলি চালানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্ঘাত বাধার উপক্রম হত। বরাদ্দ আর খরচের হিসাবনিকেশ নিয়ে ঘটত মতপার্থক্য।
সিং ও শ্রীনিবাসনকে (২০১৩) অনুসরণ করে এখনও সওয়াল করা যায় --১) কেন্দ্রের অর্থানুকূল্যে চলা প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ ও পরিচালন ব্যয়ের সম্পূর্ণ ভার কেন্দ্র নিক। এ সব প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব কেন্দ্র বা রাজ্য, যার হাতেই থাক না কেন, এখন এ সব প্রকল্পে বিনিয়োগ খাতে খরচের আংশিক জোগায় কেন্দ্র। আর পরিচালন ব্যয় বহন করে একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। এর ফলে প্রকল্প শুরু হয়। সম্পন্নও হয়। কিন্তু এক সময় পরিচালন ব্যয় রাজ্যের কাঁধে চাপলে প্রকল্পের সদ্ব্যবহার পুরোপুরি হয় না। কারণ টাকা জোগাতে রাজ্যের ব্যর্থতা। কেন্দ্র টাকাকড়ির সব দায়িত্ব নিলে এই অপচয় রোখা যাবে। ২) কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের জন্য সরকারি বিনিয়োগ তহবিলের কাজ করবে নীতি আয়োগ। এর শেয়ারগ্রহীতা হবে কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আর্থসামাজিক লাভালাভ এবং অর্থসংস্থানের সম্ভাব্যতা তহবিল খতিয়ে দেখবে।
তবে, নিজের ভূমিকা প্রসারিত করে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রিকতার অন্যান্য বহু বিন্যাস বা কাঠামো নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে নীতিআয়োগকে। ওয়াইগাস্ট (১৯৯৩) মার্কেট প্রিজারভিং ফেডারেলিজম (বাজারে একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কতখানি হস্তক্ষেপ করতে পারে তার সীমা)-এর ধারণা প্রবর্তন করেন। ধারণাটি পাঁচটি বিষয় বা শর্ত দিয়ে বোঝা যায় --- ১) নীচে থেকে উপর পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিভিন্ন স্তরের সরকার (যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তি), ২) স্থানীয় অর্থনীতির মূল কর্তৃত্ব আঞ্চলিক সরকারের, ৩) জাতীয় সরকারের এক্তিয়ারে থাকবে এক সাধারণ জাতীয় বাজার, ৪) আঞ্চলিক সরকারের বাজেটে কঠোর কড়াকড়ি, ৫) রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রাতিষ্ঠানিক বণ্টন। আগে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রের ধারণায় (হুইয়ার ১৯৫৩) জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারের এক সঙ্গে কাজ করা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক কর্তৃত্ব থেকে পারস্পরিক মঙ্গলের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। একই ভাবে রাইকার (১৯৬৪)-এর চিন্তাভাবনায় যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পক্ষে সাংবিধানিক আদানপ্রদান বা দরকষাকষি। এক বিকল্প ধারণায় জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতাজনিত সুফলের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক ও আমলাতন্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম হওয়ায় গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে কিছু অন্তরায় সৃষ্টি হয়। সেগুলিকে দূর করার জন্য জনগণের সচেতনতা তৈরির ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন।
নিজেদের এলাকার স্বার্থে কাজ করতে রাজনৈতিক নেতাদের উৎসাহ দিলে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তাতে দক্ষতা বাড়ে (টাইব্রাউট ১৯৫৬, ব্রেনান ও বুকানন১৯৮০, ব্রেটন ১৯৯৫)। ব্রেটন আরও লক্ষ্য করেছেন, সরকারগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ঠেলে দিতে পারে অসমতার দিকে। তাঁর মতে লাগামছাড়া প্রতিযোগিতা সব সময় শ্রেয় নয়। মার্কেট প্রিজারভিং ফেডারেলিজম (এমপিএফ) মাথা ঘামায় প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রিকতা নিয়ে। তবে নানা ভাবে, বিশেষত তৃতীয় ও চতুর্থ শর্তের বেলায় এর গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। সেই সঙ্গে তৃতীয় শর্তটি ছাড়া এই ধারণা ব্রেটনের চেয়ে প্রতিযোগিতার বিষয়ে বেশি আশাবাদী। বাজারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণক্ষমতার রাশ টানা ও বিকেন্দ্রীকরণ এটায় জোর দেয়। সিং (২০০৮) ভারত ও চিনে এ সব ধারণার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের মতো যু্ক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় শাসনের উৎকর্ষ বা মানের সাধারণ ইস্যুগুলি সরকারের শ্রেণি বিভাগের বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলির সঙ্গে জড়িত। এমপিএফের বক্তব্য, সুশাসন আছে ধরে নিলে বাজারে সরকারের আনাড়ি হস্তক্ষেপে লাগাম কষা দরকার। আর এর জন্য যথোপযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রচলিত রীতিনীতি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাজারমুখী সংস্কারের বিষয়ে শাসনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট বিকেন্দ্রীকরণ অনুপূরক হতে পারে। এই সংস্কার সরকার ও বাজারের মধ্যে সীমারেখা নতুন করে টানে।
ভারতে শাসনের এক মৌল সমস্যা হচ্ছে দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত। কেউ বলতেই পারেন (রাও এবং সিং ২০০৩) যে, ভারতের কেন্দ্রীকৃত গতানুগতিক দায়বদ্ধতা ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। এখানে এই ব্যবস্থা চলে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও খবরদারিতে। শাসনক্ষমতা বাড়ানোর উপায় হিসেবে আঞ্চলিক স্তরে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা আরও বেশি কার্যকর হওয়ার মতো শক্তপোক্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।
বাজারের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সরকারের ক্ষমতায় সঠিক গণ্ডি বেঁধে দেওয়ার দিকে এমপিএফ জোর দিয়েছে। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ কিন্তু উচ্চ স্তরে যাবতীয় সরকারি তত্ত্বাবধান হটানোর কথা বলে না। জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলজনক কিছু অধিকারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ এড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক স্তরের সে সংক্রান্ত ব্যবস্থার দিকে নজর দিতেই পারে। কিন্তু সরকারি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ মানে এ নয় যে তা স্থানীয় হোমরাচোমরারা কুক্ষিগত করে ফেলবে। বঞ্চিত হবে অন্যরা। স্বাধীনতার পর এমনটিই আশঙ্কা ছিল। সিং ও শ্রীনিবাসন (২০১৩) শাসনে এ হেন উন্নতির সম্ভাবনাকে গভর্ন্যান্স এনহান্সিং ফেডারেলিজম (জিইএফ)—শাসনের মানোন্নয়নকারী যুক্তরাষ্ট্রিকতা আখ্যা দিয়েছেন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে নতুন নীতি আয়োগকে সতর্কতার সঙ্গে নিজের ভূমিকা ঠিক করতে হবে। দেখতে হবে নেহাত দরকার ছাড়া ভারতের অর্থনীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ যেন করা না হয়। আয়োগ আঞ্চলিক সরকারের করক্ষমতা, সরকারি ব্যয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, যথাসম্ভব বিকেন্দ্রীকরণ এবং কেন্দ্র থেকে আঞ্চলিক সরকারের কাছে হস্তান্তরের বিষয় সংহত ও সুষ্ঠু করতে ফের চিন্তাভাবনা করার গোড়াপত্তন করতে পারে। এই ধারণামূলক সংস্কার কর্মসূচি উচ্চাকাঙ্খী। কিন্তু অর্থনৈতিক বিকাশবৃদ্ধি ও শাসনের মানোন্নয়নে তা খুবই কাজে লাগবে।।
যুক্তরাষ্ট্রিকতাকে সফল করতে শুধুমাত্র কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের শাসনক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ যথেষ্ট নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে রাজনীতি ও অর্থনীতির মিশেল থাকবেই। স্থায়ী আর্থিক বিকাশের জন্য দেশে যে সত্যিকারের রাজস্ব যুক্তরাষ্ট্রিকতার প্রয়োজন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ কাজে অধুনালুপ্ত যোজনা আয়োগের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। অধুনা নীতি আয়োগ। অর্থনৈতিক বিকাশের মানোন্নয়নে নীতি আয়োগ কী ভূমিকা নেবে তার পুরোটা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে বিকেন্দ্রীকৃত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির ভূমিকাকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং বাজার ব্যবস্থাকে সুস্থিতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা সর্বজনগ্রাহ্য। সম্প্রতি নীতি আয়োগের প্রাণবন্ত প্রথম বৈঠকই তার প্রমাণ।
সূত্র : যোজনা, ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/19/2020