ওজন কমাতে বেরিয়াট্রিক সার্জারি করিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে মেডিক্লেমের টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল এক সরকারি বিমা সংস্থা। দু’বছর ধরে মামলা চলার পরে ওই বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে কলকাতার ক্রেতা-সুরক্ষা আদালতের ইউনিট-১ শাখা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে নিউ আলিপুরের বাসিন্দা মীনাক্ষি লাহাকে মেডিক্লেমের ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বিমা সংস্থাকে। কোর্ট তার রায়ে বলে, বিমা সংস্থা এ ক্ষেত্রে আইন মেনে কাজ করেনি। মেডিক্লেমের টাকা ছাড়াও আদালত মামলা চালানোর খরচ বাবদ গ্রাহককে ৫ হাজার টাকা এবং গ্রাহকের যে হেনস্থা হয়েছে, তার জন্য আরও ২০ হাজার টাকা ওই সংস্থাকে তিরিশ দিনের মধ্যে দিতে বলেছে।
মীনাক্ষিদেবীর অস্ত্রোপচার হয়েছিল মিন্টো পার্কের এক নার্সিংহোমে। তাঁর চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তীর কথায়, “অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড মারাত্মক বেড়ে গিয়েছিল মীনাক্ষিদেবীর। হাঁটাচলা করতে পারতেন না। ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যেত। এই ধরনের রোগীর প্রাণসংশয় হতে পারে। তখন অস্ত্রোপচার করে তাঁর পাকস্থলীর একটা অংশ বাদ দেওয়া হয়, যাতে খিদে উদ্রেককারী হরমোন ক্ষরণ কমে।” কিন্তু বিমা সংস্থা দাবি করে, এটি ‘কসমেটিক সার্জারি।’ না-করলেও রোগীর ক্ষতি হবে না। তাই টাকা দেওয়া হবে না। তাদের দাবি ভুল প্রমাণিত হল ক্রেতা-সুরক্ষা আদালতের রায়ে।”
মীনাক্ষিদেবীর অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিমা সংস্থার কাজকর্মের উপরে নজরদারির জন্য গঠিত ‘ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (আইআরডিএ) কর্তারাই জানিয়েছেন, অনেক গ্রাহক মেডিক্লেমের পাওনা টাকার জন্য নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। এই রকম অজস্র অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়ছে।
যেমন, বুকে সর্দি বসে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল দুর্গানগরের বাসিন্দা দু’বছরের অনুভার। অক্টোবরের শেষে তাকে বেলেঘাটা মোড়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনুভার বাবা রঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিন বিমা সংস্থার নিযুক্ত ‘থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ (টিপিএ) জানান, অনুভার ‘রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশন’ ক্রনিক সমস্যা। তাই এর চিকিৎসার টাকা মেটানো হবে না।
আইআরডিএ-র কর্তারা জানান, অনেক সময়ে কেমোথেরাপি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ ও খরচসাপেক্ষ চিকিৎসাকে ‘ডে কেয়ার ট্রিটমেন্ট’ দেখিয়ে মেডিক্লেমের টাকা আটকে দেওয়া হয়। আবার রোগী যে রোগের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই তার খরচ দিতে বিমা সংস্থা বেঁকে বসে। তখন সেই চিকিৎসার খরচ গ্রাহককে পকেট থেকে মেটাতে হয়। অনেক সময়ে আবার ‘রুম রেন্ট ক্যাপিং’ এবং ‘প্রোপোরশনেট ডিডাকশন’ নামে কিছু নিয়মের মাধ্যমে গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলা হচ্ছে।
আইআরডিএ-র এক কর্তা জানান, পলিসির টাকার অঙ্ক অনুসারে কোন গ্রাহক হাসপাতালের কত টাকার ঘরে থাকতে পারেন, তা ঠিক করা থাকে। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির সময় এ ব্যাপারে গ্রাহককে ভাল ভাবে বোঝায় না বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা। ফলে অনেক রোগী প্রাপ্য ঘরের থেকে বেশি দামের ঘরে ভর্তি হয়ে যান। ছাড়া পাওয়ার সময়ে সেই ঘরভাড়া বাবদ মোট বিলের উপর ৬৭ শতাংশ টাকা কেটে নেয় বিমা সংস্থাগুলি। ফলে বাকি বিপুল টাকা রোগীকে মেটাতে হয়।
সরকারি বিমা সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স কোম্পানির এক মুখপাত্রের কথায়, “সেই ক্লেমই বাতিল হয় যার মধ্যে প্রকৃত গোলমাল থাকে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কম্পিউটরে সব রেকর্ড থাকে। গ্রাহককে ফাঁকি দেওয়া অত সহজ নয়। ১০০টা ক্লেম-এর মধ্যে ৯৫টিরই টাকা দেওয়া হয়। এক-দু’টি ক্ষেত্রে টিপিএ-দের গাফিলতিতে ন্যায্য প্রাপ্য আটকে যায়।” ইউনাইটেড ইনসিওরেন্সের এক কর্তার দাবি, “অনেক এজেন্ট মেডিক্লেম করার সব শর্তাবলী গ্রাহককে স্পষ্ট করে বলেন না। পরে টাকা বাতিল হলে তাঁরা বিমা সংস্থার উপরে দোষ চাপান।” ইউনাউটেড ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্সের এক কর্তার দাবি, “কিছু গ্রাহক অন্যায্য দাবি করেন। যে ধরনের অসুস্থতায় বিমার টাকা মিলবে না বলে ঘোষণা করা থাকে, সেগুলির জন্যই টাকা দাবি করেন। তা না-পেলে বিমা সংস্থাকে দুর্নীতিবাজ বলে গালিগালাজ করেন।”
আইআরডিএ-র অন্যতম সদস্য আর কে নায়ারের কথায়, “আমরা বারংবার প্রচার করছি, মেডিক্লেম করানোর সময় গ্রাহকেরা যেন পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়মকানুন জেনে তবে করেন। তার পরেও সমস্যা হলে আইআরডিএ-র কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ মার্চ ২০১৫
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
প্রথম কোন্ দেশে উপভোক্তা অধিকারের বিল পাশ হয় ? |
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ( ইউএসএ ) |
২ . |
যে প্রেসিডেন্ট উপভোক্তা অধিকারের বিল উত্থাপন করেন তাঁর নাম কী ? |
প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি । |
৩ . |
কোন সনে উপভোক্তা অধিকার বিল পেশ করা হয় ? |
১৯৬২ |
৪ . |
আমেরিকার কংগ্রেসে কোন তারিখে উপভোক্তা অধিকারের বিল গৃহীত হয় ? |
১৫ মার্চ |
৫ . |
উপভোক্তা অধিকারের বিলে উপভোক্তাকে কতগুলি অধিকার দেওয়া হয় ? |
চারটি |
৬ . |
অধিকারগুলি কী কী ? |
( ক ) নিরাপত্তার অধিকার । ( খ ) তথ্যের অধিকার । ( গ ) প্রতিযোগিতামূলক দামে অনেক জিনিসের মধ্যে বাছাইয়ের অধিকার । ( ঘ ) উপভোক্তা বিষয়ক সরকারি নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে শুনানির অধিকার। |
৭ . |
উপভোক্তা অধিকারের বিলে চারটি অধিকারের সঙ্গে কে আরেকটি অধিকার যোগ করেন ? |
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড। |
৮ . |
অতিরিক্ত অধিকারটি কী ? |
উপভোক্তা শিক্ষার অধিকার। |
৯ . |
কোন সনে উপভোক্তা শিক্ষার অধিকারকে যুক্ত করা হয় ? |
১৯৭৫ |
১০ . |
ভারতবর্ষে উপভোক্তা সুরক্ষা আইন (Consumer Protection Act 1986) কবে চালু হয় ? |
২৪ ডিসেম্বর , ১৯৮৬ |
১১ . |
উপভোক্তা সুরক্ষা আইন , ১৯৮৬ তে (Consumer Protection Act 1986) উপভোক্তাকে কতগুলি অধিকার দেওয়া হয় ? |
ছয়টি |
১২
|
অধিকারগুলি কী কী ? |
১ ) জীবন ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বস্তুর বিপণনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার অধিকার। ২ ) পণ্যের গুণমান , পরিমাণ , শুদ্ধতা , মান এবং দামের সম্পর্কে তথ্যের অধিকার। ৩ ) প্রতিযোগিতামূলক দামে বিভিন্ন রকম পণ্যের মধ্যে থেকে বাছাইয়ের অধিকার। ৪ ) শুনানির অধিকার। ৫ ) প্রতিকার লাভের অধিকার। ৬ ) উপভোক্তা শিক্ষার অধিকার। |
১৩ . |
উপভোক্তা সুরক্ষা আইন , ১৯৮৬ (Consumer Protection Act 1986) অনুযায়ী উপভোক্তা কে ? |
যিনি ব্যবহারের জন্য পণ্য বা পরিষেবা কেনেন বা ভাড়া করেন। ( বাণিজ্যিক কারণে নয় ) । |
১৪ . |
কোনও ব্যক্তি ব্যবসায়িক কারণে কোনও জিনিস বা পরিষেবা কিনলেও তিনি কোন ক্ষেত্রে উপভোক্তা হিসেবে গণ্য হবেন ? |
স্ব - নিযুক্তি প্রকল্পে শুধুমাত্র নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনও ব্যবসা করলে। |
১৫ . |
কোন ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি স্ব - নিযুক্তি প্রকল্পে ব্যবসার জন্য কোনও জিনিস কিনলেও তিনি উপভোক্তা হিসেবে গ্রাহ্য হবেন না ? |
যদি আবার বিক্রির জন্য তা কেনা হয়। |
১৬ . |
কোন ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বিনামূল্যে পরিষেবা পেলেও তাকে উপভোক্তা হিসেবে গণ্য করা হবে ? |
সুবিধাভোগী (Beneficiary) |
১৭ . |
কোন ক্ষেত্রে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ( স্ব - নিযুক্তি প্রকল্পে নয় ) উপভোক্তা হিসেবে গণ্য করা হবে ? |
যদি কেনাকাটা বা ভাড়া করাটা শুধুমাত্র ব্যবহারের জন্য হয়। |
১৮ . |
কোন দিনটি ভারতে জাতীয় উপভোক্তা দিবস হিসেবে পালিত হয় ? |
২৪ ডিসেম্বর। |
১৯ . |
কোন দিনটি বিশ্ব উপভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয় ? |
১৫ মার্চ। |
২০ . |
কোন দিনটি বিশ্ব মানক দিবস রূপে পালিত হয় ? |
১৪ অক্টোবর। |
২১ . |
কত টাকার কেনা - বেচার ক্ষেত্রে রসিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক ? |
৫০ টাকার বেশি। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
উপভোক্তা বিরোধ মীমাংসা কর্তৃপক্ষ |
||
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
উপভোক্তা সুরক্ষা আইন , ১৯৮৬ - তে উপভোক্তা অভিযোগ প্রতিকার করার ক্ষমতা কাকে দেওয়া হয়েছে ? |
উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম / কমিশন। |
২ . |
উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম / কমিশন কী ? |
উপভোক্তা সুরক্ষা আইন , ১৯৮৬ অনুযায়ী গঠিত প্রায় কার্যত বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা যা স্বল্প খরচে সহজে এবং দ্রুত প্রতিকার সাধন করে। |
৩ . |
উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম / কমিশনের কাছ থেকে প্রতিকার পেতে গেলে উপভোক্তাদের কী করতে হবে ? |
উপযুক্ত ফোরাম / কমিশনে অভিযোগ দাখিল করতে হবে। |
৪ . |
উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম / কমিশনে অভিযোগ দাখিল করতে কত টাকা ফি দিতে হয় ? |
দাবির পরিমাণ অনুযায়ী ১০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ফি লাগে। |
৫ . |
কোন শ্রেণীর উপভোক্তাদের একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কোনও ফি দিতে হয় না ? |
অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা কার্ডধারী দারিদ্রসীমার নীচের শ্রেণি । |
৬ . |
এ ক্ষেত্রে দাবির পরিমাণ সর্বাধিক কত টাকা পর্যন্ত হলে ফি দেওয়া থেকে ছাড় পাওয়া যায় ? |
এক লক্ষ টাকা। |
৭ . |
অন্যান্য শ্রেণির উপভোক্তাদের দাবির পরিমাণ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে কত টাকা ফি দিতে হবে ? |
১০০ টাকা। |
৮ . |
দাবির পরিমাণ এক লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কত ফি লাগে ? |
২০০ টাকা। |
৯ . |
দাবির পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু দশ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কত ফি লাগে ? |
৪০০ টাকা। |
১০ . |
দাবির পরিমাণ দশ লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু কুড়ি লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কত ফি লাগে ? |
৫০০ টাকা। |
১১ . |
রাজ্য কমিশনে অভিযোগ দাখিল করতে গেলে যদি দাবির পরিমাণ কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মধ্যে হয় , তবে কত ফি লাগে ? |
২০০০ টাকা। |
১২ . |
দাবির পরিমাণ পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু এক কোটি টাকার মধ্যে হলে কত ফি লাগে ? |
৪০০০ টাকা। |
১৩ . |
জাতীয় কমিশনে অভিযোগ দাখিল করতে হলে কত ফি লাগে ? |
৫০০০ টাকা। |
১৪ . |
উপভোক্তা সুরক্ষা আইন , ১৯৮৬ অনুযায়ী কে বা কারা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন ? |
উপভোক্তা , স্বেচ্ছাসেবী উপভোক্তা সংস্থা ( ভিসিও ), একই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক উপভোক্তা সংঘবদ্ধভাবে এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। |
১৫ . |
উপভোক্তা ফোরামে কত দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হয় ? |
দু’বছর । |
১৬ . |
কোন দিন থেকে এই সময়সীমা হিসেব করা হয় ? |
অভিযোগের কারণ ঘটার দিন থেকে। |
১৭ . |
দায়ের করা কোনও অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা সে ব্যাপারে কত দিনের মধ্যে ফোরাম সিদ্ধান্ত জানাবে ? |
২১ দিন। |
১৮ . |
উপভোক্তা ফোরাম সাধারণত কত দিনের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন ? |
তিন মাস। |
১৯ . |
যেখানে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেখানে ফোরাম কত দিনের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন ? |
পাঁচ মাস। |
২০ . |
এই সময়সীমা কোন দিন থেকে ধরা হয় ? |
বিরুদ্ধ পক্ষ নোটিশ গ্রহণের দিন থেকে। |
২১ . |
উপভোক্তারা কোন জেলা ফোরামে তাদের অভিযোগ জানাবেন ? |
যে জেলায় বিরুদ্ধ পক্ষের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ অথবা বাসস্থান। |
২২ . |
কী ধরনের কাগজে অভিযোগ দাখিল করতে হবে ? |
সাদা কাগজে। |
২৩ . |
কত কপি অভিযোগপত্র জমা দিতে হয় ? |
ফোরামের জন্য তিন কপি এবং প্রত্যেকটি বিরুদ্ধ পক্ষের জন্য অতিরিক্ত একটি করে কপি। |
২৪ . |
অভিযোগ করার জন্য কি কোনও নির্দিষ্ট প্রোফর্মা আছে ? |
না। |
২৫ . |
অভিযোগপত্রে কী কী তথ্য থাকা আবশ্যিক ? |
( ১ ) অভিযোগকারীর পুরো নাম ও ঠিকানা । ( ৫ ) ক্ষতির প্রকৃতি। ( ২ ) বিরুদ্ধ পক্ষের পুরো নাম ও ঠিকানা । ( ৬ ) অভিযোগের কারণ ঘটার তারিখ। ( ৩ ) পণ্য অথবা পরিষেবার বিবরণ। ( ৭ ) কী প্রতিকার চান। ( ৪ ) ক্রয়ের অথবা ভাড়ার প্রমাণ পত্র। |
২৬ . |
কী ধরনের প্রতিবিধান পাওয়া যায় ? |
( ১ ) পণ্য / পরিষেবার ত্রুটি / ঘাটতি দূর করা। ( ২ ) জিনিসটি বদলে দেওয়া। ( ৩ ) মূল্য ফেরত । ( ৪ ) বিরুদ্ধ পক্ষের গাফিলতির বা পণ্যের ত্রুটির জন্য উপভোক্তার ক্ষতি বা হয়রানি বাবদ ক্ষতিপূরণ। ( ৫ ) অসাধু ব্যবসায় বা নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ। ( ৬ ) ক্ষতিকর জিনিসের বিপণন বন্ধ করা। ( ৭ ) বাজার থেকে ক্ষতিকর জিনিস প্রত্যাহার। ( ৮ ) ক্ষতিকর জিনিস তৈরি বন্ধ করা এবং ক্ষতিকর পরিষেবা প্রত্যাহার করা। |
২৭ . |
অভিযোগ দাখিল করতে কি উকিল লাগে ? |
বাধ্যতামূলক নয়। |
২৮ . |
ফোরামে অভিযোগ কে উপস্থাপনা করবেন ? |
অভিযোগকারী নিজে অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধি। |
২৯ . |
জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামে অভিযোগ করার সর্বাধিক আর্থিক সীমা কত ? |
২০ লক্ষ টাকা। |
৩০ . |
দাবি যদি ২০ লক্ষ টাকার বেশি হয় তবে উপভোক্তা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
রাজ্য উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে। |
৩১ . |
রাজ্য উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে অভিযোগ জানানোর আর্থিক সীমা কত ? |
এক কোটি টাকা। |
৩২ . |
দাবির পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি হয় তবে উপভোক্তা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
জাতীয় উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে। |
৩৩ . |
জেলা ফোরামের আদেশের বিরুদ্ধে উপভোক্তা কোথায় আপিল করবেন ? |
রাজ্য উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে। |
৩৪ . |
রাজ্য কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে কোথায় আপিল করবেন ? |
জাতীয় উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে। |
৩৫ . |
জাতীয় কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে কোথায় আপিল করবেন ? |
সুপ্রিম কোর্টে। |
৩৬ |
জেলা ফোরামের আদেশের বিরুদ্ধে কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় ? |
ত্রিশ দিন। |
৩৭ . |
রাজ্য কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় ? |
ত্রিশ দিন। |
৩৮ . |
জাতীয় কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় ? |
ত্রিশ দিন। |
৩৯ . |
‘ দ্য লিগাল সার্ভিস অথরিটি অ্যাক্ট ১৯৮৭’ অনুযায়ী কারা নিখরচায় আইনি সাহায্য পেতে পারেন ? |
সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক অথবা অন্য কারণে পশ্চাদপদ শ্রেণির মানুষেরা। |
৪০ . |
কোন কোন শ্রেণির মানুষ ‘দ্য লিগাল সার্ভিস অথরিটি অ্যাক্ট ১৯৮৭’ অনুযায়ী সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ? |
( ১ ) মহিলা ও শিশু। ( ২ ) তফশিলি জাতি / উপজাতি। ( ৩ ) মানুষ নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্যের শিকার অথবা ভিক্ষুক। ( ৪ ) গণদুর্ঘটনা , জাতিদ্বন্দ্বমূলক হিংসা , জাতপাতের নৃশংসতা , বন্যা , খরা , ভূমিকম্প অথবা শিল্পে দুর্ঘটনার শিকার। ( ৫ ) হাজতে আটক ব্যক্তি। ( ৬ ) যে সমস্ত মানুষের বার্ষিক আয় ৫০ , ০০০ টাকার কম। ( ৭ ) প্রতিবন্ধী আইন (Disabilities Act) ১৯৯৫ অনুযায়ী যাদের অক্ষম বলে ধরা হবে। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
মাপ ও ওজন |
||
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
বাটখারাগুলির কোন অংশে পরীক্ষা করার ছাপ দেখা যায় ? |
পিছনের দিকে। |
২ . |
বাটখারার পেছনে কী কী তথ্য দেখে নিতে হয় ? |
বছরের শেষ দুটি সংখ্যা , কোয়ার্টার (A, B, C বা D) এবং বৈধ পরিমাপন পরিদর্শকের ইনডিভিজুয়াল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। |
৩ . |
মাপন দন্ডের কোন অংশে পরীক্ষা করার ছাপ দেখা যায় ? |
প্রান্তে। |
৪ . |
ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্রের কোন অংশে পরীক্ষা করার ছাপ দেখে নিতে হবে ? |
এর গায়ে লাগানো একটি প্লেটে। |
৫ . |
ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র সঠিক আছে কিনা তা কী ভাবে বোঝা যাবে ? |
বিক্রেতার কাছ থেকে একটি পরীক্ষিত বাটখারা নিয়ে সেই বাটখারাটি ওজন যন্ত্রে বসিয়ে ওজন দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিক্রেতা ঐ যন্ত্রের ওজন ক্ষমতার ন্যূনতম ১০ % ওজনের পরীক্ষিত বাটখারা রাখতে বাধ্য। |
৬ . |
সোনারূপো ওজন করার জন্য কী ধরনের ওজনযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে ? |
প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির ওজনযন্ত্র। |
৭ . |
যে যন্ত্রটি দিয়ে কাপড় মেপে বিক্রি করা হয় তার দৈর্ঘ্য কত হতে হবে ? |
এক মিটার। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
পণ্যের মোড়কে কী কী তথ্য থাকা আবশ্যিক ? |
( ১ ) উৎপাদনকারী অথবা মোড়কজাতকারীর পুরো নাম ও ঠিকানা। ( ২ ) পণ্যের নিট ওজন / পরিমাণ । ( ৩ ) পণ্যের নাম। ( ৪ ) উৎপাদনের অথবা মোড়কজাতকরণের মাস ও বছর। ( ৫ ) যদি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় , তবে আমদানিকারকের নাম , ঠিকানা এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর। ( ৬ ) সমস্ত রকম কর সমেত সর্বাধিক খুচরো মূল্য। ( ৭ ) ক্রেতা অভিযোগ প্রতিকার কেন্দ্রের ঠিকানা , ফোন নং। ( ৮ ) খাদ্য , পানীয় কিংবা ওষুধের ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ। |
২ . |
কোন ক্ষেত্রে বিক্রেতা সর্বাধিক খুচরো মূল্যের থেকে বেশি দামে পণ্য বিক্রয় করতে পারে ? |
কোনও ক্ষেত্রেই নয়। |
৩ . |
কোন ধরনের জিনিসের প্যাকেটে ‘‘মোড়কজাত করার সময় ওজন’’ লেখা যায় ? |
কোনও ক্ষেত্রেই নয়। |
৪ . |
ওজন ও মাপের ওপর নজরদারির দায়িত্ব কার ওপরে ন্যস্ত ? |
বৈধ পরিমাপন আধিকারিক। |
৫ . |
মোড়কজাত পণ্যের ওপরে লেখা তথ্যাবলির ওপর নজরদারির দায়িত্ব কার ? |
বৈধ পরিমাপন আধিকারিক। |
৬ . |
জামাকাপড়ের মাপের ক্ষেত্রে ‘ XL’, ‘X’, ‘XXL’ ইত্যাদি চিহ্নগুলি কি বৈধ ? |
এগুলি কোনও নির্দিষ্ট মাপের পরিচায়ক নয়। সঠিক মাপ সব সময়ে সেন্টিমিটারে দেখে নিতে হবে। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
নতুন গ্যাস সংযোগ কী ভাবে পাওয়া যায় ? |
ইচ্ছুক গ্রাহক নিকটতম পরিবেশকের কাছে বসবাসের প্রমাণপত্র দেখিয়ে নাম নথিভুক্ত করাবেন। |
২ . |
বসবাসের প্রমাণপত্র হিসেবে কোন কোন দলিল গ্রাহ্য হবে ? |
রেশন কার্ড , বিদ্যুতের বিল , টেলিফোন বিল , পাশপোর্ট , নিয়োগকর্তার শংসাপত্র , বাড়ি নিবন্ধীকরণের দলিল , ফ্ল্যাট মালিকানার পত্র , জীবনবিমা পলিসি , বাড়ি ভাড়ার রসিদ , ভোটার কার্ড , প্যান কার্ড , ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির যে কোনও একটি। |
৩ . |
নতুন সংযোগ নিতে গেলে কি পরিবেশকের থেকেই Hotplate কিনতে হবে ? |
আবশ্যিক নয়। উপভোক্তার কাছে যদি একটি ISI চিহ্নযুক্ত Hotplate থাকে তবে পরিবেশক নামমাত্র মূল্যে ( বর্তমানে ১৫০ টাকা ) সেটি উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন। টাকা জমা দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। |
৪ . |
গ্যাস সংযোগ স্থানান্তরের নিয়ম কী ? |
যদি একই পরিবেশকের আওতার স্থানান্তর করতে হয় , তবে নতুন ঠিকানা সংক্রান্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে পরিবেশককে জানালেই হবে। যদি একই শহরের কিন্তু একই পরিবেশকের আওতায় না হয় , তবে মূল Subscription voucher (SV) জমা দিয়ে পরিবেশকের কাছ থেকে নতুন ঠিকানার জন্য Transfer Termination Voucher (TTV) নিতে হবে। এর পরে নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং TTV সহ সংশ্লিষ্ট পরিবেশকের কাছে গেলে নতুন consumer no. সহ Transfer Subscription Voucher (TSV) এবং সংযোগ পাওয়া যাবে। একই শহরের মধ্যে স্থানান্তর করার জন্য সিলিন্ডার ইত্যাদি জমা না দিয়ে উপভোক্তা নতুন ঠিকানায় নিয়ে যাবেন। যদি অন্য শহরে স্থানান্তর করতে হয় তবে একই পদ্ধতিতে Termination Voucher (TV) সংগ্রহ করে নতুন ঠিকানার সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের কাছে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সিলিন্ডার ইত্যাদি জমা দিয়ে জমা টাকা ফেরত নিতে হবে। |
৫ . |
কখনও কখনও সিলিন্ডারের গায়ে ভেজা লাগে কেন ? |
যদি পূর্বনির্দিষ্ট হারের থেকে বেশি পরিমাণে গ্যাস নির্গত হয় তবে এ রকম হতে পারে। যদি নিয়মিত ভাবেই এমন ঘটতে থাকে তবে Area Manger– এর সাথে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়। |
৬ . |
সিলিন্ডারগুলি কি মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার কোনও ব্যবস্থা আছে ? |
হ্যাঁ। |
৭ . |
এই পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সময় কী ভাবে জানা যাবে ? |
সিলিন্ডারের মাথার দিকে তিনটি সরু দন্ডের একটিতে A07, D09 ইত্যাদি লেখা থাকে। A, B, C, D হল বছরের মধ্যে যথাক্রমে প্রথম , দ্বিতীয় , তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়াটারের পরিচয় এবং ০৭ , ০৮ ইত্যাদি বছরের সূচক অর্থাৎ কোনও সিলিন্ডারে যদি D09 লেখা থাকে তবে ঐ সিলিন্ডারটি ২০০৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে পরীক্ষা করতে হবে। এই সময়সীমা কিন্তু সিলিন্ডারের মেয়াদ কালকে চিহ্নিত করে না। |
৮ . |
গৃহস্থালিতে ব্যব্যহার্য সিলিন্ডারের মধ্যে কী পরিমাণ গ্যাস থাকে ? |
১৪ . ২ কিলোগ্রাম। |
৯ . |
এই ওজন কী ভাবে পরীক্ষা করা যাবে ? |
যে ব্যক্তি বাড়িতে সিলিন্ডার দিয়ে যায় , তার কাছে একটি পরীক্ষিত স্প্রীং ব্যালেন্স থাকবে। এই স্প্রীং ব্যালেন্সের সাহায্যে ওজন পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে। |
১০ . |
একটি সিলিন্ডার ডেলিভারির পরে পরবর্তী সিলিন্ডার বুকিং এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কিনা ? |
না। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
১. কৌটা বা পাউচের গায়ে কোন চিহ্ন চাল, ডাল,ময়দা, আটা, ভোজ্য তেল, ঘি, মাখন, মধু, মশলা ইত্যাদির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেয় ?
আগমার্ক।
২. মোড়কের গায়ে কোন চিহ্ন শিশু খাদ্য, পানীয় জল,বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট, স্টিলের পাইপ, বৈদ্যুতিক বালব ইত্যাদির গুণমান সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেয় ?
আইএসআই।
৩. মোড়কের গায়ে কোন চিহ্ন জ্যাম, জেলি, আচার,সস, কেচাপ, ফলের রস, নরম পানীয় ইত্যাদির গুণমান এবং বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেয়?
এফ পি ও ঐ সব পণ্যের ক্ষেত্রে এই ছাপ বাধ্যতামূলকও বটে।
৪. এফ পি ও-র পুরো নাম কী ?
ফ্রুট প্রোডাক্টস অর্ডার।
৫. উপভোক্তা কোন জিনিসের উপর এম এফ পি ও চিহ্ন আছে কিনা দেখবেন ?
টিনজাত মাছ, মাংস বা মাছ-মাংসজাত খাদ্য।
৬. এম এফ পি ও-এর পুরো নাম কী ?
মিট ফুড প্রোডাক্টস অর্ডার।
৭. সোনার অলঙ্কারের ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন সঠিক পরিমাণ সোনার পরিচায়ক ?
হলমার্ক।
৮. হলমার্কের উপাংশগুলি কী কী ?
(১) বি আই এস প্রদত্ত হলমার্ক লোগো।
(২) সূক্ষ্মতা নির্ণায়ক নম্বর।
(৩) হলমার্কিং সেন্টারের চিহ্ন।
(৪) চিহ্নিতকরণের সন (A=2000)
(৫) বি আই এস শংসিত জুয়েলারের লোগো।
৯. সূক্ষ্মতা নির্ণায়ক নম্বর কী ?
২৪ ক্যারাটকে ১০০০ ধরে সেই অনুপাতে ক্যারাট অনুযায়ী নম্বর।
১০. এর জন্য কি কোনও পরিবর্তন সারণি আছে ?
হ্যাঁ। ৯৫৮ = ২৩ ক্যারাট ৮৭৬ = ২১ ক্যারাট ৭০৮ = ১৭ ক্যারাট
৯১৬ = ২২ ক্যারাট ৭৫০ = ১৮ ক্যারাট ৫৮৫ = ১৪ ক্যারাট
৩৭৫ = ৯ ক্যারাট
১১. অলঙ্কারের গায়ে লেখা ছোট ছোট অক্ষরে এত তথ্য কী ভাবে পরীক্ষা করা যাবে ?
আতসকাচের সাহায্যে (ম্যাগনিফাইং গ্লাস), যা বিক্রেতা দেবেন।
১২. যদি বিক্রেতা আতসকাচ না দেন ?
হলমার্ক যুক্ত গয়না বিক্রয়কারীর ক্ষেত্রে এটা বাধ্যতামূলক।
১৩. হলমার্ক ব্যবহার করার লাইসেন্স কাদের দেওয়া হয়?
যে সমস্ত স্বর্ণকার IS - ১৪১৭ মানক অনুযায়ী গহনা প্রস্তুত করে।
১৪. সোনার অলঙ্কারের বিশুদ্ধতা মাপনের জন্য ক্যারাট মিটার কি বিশ্বাসযোগ্য?
না।
১৫. ক্যারাট মিটার কীসের বিশুদ্ধতা নিরূপণ করে ?
শুধুমাত্র উপরিতলের মসৃণতা।
১৬. রূপোর গয়নার ক্ষেত্রে হলমার্কিং চালু করার কি কোনও পরিকল্পনা আছে ?
ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে।
১৭. আই এস আই ছাপ কি বাধ্যতামূলক ?
কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে।
১৮. এগমার্ক কি বাধ্যতামূলক ?
না।
১৯. হলমার্ক কি বাধ্যতামূলক ?
বর্তমানে নয়। শীঘ্রই এটি বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা আছে।
২০. এফ পি ও ছাপ কি বাধ্যতামূলক ? হ্যাঁ।
২১. এম এফ পি ও ছাপ কি বাধ্যতামূলক ? হ্যাঁ।
২২. এম এফ পি ও চিহ্নযুক্ত জিনিস নিম্নমানের হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে ?
উপ-অধিকর্তা (এফ অ্যান্ড ভি পি) ময়ূখ ভবন, পঞ্চম তল, বিধাননগর,কলকাতা – ৭০০০৯১
২৩. এফ পি ও চিহ্নযুক্ত জিনিস নিম্নমানের হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে ?
উপ-অধিকর্তা (এফ অ্যান্ড ভি পি) ময়ূখ ভবন, পঞ্চম তল, বিধাননগর,কলকাতা – ৭০০০৯১
২৪. এগমার্ক চিহ্নযুক্ত জিনিস নিম্নমানের হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে?
উপ কৃষি বিপণন পরামর্শদাতা, বিপণন ও পরিদর্শন আধিকার, কৃষি মন্ত্রক,ভারত সরকার। পঞ্চম তল, ‘A’ উইং, ব্লক – ডি জে, নতুন সি জি ও বিল্ডিং, সেক্টর – ১, বিধাননগর, কলিকাতা – ৭০০০৯১
২৫. যদি অভিযোগ সঠিক হয় তবে উপ কৃষি বিপণন পরামর্শদাতা কী ব্যবস্থা নিতে পারেন ?
পণ্যটি বদলে দেওয়া অথবা দাম ফেরত দেওয়া এবং নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার জন্য সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
২৬. আই এস আই চিহ্নযুক্ত জিনিস নিম্নমানের হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে? অধিকর্তা, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস, ১/১৪, সি আই টি স্কিম VII - M ভি আই পি রোড, কাঁকুরগাছি, কলকাতা – ৭০০০৫৪। ফোন :২৩২০-৮৬৬২/৮৪৯৯/৮৫৬১/৮৬২৬,
ফ্যাক্স : ২৩২০-০৮৯১, ই-মেল : ero@bis.org.in
২৭. অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস কী ব্যবস্থা নেন ?
জিনিসটি বদলে দেওয়া বা মেরামত করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে ভবিষ্যতে উপভোক্তারা প্রতারিত না হন।
২৮. হলমার্ক চিহ্নযুক্ত সোনার গয়না নিম্নমানের হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে? অধিকর্তা, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস, ১/১৪, সি আই টি স্কিম VII - M ভি আই পি রোড, কাঁকুরগাছি, কলকাতা – ৭০০০৫৪। ফোন :২৩২০-৮৬৬২/৮৪৯৯/৮৫৬১/৮৬২৬,
ফ্যাক্স : ২৩২০-০৮৯১, ই-মেল : ero@bis.org.in
২৯. রেশম বস্ত্র/তৈরি পোশাকের গায়ে কোন চিহ্ন দেখে বোঝা যাবে যে এটি বিশুদ্ধ নতুন রেশমের তৈরি ?
সিল্ক মার্ক।
৩০. কোন সংগঠন সিল্কমার্ক প্রকল্প চালনা করে ?
সিল্ক মার্ক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (SMOI)। এটি একটি নিবন্ধীকৃত সংগঠন এবং ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদ এর পৃষ্ঠপোষক।
৩১. কারা সিল্ক মার্ক ব্যবহার করতে পারেন ?
SMOI অনুমোদিত সিল্কমার্ক ব্যবহারকারীরা শতকরা ১০০ ভাগ রেশমের পণ্যে সিল্কমার্ক চিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন।
৩২. এই অনুমোদন কাদের দেওয়া হয় ?
বাজারে সুনাম আছে এমন রেশম প্রস্তুতকারক, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরো বিক্রেতা এবং রফতানিকারকরা SMOI–তে নিবন্ধীকরণ এবং চুক্তিপত্র সম্পাদনা করার পর অনুমোদিত ব্যবহারকারী হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।
৩৩. কোন কোন পণ্য সিল্ক মার্কের অন্তর্ভুক্ত ?
প্রাথমিক, অন্তর্বর্তী এবং সম্পূর্ণ রেশমের তৈরি পণ্য যথা— র সিল্ক, রেশমের সূতো, রেশম বস্ত্র, রেশমের শাড়ি, কার্পেট এবং তৈরি পোশাক।
৩৪. সিল্কমার্ক চিহ্ন কি নিশ্চয়তা দেয় ?
সিল্কমার্ক চিহ্নযুক্ত পণ্য ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক রেশমের তৈরি—এই নিশ্চয়তা দেয়। এই নিশ্চয়তা রেশমের জরি ও সূতোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
৩৫. সিল্কমার্ক চিহ্নযুক্ত কোনও পণ্যের গুণমান সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে উপভোক্তারা কী ভাবে প্রতিকার পেতে পারেন ?
পণ্যের গুণমান সম্পর্কে সন্দেহ হলে উপভোক্তা SMOI কেন্দ্র থেকে তার গুণমান পরীক্ষা করাতে পারেন। যদি পরীক্ষায় গুণমানের ঘাটতি প্রমাণিত হয় তবে বিক্রয়কারী উপভোক্তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়া যাতে সহজে সম্পন্ন হয় তার জন্য SMOI উপযুক্ত ভূমিকা পালন করবে।
৩৬. যদি কোনও অনুমোদিত ব্যবহারকারি সিল্কমার্ক লোগো ব্যবহার করে কৃত্রিম রেশমজাত পণ্য বিক্রি করেন তবে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় ?
অবিলম্বে তার সদস্যপদ খারিজ করা হবে। প্রতারিত উপভোক্তা যাতে ফোরামে প্রতিকার পায় তার জন্য SMOI সহায়তা করবে এবং এই ধরনের অপব্যবহারের কথা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে।
৩৭. সিল্কমার্ক লোগো কী ভাবে বস্ত্রাদিতে লাগানো থাকে ?
উচ্চনিরাপত্তা যুক্ত হলোগ্রাম-সহ একটি কাগজ আটকানো হয়। হলোগ্রামের ক্রমিক নম্বর থেকে হলোগ্রাম ব্যবহারকারীর নাম এবং ব্যব্যহারের সময় জানা যায়।
৩৮. সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে বিশুদ্ধ রেশম এবং কৃত্রিম রেশমের পার্থক্য বোঝার উপায় কী ?
রেশম : খুব আস্তে আস্তে পোড়ে অথবা পোড়া বন্ধ হয়ে যায়।
কৃত্রিম : দ্রুত এবং ক্রমাগত পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
রেশম : পোড়ার সময় ধোঁয়া থেকে চুল পোড়ার গন্ধ বেরোয়।
কৃত্রিম : পোড়ার সময় ধোঁয়া থেকে কাগজ পোড়ার গন্ধ বেরোয়।
রেশম : পোড়া রেশম অমসৃণ তলের সংস্পর্শে কালো পুঁতির আকার ধারণ করে।
কৃত্রিম : সাদা ছাই সৃষ্টি করে এবং ঝরে পড়ে।
৩৯. সিল্ক মার্ক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার (SMOI)সঙ্গে যোগাযেগের ঠিকানা কী ?
কলকাতা অধ্যায়, কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ড (প্রথম তল), ১৫ গড়িয়াহাট রোড(দঃ) ঢাকুরিয়া, কলকাতা – ৩১, ফোন : ০৩৩-২৪৭৩০৯১২/৬৮৫৬, ফ্যাক্স : ২৪৭৩৫০৯০, ই-মেল : kolkata@silkmarkindia.com
৪০. উলমার্ক কী ?
নতুন এবং বিশুদ্ধ উল বা উলের তৈরি জিনিসের শংসায়নের ট্রেডমার্ক। এই ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে গেলে দি উলমার্ক কোম্পানির তৈরি মানকায়নের শর্ত মেনে জিনিসটি তৈরি হতে হবে।
৪১. উলমার্ক চিহ্ন কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেজিস্ট্রিকৃত ?
এখনও পর্যন্ত ১৪০টি দেশে এই চিহ্ন রেজিস্ট্রিকৃত।
৪২. উলমার্ক কোম্পানি কি আর কোনও চিহ্ন বাজারে চালু করেছে ?
উলমার্ক কোম্পানি তিনটি ব্র্যান্ড বাজারে চালু করেছে— দি উলমার্ক। দি উলমার্ক ব্লেন্ড এবং দি উলব্লেন্ড।
৪৩. উলমার্ক ব্লেন্ড চিহ্ন কীসের জন্যে ?
যে সমস্ত উলের তৈরি জিনিসে ১০০ শতাংশ উল থাকে না কিন্তু ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বিশুদ্ধ উল থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে উলমার্ক ব্লেন্ড চিহ্ন ব্যব্যহার করা হয়।
৪৪. উল ব্লেন্ড কীসের জন্য ?
যে সমস্ত জিনিসে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ উল থাকে তার জন্য উলব্লেন্ড চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
৪৫. এই চিহ্ন ব্যবহার করতে গেলে কি কোনও অনুমতি লাগে ?
উলমার্ক কোম্পানির অনুমতি সাপেক্ষে এই চিহ্নগুলি ব্যবহার করা যায়। অনুমোদন পেতে গেলে ঐ কোম্পানির তৈরি গুণমানের মানক অনুযায়ী জিনিস তৈরি করতে হবে।
৪৬. উলমার্ক কোম্পানির পরিচয় কী ?
অস্ট্রেলিয়ান উল সার্ভিস নিয়ন্ত্রিত টি ডবলিউ সি হোল্ডিং –এর অধীনস্থ সহায়ক সংস্থা যারা বিশ্বব্যাপী পশমবস্ত্রের মানক উন্নয়নে রত এবং মানক চিহ্নগুলোর লাইসেন্স দিয়ে থাকে।
৪৭. ক) তৈরি করা পোশাকে উলমার্ক চিহ্ন ব্যবহার করার জন্য কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হয় ?
খ) উলমার্ক কোম্পানির ভারতীয় শাখার ঠিকানা কী?
ক) উলমার্ক ব্যবহারের আগে আন্তর্জাতিক পশম সচিবালয়ের স্থির করা মানক অনুযায়ী পোশাক তৈরি হয়েছে কি না তা ব্যাপক নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয়।
খ) ডি - ২৬, সাউথ এক্সটেনশান পার্ট - II , নিউ দিল্লি – ১১০০৪৯,টেলিফোন : (০১১) ২৬২৫-২১৫৫/৭৫৫৪/৪৯৫১, ফ্যক্স : ২৬২৫ ৮১০৫
৪৮. হাতে বোনা তাঁতের বস্ত্র তৈরির সময় যন্ত্রচালিত তাঁতে তৈরি বস্ত্রের মিশ্রণ রোধের জন্য কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ?
ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন হস্তশিল্প উন্নয়ন কমিশনার ‘হ্যান্ডলুম মার্ক স্কিম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে যার দ্বারা হাতে বোনা তাঁতের বস্ত্র চিহ্নিত করা যাবে।
৪৯. ‘হ্যান্ডলুম মার্ক’ চিহ্ন কী ধরনের নিশ্চয়তা দেয় ?
এই চিহ্ন দেখে উপভোক্তা নিশ্চিত হতে পারেন যে সংশ্লিষ্ট পণ্য পুরোপুরি হাতে বোনা তাঁতে উৎপন্ন।
৫০. যদি ‘হ্যান্ডলুম মার্ক’ যুক্ত কোনও পণ্যের বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে সন্দেহ দেখা দেয়, তবে উপভোক্তারা কী করবেন ?
সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা রসিদের অনুলিপি এবং হ্যান্ডলুম মার্কের কোড নং দিয়ে সংশ্লিষ্ট টেক্সটাইল কমিটির কাছে অভিযোগ জানাবেন।
৫১. টেক্সটাইল কমিটি কী ব্যবস্থা নেবেন ?
পর্যালোচনার রিপোর্ট অনুযায়ী টেক্সটাইল কমিটি ট্রেড মার্কস আইন ১৯৯৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই আইন অনুযায়ী কম করে ৬ মাসের জেল এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
৫২. টেক্সটাইল কমিটির সাথে যোগাযোগের ঠিকানা কী ?
কলকাতার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঠিকানা — ব্লক- জি এন, প্লট – ৩৮/৩ সেক্টর – ৫ লবণ হ্রদ, কলকাতা – ৭০০০৯১, ফোন : ৯১-৩৩-২৩৫৭৫২০২/৫১৫৫, ফ্যাক্স : ২৩৫৭৫২০২। ই-মেল :tccal2@vsnl.net
৫৩. আই এস ও কী ?
আই এস ও (আন্তর্জাতিক মানকায়ন সংস্থা) বিভিন্ন দেশের জাতীয় মানকায়ন সংগঠনের সম্মিলিত সংস্থা, প্রত্যেক দেশের এক জন করে প্রতিনিধি নিয়ে এই সংস্থা এখনও পর্যন্ত মোট ১৪৬টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। কেন্দ্রীয় সচিবালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত এবং তারা পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় সাধন করে।
৫৪. আই এস ও-র সাথে বিভিন্ন সরকারের কী সম্পর্ক ?
আই এস ও একটি বেসরকারি সংস্থা এবং এর সদস্যরা কেউই সংশ্লিষ্ট সরকারের প্রতিনিধি নয়। তা সত্ত্বেও সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আই এস ও-র একটি বিশেষ অবস্থান আছে। এর কারণ হল এক দিকে এর অনেক সদস্যই সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকারি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত আবার অন্য দিকে অনেক সদস্যেরই শিকড় বেসরকারি ক্ষেত্রে বিস্তৃত।
৫৫. আই এস ও-র লক্ষ্য কী ?
মানকায়নের উন্নয়ন এবং সেই সম্পর্কিত কার্যকলাপ যাতে করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পণ্য এবং পরিষেবা বিনিময়ের কাজ সহজ হয়।
৫৬. আই এস ও ৯০০০ কী ?
আই এস ও ৯০০০ অনেকগুলি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানকের সমন্বয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল উপভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় গুণমানসম্পন্ন উৎপাদন এবং সেই উদ্দেশ্যে উন্নত পদ্ধতির বিকাশ।
৫৭. আই এস ও ৯০০০–এর ব্যাপারে ভারতীয় মানক ব্যুরোর ভূমিকা কী?
ভারতীয় মানক ব্যুরো (BIS) হল ভারতের জাতীয় মানকায়ন সংস্থা এবং আই এস ও–র এক জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এরা ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করে।
৫৮. আই এস ও ৯০০০ এবং আই এস/আই এস ও ৯০০০ মানকের মধ্যে পার্থক্য কী ? কোনও পার্থক্য নেই। দুটি একই মানক।
ভারতীয় মানক সংস্থা আই এস ও ৯০০০ অনুযায়ী বেশ কিছু মানকায়ন করেছে আই এস/আই এস ও ৯০০০ : ২০০০, আই এস/আই এস ও ৯০০১: ২০০০, আই এস/আই এস ও ৯০০৪ : ২০০০ এবং আই এস/আই এস ও ৯০১১ : ২০০০। এগুলি আই এস ও ৯০০০ মানকের প্রতিরূপ।
৫৯. পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ক্ষেত্রে আই এস/আই এস ও ৯০০০ মানক কী ভাবে প্রযোজ্য ?
আই এস/আই এস ও ৯০০০ অনুযায়ী উৎপাদনের সংজ্ঞার মধ্যে পরিষেবার ক্ষেত্রে এই মানক সমভাবে প্রযোজ্য।
৬০. আই এস ও কী ভাবে উপভোক্তাদের সুবিধা করে ?
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পণ্য ও পরিষেবা, গুণমান, নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার পরিচায়ক।
৬১. আই এস ও মানক কারা তৈরি করেন ?
শিল্প প্রযুক্তি এবং ব্যবসার জগতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটি এই মানক তৈরি করে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংগঠন থেকেও এই কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে যেমন সরকারি এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি, পরীক্ষাগারের প্রতিনিধি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, উপভোক্তা সংগঠন।
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
ওষুধের প্যাকেটে কী কী তথ্য থাকা আবশ্যিক ? |
( ১ ) ওষুধের নাম। ( ২ ) উপাদান সমূহের বিবরণ। ( ৩ ) মোড়কের মাপ। ( ৪ ) উৎপাদনকারীর ঠিকানা। ( ৫ ) লাইসেন্স নম্বর এবং ব্যাচ নং। ( ৬ ) উৎপাদনের তারিখ। ( ৭ ) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ। ( ৮ ) সর্বাধিক খুচরো মূল্য।
|
২ . |
ওষুধের দামের ক্ষেত্রে সর্বাধিক খুচরো মূল্যের ওপর অতিরিক্ত কিছু নেওয়া যাবে না , এই ধরনের কোনও আদেশ আছে কি ? |
হ্যাঁ , এটি ২০০৬ সালের ২ অক্টোবর থেকে কার্যকর। |
৩ . |
কেমিস্ট / খুচরো বিক্রেতাদের জন্য ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে রসিদ দেওয়া কি বাধ্যতামূলক ? |
হ্যাঁ , প্রত্যেক ক্ষেত্রে রসিদ দিতে হবে এবং রসিদের কপি রাখতে হবে। |
৪ . |
যদি প্যাকেট ভেঙে বিক্রি করা হয় তবে খুচরো বিক্রেতা কি সর্বাধিক খুচরো মূল্যের ওপরে বেশি দাম ধার্য করতে পারে ? |
হ্যাঁ , এ ক্ষেত্রে আনুপাতিক মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দাম নেওয়া চলে। |
৫ . |
ওষুধের দাম বেশি নিলে বা ওষুধ যথাযথ মানের না হলে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে ? |
সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিদর্শক অথবা জেলাস্থিত সহঅধিকর্তা , ড্রাগ কন্ট্রোল এবং রাজ্য স্তরের ডাইরেক্টর , ড্রাগ কন্ট্রোল , ওয়েস্ট বেঙ্গলের কাছে। ঠিকানা : ড্রাগ কন্ট্রোল , সি আই টি বিল্ডিং , ষষ্ঠ তল , পি - ১৬ , ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেস ( এক্সটেনশান ), কলিকাতা – ৭০০ ০৭৩ , ফোন : ( ০৩৩ ) ২২২৫ - ২২১৩ / ২২১৪ |
৬ . |
উপভোক্তা কি খুচরো বিক্রেতা / কেমিস্ট - এর কাছে মূল্য তালিকা দেখতে চাইতে পারেন ? |
হ্যাঁ , প্রত্যেক বিক্রেতাকে ওষুধের দামের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে টাঙাতে হবে যা সহজেই উপভোক্তার দৃষ্টিগোচর হয়। |
৭ . |
খাদ্যের মোড়কে কী কী তথ্য থাকা আবশ্যিক ? |
( ১ ) জিনিসের নাম। ( ২ ) কী কী দিয়ে তৈরি। ( ৩ ) ব্যাচ নম্বর অথবা লট নম্বর। ( ৪ ) লাইসেন্স নম্বর।
( ৫ ) সর্বাধিক খুচরো মূল্য। ( ৬ ) উৎপাদকের নাম , ঠিকানা , উৎপাদন কেন্দ্রের এবং / অথবা প্যাকেজিং কেন্দ্রের নাম এবং ঠিকানা। ( ৭ ) আমদানি করা হলে আমদানিকারকের নাম , ঠিকানা। ( ৮ ) ওজন অথবা আয়তন অথবা পরিমাণ , এবং কতদিন পর্যন্ত সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারযোগ্য সেটি বড় হরফে লেখা। |
৮ . |
বাণিজ্যিক ভাবে খাদ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে পাত্র অথবা কাঁটা চামচ ইত্যাদিতে প্লাস্টিক ব্যবহারের কী বিধিনিষেধ আছে ? |
ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফুড গ্রেড হতে হবে। |
৯ . |
ফলের রস , স্কোয়াশ , নরম পানীয়র জন্য কি বিশেষ কিছু তথ্য দেওয়া আবশ্যিক ? |
যদি এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলের রস না থাকে তবে : ( ১ ) ফলের রস ইত্যাদি বলা যাবে না এবং পরিষ্কার ঘোষণা করতে হবে যে এটি কৃত্রিম। ( ২ ) কোনও জায়গায় ফল কথাটি ব্যবহার করা যাবে না। ( ৩ ) মোড়কের গায়ে কোনও ফলের ছবি থাকবে না। |
১০ . |
মোড়কের গায়ে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভাষা ব্যবহার করতে হবে ? |
ইংরাজি অথবা হিন্দি একটি ভাষা ব্যবহার করতেই হবে। |
১১ . |
কলকাতা ও অন্যান্য পুরো এলাকায় ভেজাল খাদ্যের ক্ষেত্রে কোথায় উপভোক্তা অভিযোগ করবেন ? |
পুর খাদ্য পরিদর্শক। |
১২ . |
জেলার অ - পুর এলাকায় ভেজাল খাদ্যের ক্ষেত্রে কোথায় উপভোক্তা অভিযোগ করবেন ? |
মহকুমা খাদ্য পরিদর্শক। |
১৩ . |
রাস্তায় অথবা দোকান থেকে অথবা গাড়ি করে আইসক্রিম বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোন শর্ত আবশ্যিক ? |
প্রস্তুতকারক / বিক্রয়কারীর নাম এবং ঠিকানা স্টল অথবা গাড়ির গায়ে লেখা থাকবে। |
১৪ . |
খাদ্য লবণ বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোন শর্ত বাধ্যতামূলক ? |
আয়োডিনযুক্ত লবণ হতে হবে । |
১৫ . |
ভোজ্য তেল অথবা চর্বি বিক্রির ক্ষেত্রে কী কী বিধিনিষেধ আছে ? |
সুপার রিফাইনড , অতিরিক্ত রিফাইনড , মাইক্রো রিফাইনড , ডাবল রিফাইনড , আলট্রা রিফাইনড , কোলেস্টরল বন্ধু , সম্পৃক্ত চর্বিমুক্ত ইত্যাদি বিশেষণ করা যাবে না। |
১৬ . |
গুঁড়ো মশলা বিক্রির ক্ষেত্রে কী বিধিনিষেধ আছে ? |
প্যাকেট ছাড়া বিক্রি করা যাবে না। |
১৭ . |
শিশুখাদ্য এবং শিশুদের জন্য বিকল্প দুধের ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে কী কী অতিরিক্ত ঘোষণা থাকা দরকার ? |
বড় হরফে ঘোষণা করতে হবে — ‘ আপনার শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধই সর্বোৎকৃষ্ট’। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রেসক্রিপশনে ওষুধের কোন নামটি লিখতে হবে— জেনেরিক না ব্র্যান্ড নেম ? |
দুটোই। |
২ . |
অন্তর্বিভাগীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে কত দিন চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে ? |
চিকিৎসা শুরু হওয়ার দিন থেকে তিন বৎসর পর্যন্ত । |
৩ . |
অন্তর্বিভাগীয় চিকিৎসার নথিপত্র রোগী চাইলে কত দিনের মধ্যে তা পেশ করতে হবে ? |
৭২ ঘণ্টার মধ্যে। |
৪ . |
চিকিৎসকের অসদাচরণ অথবা অবহেলার ব্যাপারে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে ? |
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল। |
৫ . |
ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল - এর ঠিকানা কী ? |
৮ , লায়ন্স রেঞ্জ , চতুর্থ তল , কলকাতা – ৭০০ ০০৯। ফোন : ২২৩১ - ৩০৭৯ , ফ্যাক্স : ২২১০ - ৩৬৬১ |
৬ . |
এখানে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি কী ? |
সাদা কাগজে বিস্তৃত বিবরণ লিখে রেজিস্ট্রার , ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে জানাতে হবে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অনুলিপি দিতে হবে। |
৭ . |
অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে কাউন্সিল কী ব্যবস্থা নিতে পারে ? |
সতর্কীকরণ , সাময়িক ভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাহার , স্থায়ী ভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাহার। |
৮ . |
কাউন্সিল কি কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে পারে ? |
না। |
৯ . |
চিকিৎসার অবহেলার ক্ষেত্রে কি আর কোথাও অভিযোগ জানানো যায় ? |
হ্যাঁ। উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম। |
১০ . |
অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ফোরামে কী প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে ? |
ক্ষতিপূরণ। |
১১ . |
ফোরাম কি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া অন্য কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে ? |
না। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
কোনও রসিদ ছাড়াই ড্রপ বক্সে চেক ফেলা কি বাধ্যতামূলক ? |
না , উপভোক্তা ইচ্ছে করলে কাউন্টারে চেক জমা দিয়ে রসিদ নিতে পারেন। এ বিষয়ে ড্রপ বক্সের উপরে পরিষ্কার ঘোষণা থাকতে হবে। |
২ . |
প্রত্যেক মাসের কোন দিনে ব্যাঙ্কের শাখাগুলির প্রধান আধিকারিকের উপভোক্তাদের সাথে আলোচনায় বসার কথা ? |
প্রতি মাসের ১৫ তারিখ ( ঐ দিনটি ছুটি থাকলে পরবর্তী কাজের দিন ) । |
৩ . |
যদি শাখার প্রধান আধিকারিক উপভোক্তার অভিযোগের মীমাংসা করতে না পারেন তবে কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে ? |
আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক। |
৪ . |
শাখা প্রধান অথবা আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কত দিনের মধ্যে উপভোক্তা বিরোধ মীমাংসা করবেন ? |
তিন সপ্তাহ। |
৫ . |
যদি তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনও প্রতিবিধান না পান তবে উপভোক্তা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
ব্যাঙ্কিং সচিব , অর্থ মন্ত্রক , নিউ দিল্লি । |
৬ . |
কত দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কিং সচিব উপভোক্তার অভিযোগের প্রতিবিধান করবেন ? |
দু’ মাস। |
৭ . |
যদি দু’মাসের মধ্যে কোনও প্রতিবিধান না পাওয়া যায় তবে উপভোক্তা কোথায় যাবেন ? |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে উপভোক্তার অবগতির জন্য সর্বাধিক প্রয়োজনীয় শর্তাবলী কী (MITC) ? |
মূল্য এবং ফি , প্রাথমিক কার্ড এবং add-on-card- এর প্রাথমিক মূল্য। বাৎসরিক ফি , অগ্রিম নগদের জন্য ফি , বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা মূল্য , সুদহীন সময় ( উদাহরণ সহ ) ইত্যাদি। এই তথ্যগুলি প্রত্যেক মাসের Statement– এর পেছনেও লেখা থাকতে হবে এবং এই লেখার হরফ অন্তত Arial ১২ সাইজ হতে হবে। |
২ . |
ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান অনেক সময় না চাইতেই কার্ড পাঠিয়ে দেয়। এটা কি আইনসঙ্গত ? |
না , যদি এ রকম কার্ড পাঠানো হয় এবং তার জন্য কোনও বিল পাঠানো হয় তবে উপভোক্তার দাবি অনুযায়ী কার্ড প্রত্যাহার করা ছাড়াও দ্বিগুণ মূল্যের অর্থ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। |
৩ . |
গ্রাহক না চাইতেই ঋণ বা অন্যান্য আর্থিক সুযোগ মঞ্জুর করে পাঠিয়ে দেওয়া কি আইনসঙ্গত ? |
না , এ রকম ঘটনা ঘটলে এবং গ্রাহক আপত্তি জানালে মঞ্জুরি প্রত্যাহার করা ছাড়াও গ্রাহকের দাবি অনুযায়ী ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসেবে দিতে হতে পারে। |
৪ . |
গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া কি কার্ড upgradation করা বা Credit limit বাড়ানো যায় ? |
না। |
৫ . |
গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য কী বিধান আছে ? |
ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি রেজিস্টার রাখতে হবে এবং গ্রাহকের অনুরোধ অনুযায়ী সেই খাতায় তার ফোন নম্বরগুলিকে নথিভুক্ত করতে হবে যাতে করে তার কাছে কোনও অবাঞ্ছিত অনুরোধ / SMS না যায়। |
৬ . |
বকেয়া আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান কি হয়রানি , ভীতি প্রদর্শন করতে পারে ? |
না। কোনও রকম হয়রানি বা ভীতি প্রদর্শন ( মৌখিক ভাবেও ) করা যাবে না। কোনও বেনামী ফোন ইত্যাদির মাধ্যমেও ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। এমন কোনও কাজ করা যাবে না যাতে জনসমক্ষে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক , তার আত্মীয়রা ইত্যাদি হেয় হন । |
৭ . |
উপভোক্তাদের অভিযোগের প্রতিকারের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ? |
ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ প্রতিকার কেন্দ্র খুলে বৈদ্যুতিন এবং মুদ্রণ মাধ্যম মারফত সেই কেন্দ্রের ঠিকানা , ফোন নং ইত্যাদি জানাতে হবে। এ ছাড়া প্রতি মাসের বিলের পেছনেও এই ঘোষণা বাধ্যতামূলক। সাধারণ ভাবে , অভিযোগ পেশ করার সময়সীমা ৬০ দিন এবং ব্যাঙ্ক / নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন দ্রুততার সঙ্গে অভিযোগগুলির মীমাংসা করা হয়। |
৮ . |
অভিযোগ মীমাংসার জন্য কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে কি ? |
হ্যাঁ , সাধারণ ভাবে ৩০ দিনের মধ্যে মীমাংসা করার কথা। |
৯ . |
যদি ঐ সময়ের মধ্যে মীমাংসা না হয় অথবা যদি গৃহীত ব্যবস্থায় উপভোক্তা সন্তুষ্ট না হন , তবে তিনি কোথায় আবেদন করবেন ? |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান। এ ছাড়া উপভোক্তা ফোরামে ২ বছরের মধ্যে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। |
১০ . |
গ্রাহকের বকেয়া ঋণ সংক্রান্ত তথ্য - Credit Information Bureau of India Ltd. (CIBIL)- কে জানানোর জন্য অনুমোদিত পদ্ধতি কী ? |
এ সম্পর্কিত কোনও তথ্য CIBIL- কে দেওয়ার আগে উপভোক্তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে উপভোক্তাকে উপযুক্ত সময় দিতে হবে যাতে করে CIBIL– এ নাম পাঠানোর আগেই সে ঋণ শোধ করে দিতে পারে। যদি কোনও ঋণের ক্ষেত্রে বিরোধিতা (dispute) থাকে তবে সে সম্পর্কে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান কে ? |
ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে গাফিলতি সংক্রান্ত উপভোক্তা অভিযোগ মীমাংসার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি। |
২ . |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান স্কিম , ২০০৬–এর আওতায় কোন ব্যাঙ্কগুলি আছে ? |
সমস্ত তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক , আঞ্চলিক গ্রামীন ব্যাঙ্ক এবং তালিকাভুক্ত প্রাথমিক সমবায় ব্যাঙ্ক । |
৩ . |
কোন ক্ষেত্রে উপভোক্তা ওমবুড্স্ম্যানের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন ? |
যদি তিনি এক মাসের মধ্যে তার অভিযোগ সম্পর্কে ব্যাঙ্কের থেকে কিছু জানতে না পারেন অথবা যদি ব্যাঙ্কের গৃহীত ব্যবস্থায় তিনি সন্তুষ্ট না হন। |
৪ . |
অভিযোগপত্রে কী কী তথ্য থাকা আবশ্যিক ? |
সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে প্রতিবিধান চেয়ে যে সমস্ত চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার প্রতিলিপি এবং ব্যঙ্কের উত্তর। |
৫ . |
অভিযোগ জানাবার কি কোনও সময়সীমা আছে ? |
অভিযোগের কারণ ঘটার এক বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে। |
৬ . |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যানের কি কোনও আইনি ক্ষমতা আছে ? |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান এক জন প্রায় কার্যত বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। আপস মীমাংসার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সমন পাঠানো ইত্যাদি ক্ষমতা আছে। |
৭ . |
অভিযোগ জানাতে কি কোনও ফি লাগে ? |
না। |
৮ . |
ব্যাঙ্কিং ওমবুড্স্ম্যান কী ব্যবস্থা নিতে পারে ? |
মূলত সমন্বয় বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার জন্য সচেষ্ট হবেন। |
৯ . |
যদি ব্যাঙ্ক শর্তসাপেক্ষে বিরোধ মেটাতে রাজি হয় ? |
সে ক্ষেত্রে ওমবুড্স্ম্যান শর্তগুলি লিপিবদ্ধ করেন এবং যদি উপভোক্তা সেই শর্তে রাজি হন তবে তিনি সেই মর্মে একটি আদেশ জারি করবেন যা মেনে নেওয়া উভয়পক্ষের কাছে বাধ্যতামূলক। |
১০ . |
যদি সে রকম কোনও সমঝোতায় না পৌঁছনো যায় ? |
সে ক্ষেত্রে ওমবুড্স্ম্যান এক মাস অপেক্ষা করার পর Award ঘোষণা করার জন্য সচেষ্ট হবেন। Award ঘোষণা করার আগে উভয়পক্ষকেই তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য উপযুক্ত সময় দিতে হবে। |
১১ . |
যদি ওমবুড্স্ম্যানের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হন , তবে উপভোক্তা কোথায় আপিল করবেন ? |
ডেপুটি গভর্নর , রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়া। |
১২ . |
কত দিনের মধ্যে আপিল পেশ করতে হবে ? |
৩০ দিন। আপিল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে এই সময়সীমা আরও ৩০ দিন বাড়াতে পারেন। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
|
১. |
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেডের(WBSEDCL)উপভোক্তা অভিযোগ মীমাংসা কেন্দ্রের ঠিকানা কী ? |
বিদ্যুৎ ভবন, ব্লক – ডি জে, সেক্টর - II , বিধাননগর। কলকাতা – ৭০০ ০৯১। ফোন : ২৩৫৮-৯৩৪৬, ২৩৩৪-৫৮৬৮। ফ্যাক্স : ২৩৫৯-১৯৪৩। |
|
২. |
টোল ফ্রি (নিঃশুল্ক)নম্বরে অভিযোগ জানাবার পদ্ধতি কী? |
টোল ফ্রি (নিঃশুল্ক) নম্বরগুলি :- কলকাতা জোন : ১৮০০-৩৪৫-৫২২০ (হাওড়া, হুগলি, উঃ ও দঃ ২৪ পরগণা, বিধাননগর), বর্ধমান জোন : ১৮০০-৩৪৫-৩২০১ (বর্ধমান ও বীরভূম) মেদিনীপুর জোন : ১৮০০-৩৪৫-৩২১২ (পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া), বহরমপুর জোন : ১৮০০-৩৪৫-৩২১৩ (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা) শিলিগুড়ি জোন : ১৮০০-৩৪৫-৩২০৬ (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উঃ ও দঃ দিনাজপুর), অভিযোগ জানাবার সময় বিদ্যুৎ বিলে উল্লিখিত কাস্টমার I.D. নম্বরটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। |
|
৩. |
প্রথমে উপভোক্তারা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে। |
|
৪. |
যদি সেখানে অভিযোগ মীমাংসা না হয় অথবা যদি সেখানে গৃহীত ব্যবস্থায় উপভোক্তা সন্তুষ্ট না হন, তবে তিনি কোথায় আবেদন করবেন ? |
সার্কল অভিযোগ মীমাংসা আধিকারিক। (Circle Grievance Redressal Officer) |
|
৫. |
তিনি কী ব্যবস্থা নিতে পারেন ? |
অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার সহ অনুসন্ধান, প্রয়োজনে শুনানির ব্যবস্থা, সব শেষে উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করে লিখিত ভাবে তাঁর সিদ্ধান্ত উপভোক্তাকে জানাবেন। |
|
৬. |
যদি তাতেও উপভোক্তা সন্তুষ্ট না হন ? |
তবে তিনি প্রধান অভিযোগ মীমাংসা আধিকারিকের (মুখ্য বাস্তুকার) কাছে আবেদন করবেন। |
|
৭. |
গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হলে উপভোক্তা কোথায় আবেদন জানাবেন ? |
ওমবুড্স্ম্যান, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন (Ombudsman, WBERC) , বিকল্প শক্তি ভবন (চতুর্থ তল), জে-১/১০, জিপি এবং ইপি ব্লক, সেক্টর - V , বিধাননগর, কলকাতা – ৭০০ ০৯১, ফোন : ২৩৫৭-২৪১৬, ফ্যাক্স : ২৩৫৭-২৪১৫ |
|
৮. |
CESC –র বিদ্যুৎ গ্রাহকরা প্রথমে কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
আঞ্চলিক কার্যালয়। |
|
৯. |
যদি তাঁর গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হন, তবে উপভোক্তারা কোথায় আবেদন জানাবেন ? |
দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিযোগ মীমাংসা আধিকারিকের (Designated Grievance Redressal Officer) কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানাবেন। |
|
১০. |
সি. ই. এস. সি.-র আঞ্চলিক (জেলা) কার্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের টেলিফোন নং ও ঠিকানা কী ? |
||
|
অঞ্চল (জিলা) ঠিকানা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক টেলিফোন নম্বর |
||
|
নর্থ (কলকাতা নর্থ, ২২৬ এ ও বি, এপিসি রোড, ডেপুটি ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) ২৫৫৫-৯৮১৫ উত্তরাঞ্চলের জেলা) কলকাতা – ৭০০ ০০৪ |
||
|
নর্থ সাবার্বন (নর্থ সাবার্বন জেলা) ৩২, বিটি রোড, সিনিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ২৫৫৩-৭৫৮৩/২৫৮৩-৯৩৯১ কলকাতা – ৭০০ ০৫৮ |
||
|
হাওড়া (হাওড়া, ৪৩৩/১, জিটি রোড (নর্থ), ডেপুটি ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) ২৬৬৬-১৬৬৭/৬০১৪/৯১৯৯ শ্রীরামপুর জেলা) হাওড়া -৭১১১০১ |
||
|
সাউথ (কলকাতা সাউথ, ৬, ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন, ডে. ম্যানেজার (কমাঃ) ২৪৪০-৬৪৭০/৪৯১৬/৬১১৬/৫৫০০ সাদার্ন জেলা) কলকাতা – ৭০০০১৯ |
||
|
সাউথ ওয়েস্ট (সাউথ ওয়েস্ট, পি-১৮, তারাতলা রোড, ডেপুটি ম্যানেজার ২৪০১-৪৫৪১ ওয়েস্ট সাবার্বন জেলা) কলকাতা – ৭০০ ০৮৮ |
||
|
সেন্ট্রাল (কলকাতা সেন্ট্রাল) সিইএসসি হাউস, ডেপুটি ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) ২২২৫-৬০৪০ চৌরঙ্গি স্কোয়ার, কলকাতা – ৭০০ ০০১ |
||
১১. |
তিনি কী ব্যবস্থা নিতে পারেন ? |
আবেদনের প্রাপ্তিস্বীকার সহ অনুসন্ধান এবং প্রয়োজনে শুনানির ব্যবস্থা করবেন। সব শেষে, কারণ ব্যাখ্যা সহ তাঁর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে ৬০ দিনের মধ্যে উপভোক্তাকে জানাবেন। |
|
১২. |
WBSEDCL-এর ক্ষেত্রে প্রধান অভিযোগ মীমাংসাকারী আধিকারিক এবং CESC–র ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকDesignated Grievance Redressal অভিযোগ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত কত দিনের মধ্যে উপভোক্তাকে জানাবেন ? |
৬০ দিন। |
|
১৩. |
বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারীর গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হলে উপভোক্তা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
ওমবুড্স্ম্যান,পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কী ? |
এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৯৫৬ সালের কোম্পানি আইন রেজিস্ট্রিকৃত। এগুলো ঋণ ও অগ্রিমের ব্যবস্থা , শেয়ার / স্টক / বন্ড / ডিবেঞ্চার / সিকিউরিটি কেনাবেচা , লিজ নেওয়া , ভাড়া – খরিদ , বিমা ব্যবস্থা , চিট ব্যবসা ইত্যাদি সংক্রান্ত কাজ করে। কিন্তু যাদের মূল ব্যবসা কৃষিকাজকর্ম সংক্রান্ত , শিল্প সংক্রান্ত কাজকর্ম ও যাদের স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচার ব্যবসা তারা এর অন্তর্ভুক্ত নয় । |
২ . |
নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যাঙ্কের মতোই কাজকর্ম করছে। ব্যাঙ্কের সাথে এদের পার্থক্য কী ? |
নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যাঙ্কের মতোই কাজকর্ম করছে , কিন্তু তবু এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে :- ১ . নন ব্যাঙ্কিং , দাবি – আমানত (demand deposits) গ্রহণ করতে পারে না। ২ . এটা টাকা লেনদেন পদ্ধতির অংশ নয় এবং তাই এর গ্রাহককে সে চেক কাটতে দিতে পারে না। ৩ . ব্যাঙ্কের মতো এরা ডি আই সি জি . সি - র জমা বিমার সুবিধা পায় না। |
৩ . |
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রেজিষ্ট্রিভূক্ত হওয়া কি নন ব্যাঙ্কিং - এর কাছে বাধ্যতামূলক ? |
১৯৩৪ - এ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ৪৫ ( ১ )- এ ধারা মোতাবেক প্রত্যেক নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রেজিষ্ট্রি করতে বাধ্য। দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এড়াতে যে সমস্ত নন ব্যাঙ্কিং সংস্থা অন্য কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রেজিস্ট্রিকৃত (SEBI, IRDA, ইত্যাদি ), তাদের আর নতুন করে নথিভূক্ত হওয়ার দরকার নেই। |
৪ . |
কী কী ধরনের নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নথিভুক্ত হতে পারে ? |
যে সমস্ত নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রেজিষ্ট্রিকৃত হতে পারে তারা হল : ১ ) যন্ত্রপাতি লিজ দেয় এমন কোম্পানি। ২ ) হায়ার পারচেজ কোম্পানি। ৩ ) ঋণদান কোম্পানি। ৪ ) বিনিয়োগ কোম্পানি। উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়— আমানত গ্রহণ করে অথবা করে না। ৫ ) রেসিডুয়ারি নন ব্যাঙ্কিং কোম্পানি। |
৫ . |
রেজিস্ট্রিকৃত নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানির তালিকা ও নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশাবলি কোথায় পাওয়া যাবে ? |
রেজিস্ট্রিকৃত নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানের তালিকা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে (www.rbi.org.in) পাওয়া যাবে। আর নন ব্যাঙ্কিং - এর উদ্দেশ্যে জারি করা বিভিন্ন নির্দেশাবলিও ওই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। |
৬ . |
সমস্ত নন ব্যাঙ্কিং - ই কি আমানত গ্রহণ করতে পারে ? |
সমস্ত নন ব্যাঙ্কিং আমানত গ্রহণ করতে পারে না। একমাত্র যাদের আমানত গ্রহণের জন্য বৈধ রেজিস্ট্রিশন শংসাপত্র আছে তারাই কেবল জন আমানত গ্রহণ করতে পারে। |
৭ . |
আমানত লগ্নি করার সময় লগ্নিকারী নন ব্যাঙ্কিং - এর কোন নিয়মকানুনগুলোর কথা মনে রাখবেন ? |
১ ) নন ব্যাঙ্কিং কমপক্ষে ১২ মাস বা সর্বাধিক ৬০ মাসের জন্য আমানত গ্রহণ বা নবীকরণ করতে অনুমতিপ্রাপ্ত। তারা চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে হবে এই শর্তে আমানত গ্রহণ করতে পারে না । ২ ) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক নির্ধারিত বিধিবদ্ধ হারের বেশি হারে সুদের প্রস্তাব নন ব্যাঙ্কিং দিতে পারে না। সুদ প্রত্যেক বছর দেওয়া যেতে পারে অথবা চক্রবৃদ্ধিহারে তা জমতে পারে , কিন্তু ১ মাসের কম সময়ে তা হিসেব হবে না। ৩ ) নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের উপহার / ইনসেনটিভ বা অন্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা দিতে পারে না। ৪ ) নন ব্যাঙ্কিংদের কমপক্ষে একটা গ্রেড ক্রেডিট রেটিং থাকবে । ( নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রপাতি লিজ প্রদানকারী / হায়ার পারচেজ আর্থিক সংস্থা বাদে ) । ৫ ) নন ব্যাঙ্কিং - এর কাছে জমা আমানত বিমাকৃত নয়। ৬ ) নন ব্যাঙ্কিং যে আমানত ফেরত দেবেই সে সম্বন্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোনও রূপ গ্যারান্টি দেয় না।
|
৮ . |
রেটেড হওয়া এমন নন ব্যাঙ্কিং কি জমা / আমানত গ্রহণ করতে পারে ? |
ইএল / এইচপি কোম্পানি বাদে অন্য কোনও নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান রেটিং না হলে আমানত গ্রহণ করতে পারে না। |
৯ . |
কোন সংস্থা তাদের রেটিং ঠিক করে ? |
কোনও নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান নিম্নলিখিত চারটি সংস্থার যে কোনও একটি দিয়ে রেটিং করাতে পারে — সিআরআইএসআইএল (CRISIL), সিএআরই (CARE,) আইসিআরএ (ICRA) ও এফআইটিসিএইচ (FITCH) রেটিং ইণ্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। |
১০ . |
যদি কোনও নন ব্যাঙ্কিং আমানতকারীকে জমা টাকা ফেরত দিতে না পারেন তবে জমাকারী কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন ? |
কোম্পানির ল’বোর্ড বা উপভোক্তা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন বা ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারেন। |
১১ . |
আমানতকারীর স্বার্থ সুরক্ষায় কোম্পানি ল’বোর্ড কী ভূমিকা নিতে পারে ? |
শর্ত অনুযায়ী যদি কোনও নন ব্যাঙ্কিং আমানত বা তার অংশ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় তবে কোম্পানি ল’বোর্ড নিজে থেকে বা জমাকারীর কোনও আবেদনের ভিত্তিতে ঐ সংস্থাকে সঙ্গে সঙ্গে বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা বা তার অংশ ফেরত দেওয়ার আদেশ দিতে পারেন। |
১২ . |
কোম্পানি ল’বোর্ডের কলকাতা বেঞ্চের ঠিকানা কী ? |
বেঞ্চ আধিকারিক , কোম্পানি ল’বোর্ড , পূর্বাঞ্চল বেঞ্চ , ৯ , ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রীট , সপ্তম তল , কলকাতা – ৭০০০০১। ফোন : ২২৪৮ - ৬৩৩০ । ( এলাকা পশ্চিমবঙ্গ , ওড়িশা , বিহার , অসম , ত্রিপুরা , মণিপুর , নাগাল্যান্ড , মেঘালয় , অরুণাচল প্রদেশ , মিজোরাম , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ) । |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
প্রায়ই দেখা যায় পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা অসম্পূর্ণ তথ্য পরিবেশন করে উপভোক্তাকে বিভ্রান্ত করেন। উপভোক্তাদের সম্পূর্ণ তথ্য জানানোর জন্য কি কোনও ব্যবস্থা আছে ? |
অসম্পূর্ণ বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন আইনানুগ নয়। প্রত্যেক মাসে উপভোক্তাকে মোট কত টাকা কী ভাবে দিতে হবে তা পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে। |
২ . |
যদি পরিষেবা মূল্যের কোনও পরিবর্তন হয় তবে কি তা উপভোক্তাকে আগে জানাতে হবে ? |
যখনই কোনও গ্রাহকের নির্বাচিত প্ল্যানে কোনও রকম পরিবর্তন ঘটানো হবে , তা সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। |
৩ . |
উপভোক্তা যদি একটি প্যাকেজ থেকে অন্য প্যাকেজে যেতে চায় তবে তাকে তার জন্য কি মূল্য দিতে হবে ? |
যদি পরিষেবা প্রদানকারী পরিবর্তিত হয় , তবে প্রাথমিক চার্জ দিতে হবে। কিন্তু যদি একই পরিষেবা প্রদানকারীর অধীনে এক স্কিম থেকে আর এক স্কিমে যেতে হয় তবে তার জন্য কিছু দিতে হয় না। |
৪ . |
পরিষেবা প্রদানকারী কি নিজের ইচ্ছেমতো পরিষেবা মূল্য বা প্ল্যানের পরিবর্তন ঘটাতে পারে ? |
উপভোক্তা যে দিন থেকে স্কিমে তালিকাভুক্ত হয়েছেন তার থেকে ৬ মাসের মধ্যে মূল্যের বৃদ্ধি করা যাবে না। তবে মূল্য হ্রাস করতে কোনও বাধা নেই। |
৫ . |
উপভোক্তা কি ইচ্ছে করলে যে কোনও সময় এক স্কিম থেকে অন্য স্কিমে যেতে পারেন ? |
হ্যাঁ। এর জন্য তাকে অতিরিক্ত কোনও মূল্য দিতে হবে না। |
৬ . |
যে সমস্ত উপভোক্তা অগ্রিম মূল্য দিয়ে পরিষেবা কেনেন , তাঁদের ক্ষেত্রে সেই টাকা শেষ হয়ে গেলে তারা আর কী পরিষেবা পেতে পারেন ? |
‘ টক টাইম’ শেষ হয়ে গেলেও বৈধ সময়ের মধ্যে অন্যান্য সমস্ত পরিষেবাই পাবেন। |
৭ . |
পরিষেবা প্রদানকারী কি ইচ্ছে করলেই কোনও মূল্যযুক্ত পরিষেবা মূল্য পরিবর্তন করতে পারে ? |
যে সমস্ত পরিষেবা আগে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে তার কোনওটিই উপভোক্তার সম্মতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না। |
৮ . |
অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পরিষেবার কথা — যেমন কুইজ , রিংটোন ইত্যাদির কথা পরিষেবা প্রদানকারী বলে থাকেন কিন্তু কোনও মূল্য উল্লেখ করেন না , পরিবর্তে ‘শর্তাবলি প্রযোজ্য’ কথাটি ব্যাখ্যা করেন। এটা কতদূর সঠিক ? |
এই ধরনের যে কোনও পরিষেবার মূল্য পরিষ্কার ভাবে উপভোক্তাকে জানিয়ে দিতে হবে। |
৯ . |
টেলিফোনের ত্রুটি সারাতে দেরি হলে কী ধরনের রিবেট পাওয়া যাবে ? |
তিন দিনের বেশি দেরি হলেই রিবেট দিতে হবে। তিন দিনের বেশি কিন্তু সাত দিনের কম সময়ের ক্ষেত্রে ৭ দিনের ভাড়া রিবেট দিতে হবে। সাত দিনের বেশি কিন্তু পনেরো দিনের কম হলে পনেরো দিনের ভাড়া রিবেট দিতে হবে। পনেরো দিনের বেশি হলে ১ মাসের রিবেট দিতে হবে। |
১০ . |
উপভোক্তার দেওয়া অগ্রিম মূল্যের আর কত বাকি আছে তা জানানোর কি কোনও ব্যবস্থা আছে ? |
অগ্রিম মূল্যের ৮০ শতাংশ শেষ হওয়া মাত্র তা উপভোক্তাকে জানিয়ে দিতে হবে। |
১১ . |
সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত দেওয়ার জন্য কি কোনও সময়সীমা আছে ? |
যদি কোনও বকেয়া থাকে তবে তা কেটে নিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় বছরে ১০ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। |
১২ . |
এসটিডি / আইএসডি কলের জন্য কি বিস্তারিত বিবরণ সহ বিল দেওয়ার কথা ? |
পোস্ট পেড পরিষেবা গ্রহণকারী চাইলে বিনামূল্যে এই বিবরণ দিতে হবে। |
১৩ . |
মোবাইল নম্বরটি অপরিবর্তিত রেখে কি সার্ভিস প্রোভাইডার বদল করা যায় ? |
হ্যাঁ , আপনার কাঙ্খিত সার্ভিস প্রোভাইডারের থেকে ‘‘কাস্টমার অ্যাকুইজিসন ফর্ম ( সিএএফ ) এবং পোটিং ফর্ম সংগ্রহ করে যে মোবাইল নম্বরটি অপরিবর্তিত রাখতে চান সেখান থেকে PORT শব্দটি লিখে স্পেস দিয়ে অপরিবর্তনীয় মোবাইল নম্বরটি লিখে ১৯০০ নম্বরে SMS করুন , এর পর নতুন সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে পূরণ করা কাস্টমার অ্যাকুইজিসন ফর্ম ( সিএএফ ) এবং পোটিং ফর্ম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পরে নতুন সার্ভিস প্রোভাইডারের দেওয়া SIM CARD নিয়ে পুরোনোটি বদলে ফেলুন। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
রিজার্ভেশন থাকা সত্ত্বেও যদি আসন না পান তবে উপভোক্তা কী প্রতিবিধান পাবেন ? |
রেল কর্তৃপক্ষ সেই যাত্রীকে নিম্নতর শ্রেণিতে আসন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন এবং টিকিটের মূল্যের পার্থক্য যা হবে তা ফেরত দেবেন। |
২ . |
বাতানুকুল কামরার বাতানুকুল যন্ত্রটি যদি চালু না থাকে তবে যাত্রী কী প্রতিবিধান পাবেন ? |
বাতানুকুল এবং অ - বাতানুকুল শ্রেণির ভাড়ার পার্থক্য যা হবে সেই টাকা ফেরত পাবেন। |
৩ . |
বাতানুকুল যন্ত্র যে চালু ছিল না তা প্রমাণ করা যাবে কী করে ? |
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ভ্রমণকালীন অবস্থায় টিটিই অথবা গার্ডের থেকে একটি সার্টিফিকেট নিয়ে রাখবেন। |
৪ . |
যদি টিকিটের দামের মধ্যে খাবার , বিছানা ইত্যাদির দাম ধরা থাকে এবং যদি খাবার , বিছানা না দেওয়া হয় অথবা নিম্নমানের হয় তবে যাত্রী কী প্রতিবিধান পাবেন ? |
উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ ফেরত । |
৫ . |
যাত্রাকালীন কোনও দুর্ঘটনা , ডাকাতি ইত্যাদির জন্য যদি কোনও যাত্রীর মৃত্যু হয় বা তিনি আহত হন , তবে কী প্রতিবিধানের ব্যবস্থা আছে ? |
উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। |
৬ . |
অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কোথায় তা জানাবেন ? |
সংশ্লিষ্ট স্টেশন মাস্টার , অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অথবা কার্যকরী অধিকর্তা , জন অভিযোগ। |
৭ . |
ভ্রমণ চলাকালীন কি যাত্রিদের অভিযোগ জানাবার কোনও উপায় আছে ? |
গার্ড অথবা ট্রেন সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে থাকা অভিযোগ খাতায় তারা অভিযোগ লেখাতে পারেন। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
ইনসিওরেন্স ওমবুড্স্ম্যান প্রতিষ্ঠান কী ? |
ইনসিওরেন্স সংক্রান্ত অভিযোগের দ্রুত মীমাংসার জন্য ভারত সরকার এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। |
২ . |
ইনসিওরেন্স ওমবুড্স্ম্যান নিয়োগের কারণ কী ? |
আঞ্চলিক স্তরে উপভোক্তা বিরোধ মীমাংসার জন্য ইনসিওরেন্স ওমবুড্স্ম্যান নিয়োগ করা হয়। |
৩ . |
পশ্চিমবঙ্গ , বিহার , ঝাড়খণ্ড , আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং সিকিমের জন্য নিযুক্ত ওমবুড্স্ম্যানের ঠিকানা কী ? |
নর্থ ব্রিটিশ বিল্ডিং ২৯ , নেতাজি সুভাষ রোড চতুর্থ তল , কলকাতা – ৭০০০০১ ফোন : ২২১৩ - ৪৮৬৯ / ৪৮৬৭ / ৪৮৬৬ ফ্যাক্স : ২২১৩ - ৪৮৬৮ , ই - মেল : iombkol@vsnl.net |
৪ . |
ওমবুড্স্ম্যানের কাজ কী ? |
তিনি ইনসিওরেন্স সংক্রান্ত জন অভিযোগ গ্রহণ ও মীমাংসা করেন। |
৫ . |
ওমবুড্স্ম্যান কত টাকা পর্যন্ত বিরোধের মীমাংসা করতে পারেন ? |
কুড়ি লক্ষ টাকা। |
৬ . |
অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি কী ? |
ওমবুড্স্ম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। |
৭ . |
অভিযোগ জানানোর কি কোনও পূর্বশর্ত আছে ? |
বিমাকারীর কাছে অভিযোগ জানাতে হবে এবং হয় বিমাকারী অভিযোগ বাতিল করেছেন অথবা এক মাসের মধ্যে অভিযোগকারী কোনও জবাব পাননি অথবা বিমাকারীর সিদ্ধান্ত অভিযোগকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এক বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে। একই অভিযোগ অন্য কোনও আদালত বা ফোরাম বিবেচনাধীন হলে চলবে না। |
৮ . |
ওমবুড্স্ম্যান কত দিনের মধ্যে অভিযোগ মীমাংসা করবেন ? |
অভিযোগ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে। |
৯ . |
ওমবুড্স্ম্যানের সিদ্ধান্ত মানা কি বিমাকারীর পক্ষে বাধ্যতামূলক ? |
হ্যাঁ। |
১০ . |
যদি অভিযোগকারী ওমবুড্স্ম্যানের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন তবে তিনি কোথায় যাবেন ? |
উপভোক্তা ফোরাম অথবা উপযুক্ত আদালত। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রমিক সংখ্যা |
প্রশ্ন |
উত্তর |
১ . |
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে উপভোক্তারা কোথায় অভিযোগ জানাবেন ? |
উপভোক্তা ফোরাম। উপভোক্তারা চাইলে অ্যাডভার্টাসিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছেও অভিযোগ জানাতে পারেন। |
২ . |
অ্যাডভার্টাসিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল কী ? |
বিজ্ঞাপন শিল্পের একটি স্ব - নিয়ন্ত্রক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। |
৩ . |
এই সংস্থার কাজ কী ? |
উপভোক্তাদের স্বার্থে সৎ বিজ্ঞাপন পদ্ধতির প্রসার ঘটানো। |
৪ . |
তাদের কাছে উপভোক্তা কী প্রতিবিধান পেতে পারেন ? |
তারা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের প্রত্যাহার করানোর জন্য সচেষ্ট হবেন। |
৫ . |
তাদের ঠিকানা কী ? |
২০৫ , বোম্বে মার্কেট , তারদেও রোড , মুম্বই – ৪০০৩০৪। |
৬ . |
উপভোক্তা ফোরামে কী প্রতিবিধান পাওয়া যেতে পারে ? |
ফোরাম সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনদাতাকে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং তার ক্ষতিকর দিক প্রশমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিতে পারে। |
সূত্র : উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় বিপক্ষে গেলেই অনেক সময় হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়ছেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা। চাইছেন স্থগিতাদেশ। ফলে গ্রাহকের কাছে দীর্ঘ হচ্ছে সুবিচার মেলার প্রক্রিয়া। অভিযুক্তদের এ ভাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার। ক্রেতা সুরক্ষা দিবসের ঠিক আগে শনিবার এ কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
ক্রেতার নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা নিয়ে এ দিন বণিকসভা ফিকির সঙ্গে যৌথ ভাবে এক আলোচনার আয়োজন করেছিল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। প্রথমে সভায় এবং পরে সাধনবাবু অভিযুক্তদের হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার ওই প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলায় হেরে স্থগিতাদেশের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এবং অনেক ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ পেয়েও যাচ্ছেন। ফলে কার্যত প্রশ্ন উঠছে ক্রেতা সুরক্ষা নিয়েই। তাঁর দাবি, ক্রেতা সুরক্ষার মামলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেই হওয়া উচিত। এ জন্য জেলা থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত ফোরাম বা আদালত রয়েছে। ক্রেতা-বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চতর আদালতে যেতে গেলে সেখানেই যাওয়া উচিত বলে সাধনবাবুর দাবি।
মন্ত্রী জানান, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের মামলার এক্তিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদালতের পক্ষেই রায় দিয়েছে, আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও কোন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা তিনি জানাননি। তবে সেই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, এ বার এ রাজ্যেও ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের জন্য কোনও অভিযুক্ত যাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে না পারেন, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আবেদন (এসএলপি) জানাবেন তাঁরা।
ক্রেতার অধিকার নিশ্চিত করতেও পরিকাঠামো বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তার মধ্যে রয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নিয়মকানুন তৈরি এবং নতুন ভাবনার জন্য দফতরকে সাহায্য করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া। সেখানে দফতরের সচিব ছাড়াও আইআইএম-কলকাতা ও আইআইটি-খড়গপুরের অধ্যাপক এবং ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলনে যুক্তরা থাকবেন।
পাশাপাশি, নাগরিকেরা সরকারি পরিষেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, তা-ও এ বার খতিয়ে দেখবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। সরকারি দফতরগুলি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে লিখিত ভাবে জানাবে যে, তারা কি ধরনের পরিষেবা দিচ্ছে। শীঘ্রই একটি কমিশনও গড়া হবে। সরকারি পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ সেখানে জানানো যাবে।
সাধনবাবু জানান, এপ্রিল থেকে রাজ্যের সবক’টি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে ক্রেতা সহায়ক কেন্দ্র চালু হবে। কলকাতায় তৃতীয় ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম এবং রাজ্য কমিশনের আরও একটি বেঞ্চ চালুর কথাও জানান ক্রেতা সুরক্ষা সচিব এ সুব্বাইয়া।
সূত্র : নিজস্ব সংবাদদাতা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৫ মার্চ ২০১৫
জিএসটি ’র খুঁটিনাটি
একটি বিশেষ কর ব্যবস্থা যা বর্তমান পরোক্ষ করের পরিবর্তে কার্যকর হবে ৷ পণ্য এবং পরিষেবা, দু'টির উপরই কার্যকর হবে জিএসটি ৷ এই কর ব্যবস্থার দু'টি স্তর বা কাঠামো। কেন্দ্রীয় জিএসটি এবং রাজ্য জিএসটি ৷ পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হলে কেন্দ্রে ও রাজ্যের একাধিক কর বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় করের বিলুপ্তিতে রয়েছে, সেন্ট্রাল এক্সাইজ ডিউটি, অতিরিক্ত আবগারি ও কাস্টম ডিউটি, স্পেশাল অ্যাডিশনাল ডিউটি অফ কাস্টমস বা স্যাড, পরিষেবা কর ৷ পণ্য ও পরিষেবা প্রদানে সেস ও সারচার্জ ৷
রাজ্যের করের বিলুপ্তি রয়েছে, ভ্যাট, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর, পারচেজ ট্যাক্স, লাক্সারি ট্যাক্স, প্রবেশ কর, বিনোদন কর বিজ্ঞাপন, লটারি, বাজি ও জুয়ায় কর, স্টেট সেস অ্যান্ড সারচার্জ ৷
অর্থনীতিবিদের একটা বড় অংশের মতে, জিএসটি চালু হলে লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি। উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষও। জিএসটির সুবিধা হল করফাঁকি রোধ, কমবে করের হার, কমবে কর ব্যবস্থার জটিলতাও, ব্যবসা-বাণিজ্যের সরলীকরণ, বাড়বে জাতীয় আয় ৷
এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যেগুলো বুঝতেও পারেন না ক্রেতা বা উপভোক্তা। পরতে পরতে কর না চাপিয়ে, দেশে একটি মাত্র কর ব্যবস্থা চালু করাই জিএসটির লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০০ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রথম অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার কর প্রথা চালুর বিষয়ে সওয়াল করেন। কারণ, আর্থিকভাবে উন্নত যে কোনও দেশে এই প্রথাই চলে। কীভাবে সেই কর ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা ঠিক করতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি এমপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি হয়। এরাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে ইউপিএ সরকার জিএসটি চালুর পথে এগয়। এখন বিজেপি সরকারও তা চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কমিটির চেয়ারম্যান এখন এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
এখন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে আলাদা আলাদা নামে কর কেটে নেয়। যেহেতু জিএসটি’র মূল লক্ষ্য হল অভিন্ন কর-কাঠামো গড়া, তাই এক্ষেত্রে মূল দু’টি ভাগ রাখা হয়েছে। একটি স্টেট জিএসটি বা এসজিএসটি, অন্যটি সেন্ট্রাল জিএসটি বা সিজিএসটি। নাম যাই-ই হোক না কেন, করের হার হবে একই। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কর আদায় করবে, কোন ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র, তা ঠিক হবে খসড়া জিএসটি বিলে। কত টাকা ভাগাভাগি হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে, সেই বিষয়ও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দু’টি রাজ্যের মধ্যে কাঁচামাল বা পণ্য আদানপ্রদান হলে, তার হিসাবই বা কী হবে, সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কর ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে জিনিস পৌঁছাবে। কারণ, এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। আর তার ফলেই একদিকে যেমন দাম বাড়ে, তেমনই তাতে জটিলতাও থাকে। জিএসটি চালু হলে প্রস্তুত হওয়া পণ্য কিনতে গেলে, একমাত্র সেই সময়ই কর চাপানো হবে। সেটি ধার্য হবে এমনভাবে, যাতে শেষ পর্যন্ত তা চাপবে উৎপাদন খরচের উপর। অর্থাৎ, হরেক করের চাপ মুক্ত হবে সেই পণ্য। পণ্যের দাম কমলেই বিক্রি হবে বেশি। তাতে উৎপাদন হবে বেশি। অর্থনীতি এগবে।
অসুবিধা ঠিক কী, তা এখনও নির্দিষ্ট নয়। তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিল আসছে, সরকারের পরিকাঠামো কি তার জন্য যথাযথ? ছোট শিল্প এতে সমস্যায় পড়বে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মদ বা অ্যালকোহল, তামাকজাত দ্রব্য এবং পেট্রলিয়ামজাত পণ্য এর আওতায় আসবে না।
তথ্য সঙ্কলনঃ বিকাশ পিডিয়া কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টীম
“অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর বিল নিয়ে প্রায়ই যে প্রশ্নগুলি করাহয়ে থাকে ”এইসব প্রশ্নের উত্তরগুলি নীচে দেওয়া হোল !
উত্তর : জি.এস.টি হচ্ছে সমগ্র দেশের জন্যঅভিন্ন পরোক্ষ কর। এটি ভারতকে এক অভিন্ন ও একত্রিত বাজারে পরিনত করবে। জি.এস.টি উৎপাদনকারীথেকে গ্রাহক পর্যন্ত, পন্য ও পরিষেবার যোগানের জন্য একক কর। কোনো পণ্যের ওপরআরোপিত কর প্রতি পর্যায়ে একবার প্রদত্ত হলে, তা পরবর্তি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যটিরমূল্য সংযোজনের পর্যায়ে পাওয়া যাবে। যার জন্য জি.এস.টি-কে প্রধানতঃ কেবলমাত্রপণ্যটির প্রত্যেক মূল্য সংযোজনের পর্যায়ের কর বলা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে গ্রাহককেকেবলমাত্র যোগান শৃঙ্খলের শেষ পর্যায়ের ডিলারের ধার্য করা জি.এস.টি বা কর দিতেহবে। এর সুবিধা হবে মূল্য সংযোজনের প্রত্যেক পর্যায়ের ধার্য করের জের পরবর্তিপর্যায়ে টানা হবে না।
উত্তর :শিল্প ও বানিজ্যের সঙ্গে যুক্তব্যক্তিদের জন্য সহজে মান্যতা
একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও সার্বিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্হা ভারতে জি.এস.টি. প্রনালীর ভিত্তি হবে। কাজেই, এই কর প্রদানেরজন্য সমস্ত কাজ, যেমন নথিভুক্তি, রিটার্ন বা করের হিসাব, করপ্রদানের মতো কাজগুলিকরার জন্য করদাতারা অনলাইনের সুবিধা পাবেন, যার ফলে, এই ব্যবস্হার মান্যতা সহজ ওস্বচ্ছ হবে।
জি.এস.টি-তে যাতে পরোক্ষ করের হার ও কর কাঠামো সারা দেশেই অভিন্ন থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। ফলে করের ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা বাড়বে এবং ব্যবসার সুবিধা ও বৃদ্ধি পাবে। অন্য কথায় বলতে গেল, জি.এস.টি ব্যবস্হার ফলে দেশের মধ্যে ব্যবসা করাটা স্হান ও করহার নিরপেক্ষ হয়ে উঠবে। ব্যবসা দেশের যেখানই হোক না করের হার একই থাকবে।
একটি পণ্যের মূল্যশৃঙ্খলের পুরো ব্যস্হার মধ্যে একটি সরল কর আরোপ প্রণালী কাজ করার ফলে, যে কোনো রাজ্যের সীমানার মধ্যে কর আরোপের পুনরাবৃত্তি সবচেয়ে কম হবে। এর ফলে ব্যবসা করা জন্য লুকনো ব্যয় কমবে।
উন্নত প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্হা
ব্যবসায়িক লেনদেনের ব্যয় কমলে, শিল্প-বানিজ্য ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার উন্নত পরিষেবা সৃষ্টি হবে।
উৎপাদনকারী ও রপ্তানীকারদের লাভ
প্রধান প্রধান কেন্দ্রীয় ও রাজ্যপর্যায়ের করগুলি, পণ্য-পরিষেবা কর বা জি.এস.টি-তে মিশে যাওয়ার ফলে, আগে ধার্য্যকরের ওপর নতুনকরে পরবর্তী পর্যায়ে কর আরোপের প্রথা বন্ধ হওয়ার ফলে, স্হানীয়ভাবে উৎপাদিতপণ্য ও পরিষেবার মূল্য হ্রাস পাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্য ওপরিষেবার প্রতিযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতীয় পরিষেবা পণ্য সম্ভারেররপ্তানীর সুযোগও বাড়বে। এছাড়া, সারা দেশে করের হার ও পদ্ধতিতে সার্বজনীনতার ফলেকরপ্রদানের মান্যতা বাবদ ব্যয়ও কমবে।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ে বহু ধরনেরপরোক্ষ করগুলির জায়গা নেবে জি.এস.টি। একটি প্রান্ত থেকে প্রান্ত পর্যন্ত সার্বিক ওজোরালো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্হার ফলে, জি.এস.টি-র প্রশাসনিক কাজগুলি, এযাবৎকালপ্রচলিত কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের সমস্ত পরোক্ষ করের আদায়ের জন্য প্রশাসনিক কাজেরথেকে সরল ও সহজতর হবে।
কর ফাঁকি আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাবে
জি.এস.টি-র শক্তিশালী তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামোর ফলে করব্যবস্হার মান্যতা আরও ভালো হবে। পণ্যের মূল্য সংযুক্তি শৃঙ্খলের একটি পর্যায় থেকেপরের পর্যায়ে অবাধে প্রদেয় কর হস্তান্তরের ফলে, জি.এস.টি-র পদ্ধতিগত পরিকল্পনা ওব্যবস্হায় এটি থাকার জন্য ব্যবসায়ীরা করপ্রদানে উৎসাহিত বোধ করবেন।
উচ্চতর রাজস্ব দক্ষতা
জি.এস.টি-র রূপায়ণের ফলে কর রাজস্বআদায়ের খরচ কমবে এবং এর ফলে উচ্চহারে রাজস্ব সাশ্রয় হবে।
পণ্য ও পরিষেবার গুনমানের সঙ্গেসামঞ্জস্যপূর্ণ একক ও স্বচ্ছ কর
বর্তমানে আমাদের দেশেকেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি পণ্যের ওপর বহু ধরনের কর আরোপ করার ফলে, এবং মূল্যসংযুক্তির পরবর্তি পর্যায়ে অসম্পূর্ণ কর হস্তান্তর বা আদৌ কর হস্তান্তর না হওয়ারসমস্যার ফলে, অধিকাংশ পণ্য ও পরিষেবা ও তাদের ওপর লুকনো কর ধার্য হয়। কিন্তুজি.এস.টি-র আওতার উৎপাদক থেকে গ্রাহকপর্যন্ত কেবলমান্ত্র একটি কর থাকার ফলে, শেষ পর্বের গ্রাহককে কতো কর দিতে হচ্ছে, সেক্ষেত্রেস্বচ্ছতা আসবে।
করের বোঝা লাঘব হবে
জি.এস.টিব্যবস্হায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবংসাশ্রয়ের ফলে, অধিকাংশ পণ্যের ওপর করের বোঝা মোটের ওপর কমবে, এতে গ্রাহকরা উপকৃতহবেন।
উত্তর :
কেন্দ্রীয় স্তরে নিম্নলিখিত করগুলি নতুনকর ব্যবস্হায় মিশে যাবে :
রাজ্য পর্যায়ে নিম্নলিখিত করগুলিজি.এস.টি-তে মিশে যাবে :
সময়ানুক্রমিকভাবে জি.এস.টি পেশের আগেরঘটনাবলী কি রকম ?
উত্তর : পরোক্ষ কর নিয়ে কেলকার টাস্ক ফোর্সেররিপোর্টে এখন থেক ১৩ বছর আগে বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। জি.এস.টি-র প্রধানঘটনাক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরন নিম্নরূপ :
ক) ২০০৩-এ পরোক্ষ কর নিয়ে কেলকার টাস্কফোর্সের রিপোর্টে একটি সার্বিক পণ্য ও পরিষেবা করের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
খ) ২০০৬-০৭ এর বাজেট বক্তৃতায়, ২০১০এর১লা এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে পণ্য ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত বিল পেশের প্রস্তাবকরা হয়।
গ) যেহেতু এই প্রস্তাবের সঙ্গে,শুধুমাত্র কেন্দ্র কর্তৃক ধার্য পরোক্ষ করই নয়। রাজ্যগুলির ধার্য পরোক্ষ করেরসংস্কার ও পুনর্গঠন করার বিষয়টি জড়িত ছিল, এই জি.এস.টি রূপায়নের জন্য এরপরিকল্পনা ও পথ নির্দেশিকা তৈরির দায়িত্ব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের এক ক্ষমতাপ্রাপ্তকমিটির হাতে দেওয়া হয়েছিল।
ঘ) ভারত সরকার ও রাজ্যগুলির কাছ থেকেপ্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঐ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি ২০০৯-এর নভেম্বর মাসে তাদের তৈরিপ্রথম আলোচনাপত্র প্রকাশ করে।
ঙ) ২০০৯-এর সেপ্টেম্বর মাসে জি এস টিসংক্রান্ত কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের নিয়ে একযৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠন করা হয়।
চ) সংসদে জি এস টি বিলটি পেশ করতেসংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে ২০১১ সালের মার্চে ১১৫তম সংবিধান সংশোধনী বিল লোকসভায়পেশ করা হয়। সংসদীয় বিধি মেনে বিলটিকে পরীক্ষা ও রিপোর্টের জন্য অর্থ দপ্তরেরসংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
ছ) এদিকে, ২০১২’র ৮ নভেম্বর তারিখেকেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির বৈঠকে গৃহীতসিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্র, রাজ্য ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির আধিকারিকদের নিয়ে একটিজি এস টি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
জ) নবগঠিত এই কমিটি জি এস টি প্রণয়নও১১৫তম সংবিধান সংশোধন বিল নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে এবং ২০১৩’র জানুয়ারি’তেতাদের রিপোর্ট পেশ করে। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি ২০১৩সালের জানুয়ারি মাসেই ভুবনেশ্বরে তাদের বৈঠকে সংবিধান সংশোধনী বিলটি কিছুপরিবর্তনের সুপারিশ করে।
ঝ) ভুবনেশ্বরে কমিটির ঐ বৈঠকে জি এস টিবিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য তিনটি আধিকারিক পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।এই কমিটিগুলি ছিল নিম্নরূপ :-
ঞ) ২০১৩’রআগস্ট মাসে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি লোকসভায় তাদের রিপোর্ট পেশ করে। স্থায়ী কমিটি ওক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির সুপারিশগুলি অর্থ মন্ত্রক ও আইন মন্ত্রকে পরীক্ষা করে দেখাহয়। সংসদীয় কমিটি ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির করা অধিকাংশ সুপারিশই গৃহীত হয় এবং খসড়াসংশোধনী বিলটিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়।
ট) ২০১৩’রসেপ্টেম্বরে সংবিধান সংশোধন বিলের চূড়ান্ত খসড়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহ বিবেচনারজন্য পুনরায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
ঠ) ২০১৩’রনভেম্বরে শিলং-এ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত খসড়ায় আবার নতুন কিছুপরিবর্তনের সুপারিশ করা হয় । ১১৫তম সংবিধানসংশোধনী বিলে পুনরায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশকে যুক্ত করে ২০১৪’রমার্চে পুনরায় কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
ড) পঞ্চদশলোকসভা ভঙ্গ হওয়ার ফলে ১১৫তম সংবিধান সংশোধনী বিল, ২০১১, যেটিকে ২০১১’র মার্চেলোকসভায় পেশ করা হয়েছিল, তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অকার্যকর হয়ে যায়।
ঢ) ২০১৪’র জুনমাসে নতুন সরকার অনুমোদন করার পর, খসড়া সংবিধান সংশোধনী বিলটি ক্ষমতাপ্রাপ্তকমিটির কাছে পুনরায় পাঠানো হয়। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির সঙ্গে বিলটির গঠন নিয়ে ব্যাপকসহমতের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা ১৭/১২/২০১৪ তারিখে বিলটিকে সংসদে পেশ করার জন্যঅনুমোদন করে। পণ্য ও পরিষেবা কর বিলটি পাশের প্রস্তুতি হিসাবে এটি করা হয়।১৯/১২/২০১৪’তে বিলটি লোকসভায় পেশ হয় এবং ০৬/০৫/২০১৫’তে বিলটি লোকসভায় পাশ হয়। এরপর, বিলটিকে রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি ২২/০৭/২০১৫’তে এ সম্পর্কেতার রিপোর্ট দেয়।
উত্তর : ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্হার কথামাথায় রেখে, জি.এস.টি-র দুটি অংশ থাকবে- কেন্দ্রীয় জি.এস.টি এবং রাজ্যপর্যায়েরজি.এস.টি। কেন্দ্র এবং রাজ্যসরকার উভয়েই যেকোন পণ্যের মূল্যশৃঙ্খলে জি.এস.টি ধার্যকরতে পারবে । সব ধরনের পণ্য ওপরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রেই এই কর ধার্য হবে। কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় পর্যায়েজি.এস.টি ধার্য করবে। অন্যদিকে রাজ্যসরকারগুলি একটি রাজ্যের ভৌগলিক সীমার মধ্যেসমস্ত বানিজ্যিক লেনদেনের ওপর জি.এস.টি ধার্য এবং সংগ্রহ করবে। কেন্দ্রীয় পর্যায়েপ্রদেয় কেন্দ্রীয় জি.এস.টি মূল্য প্রত্যেক স্তরে প্রদেয় কর হিসেবে প্রাপ্ত হবে।অনুরূপভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যস্তরে প্রদেয় জি.এস.টি সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপরমূল্য সংযোজনের পর প্রাপ্ত হবে। কেন্দ্রীয় স্তরে দেওয়া জি.এস.টি-কে রাজ্যস্তরেরজি.এস.টি-র সঙ্গে হিসাব করা যাবে না। একই রকমভাবে রাজ্যস্তরের জি.এস.টি-র সঙ্গেকেন্দ্রীয় স্তরের জি.এস.টি-র হিসাব করা যাবে না।
উত্তর : নির্দিষ্ট কিছু ছাড়প্রাপ্ত পণ্য ওপরিষেবা ছাড়া এবং জি.এস.টি-র আওতার বাইরে থাকা পণ্য অথবা যেসব লেনদেন জি.এস.টি করসীমার নিচে থাকবে, সেগুলি বাদে সমস্তরকম পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের ওপর একইসঙ্গেকেন্দ্রীয় ও রাজ্যপর্যায়ের জি.এস.টি ধার্য হবে। এছাড়াও উভয় স্তরের জি.এস.টি-ই একইমূল্যমানের ভিত্তিতে ধার্য করা হবে। কেন্দ্রীয় অন্তঃশুল্ক সহ যেভাবে পণ্যেরমূল্যের ওপর রাজ্যপর্যায়ের মূল্য সংযোজিত কর বা ভ্যাট ধার্য হয় এক্ষেত্রেসেক্ষেত্রে সেই নীতি কার্যকর হবে না।
উত্তর :হ্যাঁ, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের জি.এস.টিথেকে প্রাপ্ত অর্থ যুগপৎ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। অনুরূপভাবে রাজ্যপর্যায়েরজি.এস.টি থেকে প্রাপ্ত অর্থও যুগপৎ ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবেআন্তঃরাজ্য জি.এস.টি মডেলের আওতার বাইরে কেন্দ্র এবং রাজ্যপর্যায়ের জি.এস.টি থেকেপ্রাপ্ত রাজস্ব বা অর্থ যুগপৎ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। আন্তঃরাজ্যজি.এস.টি-র মডেল বিষয়ে পরের প্রশ্নে বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়া হয়েছে।
উত্তর : আন্তঃরাজ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রসংবিধানের ২৬৯এ (১) ধারা অনুসারে সমস্ত আন্তঃরাজ্য পণ্য ও পরিষেবার ওপর কেন্দ্রসংহত হারে পণ্য ও পরিষেবা কর ধার্য করবে। আন্তঃরাজ্য জি এস টি মোটামুটিভাবেকেন্দ্রীয় জি এস টি এবং রাজ্য পর্যায়ের জি এস টি-র মোট মূল্যের যোগফলের সমান হবে।সংহত জি এস টি ব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যেইনপুট ট্যাক্স থেকে প্রাপ্ত অর্থ অবাধে হস্তান্তরিত হতে পারে। আন্তঃরাজ্যবিক্রেতারা তাদের পণ্যের ওপর ধার্য সংহত জি এস টি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করবে।তবে, তার আগে তার পণ্য ক্রয়ের ওপর, সংহত জি এস টি, কেন্দ্রীয় জি এস টি এবং রাজ্যপর্যায়ের জি এস টি-র জন্য প্রদত্ত অর্থের হিসাব বাদ দেওয়া হবে। রপ্তানিকারী রাজ্যকেন্দ্রীয় সরকারকে সংহত জি এস টি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাজ্য পর্যায়ের জি এস টিহস্তান্তর করবে। আমদানিকারক ব্যবসায়ী তাঁর নিজ রাজ্যে আউটপুট কর বাবদ প্রদেয়কেন্দ্রীয় জি এস টি এবং রাজ্য পর্যায়ের জি এস টি দেওয়ার আগে সংহত জি এস টি থেকেতার প্রাপ্ত অর্থ দাবি করবেন। কেন্দ্র, আমদানিকারক রাজ্যকে রাজ্য পর্যায়ের জি এসটি বাবদ অর্থ সংহত জি এস টি থেকে হস্তান্তর করবে। যেহেতু, জি এস টি একটিদূরত্বভিত্তিক কর, একটি পণ্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে সমস্ত রাজ্য পর্যায়ের জি এস টিসাধারণভাবে ভোক্তা রাজ্য পাবে।
উত্তর : দেশে জি এস টি রূপায়ণের জন্য কেন্দ্র ওরাজ্য সরকারগুলি যৌথ উদ্যোগে লাভের জন্য নয় এই ধরনের একটি নথিভুক্ত পণ্য এবংপরিষেবা কর নেটওয়ার্ক বিষয়ক বেসরকারি কোম্পানি গড়ে তুলবে। এখান থেকে কেন্দ্রীয় এবংরাজ্য সরকারগুলিকে, করদাতাদের এবং অন্যান্যদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিকপরিকাঠামো এবং পরিষেবার সুবিধা প্রদান করা হয়। নথিভুক্ত পণ্য এবং পরিষেবা করনেটওয়ার্ক বা জি এস টি এন করদাতাদের জন্য একটি প্রামাণ্য এবং সার্বজনীন ব্যবস্থাহিসেবে গড়ে উঠবে। এছাড়া, এখান থেকে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিতঅঞ্চলের সরকারও পরিষেবা নিতে পারবে।
জি এস টি এন একটি অত্যাধুনিক এবং সার্বিক তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিকপরিকাঠামো হিসেবে কাজ করবে। এর মধ্যে সাধারণ জি এস টি পোর্টাল ছাড়াও সমস্তকরদাতাদের জন্য নথিভুক্তি, রিটার্ন জমা দেওয়া, অডিট, অ্যাসেসমেন্ট, আপিল করারব্যবস্থা থাকবে। জি এস টি ব্যবস্থা পরিচালনের জন্য সমস্ত রাজ্য, হিসাব-নিকাশসংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিও তাদের নিজস্বতথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে।
এই ব্যবস্থায় অনলাইন পদ্ধতিতেই কেবলমাত্র সব ধরনের কর প্রদানকরা যাবে। রিটার্ন ফাইলের ক্ষেত্রে যে কোন ধরনের হিসাবের গণ্ডগোল স্বয়ংক্রিয়পদ্ধতিতে জানানো হবে। এই ক্ষেত্রে বাইরে থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। অধিকাংশরিটার্নই হবে নিজস্ব হিসাব-ভিত্তিক।
উত্তর : প্রস্তাবিত জি এস টি ব্যবস্থায়,অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক বা সি ভি ডি এবং বিশেষ অতিরিক্ত শুল্ক বা এস এ ডি, যাবর্তমানে আমদানির ওপর ধার্য করা হয়, সেগুলি জি এস টি-তে মিশে যাবে। সংবিধানের ২৯৬এধারার ১ নম্বর উপ-ধারার ব্যাখ্যা অনুসারে ভারতের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে সব ধরনেরআমদানির ওপর সংহত জি এস টি ধার্য করা হবে। বর্তমান ব্যবস্থার মতো না হয়ে, যেরাজ্যে আমদানিকৃত পণ্যগুলি ভোগ করা হবে, সেই রাজ্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সংহত জিএস টি-র অংশ পাবে।
উত্তর : এই বিলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ :
ক) সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির হাতে পণ্য এবং পরিষেবা করসংক্রান্ত আইন প্রণয়নের যুগপৎ ক্ষমতা দেওয়া হবে।
খ) কেন্দ্রীয় এক্সাইজ ডিউটি বা অন্তঃশুল্ক, অতিরিক্তঅন্তঃশুল্ক, পরিষেবা কর, অতিরিক্ত সীমা শুল্ক বা কাউন্টারভেইলিং ডিউটি এবং বিশেষঅতিরিক্ত সীমা শুল্কের মতো বিভিন্ন ধরনের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ করগুলিকে জি এস টিব্যবস্থায় মিশিয়ে দেওয়া হবে।
গ) একইভাবে, রাজ্য পর্যায়ের মূল্য সংযুক্ত কর/বিক্রয় কর,প্রমোদ কর (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলি কর্তৃক ধার্য কর বাদে), কেন্দ্রীয়বিক্রয় কর (কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ধার্য এবং রাজ্য সংগৃহীত), অক্টরয়, প্রবেশ কর,পণ্য ক্রয়ের ওপর কর, বিলাস কর এবং লটারি, বেটিং ও জুয়ার ওপর ধার্য করগুলিকেও জি এসটি ব্যবস্থায় মিশিয়ে দেওয়া হবে।
ঘ) সংবিধানের সংস্থান অনুসারে ‘বিশেষ গুরুত্বের ঘোষিত পণ্য’-এরধারণা তুলে দেওয়া হবে।
ঙ) আন্তঃরাজ্য পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের ওপর সংহত পণ্য ওপরিষেবা কর ধার্য করা হবে।
চ) মানুষের পানের উপযুক্ত মদ্য জাতীয় পানীয় বাদে সমস্ত পণ্যএবং পরিষেবার ওপর জি এস টি ধার্য হবে। পণ্য এবং পরিষেবা কর পরিষদের সুপারিশেরভিত্তিতে পরবর্তী পর্যায়ে পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রলজাত পণ্যের ওপর ধার্য জি এস টি-রহার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
ছ) পণ্য এবং পরিষেবা কর ব্যবস্থা রূপায়ণের ফলে রাজ্যসরকারগুলির রাজস্ব ক্ষতির জন্য ৫ বছর ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
জ) একটি পণ্য এবং পরিষেবা কর পরিষদ গঠন করে, এই সংস্থার হাতেপণ্য এবং পরিষেবা কর সংক্রান্ত বিষয়গুলি পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই সমস্তকরের হার, কর, সেস, সারচার্জ, যেগুলিকে জি এস টি-র সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবরয়েছে, সে বিষয়ে; ছাড়ের সুবিধাযুক্ত পণ্যের তালিকা এবং জি এস টি-র ন্যূনতম সীমা ওমডেল জি এস টি আইন বিষয়ে এই পরিষদ তাদের সুপারিশ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকেজানাবে। এই পরিষদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে কাজ করবে এবং সমস্ত রাজ্যেরপ্রতিনিধিরা এর সদস্য হবেন।
উত্তর : এই ব্যবস্থায় নথিভুক্তিকরণের মূলবৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ :
১) ইতিমধ্যে কর ব্যবস্থায় নথিভুক্ত ব্যবসায়ী : যে সব করদাতাইতিমধ্যেই মূল্যযুক্ত কর বা ভ্যাট/কেন্দ্রীয় অন্তঃশুল্ক/পরিষেবা করের জন্যনথিভুক্ত আছেন, তাঁদের আর নতুন করে প্রস্তাবিত জি এস টি ব্যবস্থায় নথিভুক্তিকরণেরপ্রয়োজন হবে না।
২) নতুন ব্যবসায়ী : জি এস টি ব্যবস্থায় নতুন ব্যবসায়ীদেরজন্য একটিমাত্র অনলাইন আবেদন করতে হবে।
৩) নথিভুক্তি সংখ্যাটি প্যান-ভিত্তিক হবে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য –উভয় স্তরেই প্রযোজ্য হবে।
৪) উভয় কর কর্তৃপক্ষের কাছেই এটি প্রযুক্ত হবে।
৫) প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে একটি ইউনিক জি এস টি আই এন আইডি বাপরিচিতিপত্র দেওয়া হবে।
৬) আবেদনের তিনদিনের মধ্যে তা অস্থায়ীভাবে অনুমোদিত হবে।
৭) যে সব ক্ষেত্রে ঝুঁকি আছে, সেইসব ক্ষেত্রেই কেবলমাত্রনথিভুক্তি করার পর যাচাই করা হবে।
উত্তর : জি এস টি-র আওতায় রিটার্ন দাখিলেরপ্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলি নিম্নরূপ :
ক) সাধারণ রিটার্ন–ই কেন্দ্র এবং রাজ্য – উভয় সরকারেরকাজে লাগবে।
খ) জি এস টি-র কর্মপ্রক্রিয়ায় রিটার্ন দাখিলের জন্য আট ধরনেরফর্ম বা নিদর্শ দেওয়া হবে। অধিকাংশ করদাতাকে তাঁদের রিটার্ন দাখিলের জন্য সাধারণতচার ধরনের ফর্ম ব্যবহার করতে হবে। এগুলি হল – সরবরাহ সংক্রান্ত রিটার্ন, পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত রিটার্ন, মাসিক রিটার্ন এবং বার্ষিক রিটার্ন।
গ) ক্ষুদ্র করদাতা : যে সমস্ত ক্ষুদ্র করদাতা সামগ্রিকপ্রকল্প বা কম্পোজিশন স্কিমে থাকতে চাইবেন তাঁদের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে রিটার্নদাখিল করতে হবে।
ঘ) সমস্ত ধরনের রিটার্ন দাখিল সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে হবে। সমস্তধরনের কর কেবলমাত্র অনলাইনে প্রদান করা যাবে।
উত্তর : জি এস টি-র আওতায় কর প্রদানের মূলবৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ :
সূত্র: পিআইবি
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/11/2020
সামাজিক বিষয়ের উপরে বিশেষ নিবন্ধ
নাবালিকা মা, বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দে...