অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

খরগোশ পালন : প্রশ্নাবলি

খরগোশ পালন কেন করা হয় ?

প্রাণী পালনের ক্ষেত্রে খরগোশ পালন খুব একটা প্রচলিত নয়। কিন্তু আয় বাড়ানোর জন্য খরগোশ পালন একটি কম খরচের সুবিধাজনক উদ্যোগ হতে পারে। সাধারণত খরগোশ পালন করা হয় মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু মাংস ছাড়াও খরগোশের চামড়া থেকে উৎকৃষ্ট পশম পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য বেশ ভালো।

খরগোশ পালনের সুবিধাগুলি কী কী ?

  • পালন শুরু করার প্রাথমিক খরচ অনেক কম
  • অল্প জায়গায় পালন করা সম্ভব
  • খরগোশ অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির ও আকারে ছোটো হওয়ায় পালনের পক্ষে সুবিধা হয়
  • অল্প খাদ্য খেয়ে খরগোশ বেশি বাড়তে পারে এবং এদের প্রজনন ক্ষমতাও অনেক বেশি, ফলে কম সময়ে বেশি আয় হয়
  • খরগোশ সব রকম সবুজ শাকপাত খায়
  • এদের রোগ সমস্যা অনেক কম
  • দেহে হাড়ের অনুপাতে মাংসের পরিমা অনেক বেশি
  • খরগোশের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম। তাই শিশু, বৃদ্ধ এবং রুগীদের জন্য আদর্শ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য - ফলে বাজারে চাহিদা ভালো
  • খরগোশের মাংসের ক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বিধি-নিষেধ নেই, তাই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য. খরগোশের মল-মূত্র উৎকৃষ্ট জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করা যায়

খরগোশের জন্য খাবার কীরকম হবে?

রাখা হয়, ফলে অল্প জায়গায় বেশি সংখ্যক খরগোশ পালন করা য পালন করা যায়।এছাড়া বাঁশের তৈরি খাচাতে খরগোশ বড়ো হলে শাকপাতা, তরিতরকারি, ভুট্টার গুড়ো, বাদাম খোল, মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। আবার বড়ি আকারের সুষম খাবারও দেওয়া যায়। ভটামিন এবং খনিজ লবণ বার জলে গুলে খাওয়াতে হবে। এর সঙ্গে কিছু কিছু সবুজ শাকপাত খাওয় রষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে আলাদা ভাবে।

খরগোশ কোথায় ও কী ভাবে বিক্রি করা যায়? এর বাজার কেমন ?

উঃএলাকার হাট বাজারে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বা ব্লক প্রাণী পালন আধিকারিকের সাহায্য নিয়ে খরগোশ বিক্রি কর যেতে পারে। খরগোশের মাংস থেকে বিভিন্ন উপায়ে নানা রকম উপাদেয় খাবার বানানো যায়। আগেই আলোচনা করা হয়েছে, মাংস ছাড়াও খরগোশের চামড়া থেকে উৎকৃষ্ট পশম পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য অনেক বেশি।

খরগোশের সাধারণত কী কী রোগ হয় ? রোগের লক্ষণগুলি চেনা যাবে কীভাবে ?

খরগোশদের সাধারণত ককসিডিয়া, পেটফোলা, কৃমিরোগ, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। এই সব রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণী-চিকিৎসকের (ডাক্তরবাবুর) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

খরগোশের বিমা কোন কোন সংস্থায় করা যেতে পারে ?

রোগে বা অন্য কোনো কারণে খরগোশ মারা গেলে, চুরি হয়ে গেলে, হারিয়ে গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। লোকসানের হাত থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য খরগোশের বিমা করে রাখা দরকার। বিমা করা থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। বিমা করার পর প্রতিবছরই বিমার টাকা (প্রিমিয়াম) জমা দিতে হবে। কয়েকটি বিমা সংস্থার নাম ২০ নং প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে। বিমা করা বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য জেলা বা মহকুমা শহরে বিমা কোম্পানিগুলির কার্য্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

সু্ত্র: পঞ্চায়েত এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল

সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/7/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate