চলে আসা সাবেকি প্রথায় সাধারণত খোলা আকাশের নীচে রাস্তার পাশে মাছের খুচরো বাজার বসে। ধুলোবালি/সূর্যের আলোর তাপে মাছের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে থাকে। মাছবিক্রেতারা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কম দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হন এবং ক্রেতারা অনেক সময় টাটকা মাছ কেনা থেকে বঞ্চিত হন।
বিপণন ব্যবস্থায় ফড়ে বা মিডলম্যান থাকলে মাছের দাম বেড়ে যায়। ক্রেতারা চড়া দামে মাছ কিনতে বাধ্য হন। মাছবিক্রেতাদের লাভ কম হয়। ক্রেতাদের দরজায় দরজায় টাটকা মাছ বিক্রি করে ফিস মাছবিক্রেতারা যাতে লাভবান হন এবং ক্রেতারা বাড়িতে বসে টাটকা মাছ পান সেই চিন্তা করে রাজ্য মৎস্য দফতর ‘মৎস্যযান’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পে একটা রিকশা ভ্যান (তিন চাকা), ইনসুলেটেড বক্স, ব্যালেন্স অডিও বক্স, ক্যানভাসিং ক্যাসেট দেওয়া হয়।
প্রকল্পের সুবিধা —
প্রকল্পের নাম |
ডিসট্রিইবউশন অফ মৎস্যযান (মোবাইল ইনসুলেটেড ফিশ ভেন্ডিং ইউনিট) |
প্রকল্পের উপকরণ |
পরিকাঠামো ও সম্পদ |
প্রস্তাবিত ইউনিটের সংখ্যা |
৮২১ |
প্রতি ইউনিটে খরচ |
০.৫০ লক্ষ টাকা |
প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ |
৪১০.৫০ লক্ষ টাকা |
সহায়তার ধরন |
তিন চাকার সাইকেল ভ্যান সহ ইনসুলেটেড বক্স, ব্যালেন্স, অডিও সিস্টেম |
প্রকল্পের মেয়াদ |
এক বৎসর |
রূপায়ণকারী সংস্থা |
মৎস্য দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
পরিচালন ব্যবস্থা মৎস্য দফতরের হাতে।
কেবলমাত্র মাছ বিক্রির কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। তাঁদের হতে হবে পরিশ্রমী, সৎ ও বিশ্বস্ত।
সুসজ্জিত মোটররিকশা ভ্যানে দু’টি ডালায় জিওল মাছ ও বরফ দেওয়া মাছ নিয়ে মাছবিক্রেতারা দরজায় দরজায় গিয়ে মাছ বিক্রি করেন। ক্রেতারা বাড়িতে বসে পছন্দমতো মাছ কিনে নেন। বাজারে যাওয়ার সময় বাঁচে এবং মিডলম্যান/ফড়েদের কোনও ভূমিকা না থাকায় চড়া দামে মাছ কিনতে হয় না। ন্যায্য মূল্যে মাছ কেনেন।
মৎস্যযান নিম্নলিখিত উপকরণ নিয়ে গঠিত :
অডিও সিস্টেম :
রিকশা ভ্যানে অডিও সিস্টেম যুক্ত থাকবে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য ক্যাসেটে গান/মাছের পুষ্টির প্রচার চলবে। ফলে এলাকার ক্রেতারা এখানে এসে পছন্দমতো মাছ কিনবেন। মাছবিক্রেতারা দরজায় দরজায় যাওয়ার ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
মাছ মাপার ব্যালেন্স :
রিকশা ভ্যানে একটা স্প্রিং ব্যালেন্স ও মাছ কাটার চপার / বঁটি থাকবে। দু’টি ডালায় জিওল মাছ ও বরফ দেওয়া মাছ থাকবে। ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী বিক্রি
ক্রমিক সংখ্যা |
বিষয় |
টাকা |
১ |
রং করা সুসজ্জিত তিন চাকা মোটররিকশা ভ্যান |
৪০০০০ |
২ |
৭০ লিটার ইনসুলেটেড আইস বক্স |
৩৩০০ |
৩ |
অডিও বক্স ও লাইট (টেপ রেকর্ডার, প্রচার ক্যাসেট ) |
১৫০০ |
৪ |
চারটি মাছ রাখার ড্রাম |
২২০০ |
৫ |
ব্যালেন্স ও মাছ কাটার সরঞ্জাম |
১০০০ |
৬ |
এককালীন ব্যবসার নগদ টাকা |
২০০০ |
|
মোট |
৫০০০০ |
(পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র )
তথ্যসূত্র : মৎস্য দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/24/2020