এক্সেল এবং অনুরূপ প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম বাঁ দিক থেকে ডান দিকে অপারেটরের হিসেবে গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করে না। পরিবর্তে সম্পূর্ণ নিয়ম বা ফর্মুলা গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করে এবং কিছু প্রক্রিয়া বা অপারেটরকে অন্যান্য প্রক্রিয়ার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই যখন নিয়ম বা ফর্মুলা টাইপ করা হচ্ছে, তখন মনে রাখতে হবে ‘মাই ডিয়ার আন্ট স্যালি’। এই ছোট্ট স্মতি সহায়ক এর অর্থ গুণ (মাল্টিপ্লিকেশন) – ভাগ (ডিভিশন) – যোগ (অ্যাডিশন) – বিয়োগ (সাবট্র্যাকশন) ; কারণ এক্সেল প্রথমে গুণ এবং ভাগ করে (তা যে ক্রম পর্যায়েই থাকুক না কেন) এবং তার পরে যোগ ও বিয়োগ।
এর সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হল কোনও গড় হিসাব করা। যদি এই নিয়ম লেখা হয় = ১০০ + ১০০ + ১০০/৩, তবে এক্সেল উত্তর দেবে ২৩৩.৩৩৩৩। কারণ এটি প্রথমে ১০০ কে ৩ দিয়ে ভাগ করবে এবং তার পর ১০০ দু’বার যোগ করবে। এই হিসাব সঠিক ভাবে করতে গেলে এবং অন্য পর্যায়ক্রমে আনতে গেলে লঘুবন্ধনী () ব্যবহার করতে হবে। যেমন - = (১০০+১০০+১০০)/৩।
একের চেয়ে বেশি লঘুবন্ধনী ব্যবহার করতে পারা যায়, তবে প্রতিটি লঘুবন্ধনী সমান ভাবে শুরু এবং শেষ করতে হবে। যখন কোন ফর্মুলা বা নিয়ম শুরু করা হয়, তখন সাহায্য করার জন্য প্রতিটি শুরুর বন্ধনী বিভিন্ন রঙে উপস্থিত হবে। যখন শেষের বন্ধনী টাইপ করা হবে, তা শুরু বন্ধনীর অনুরূপ রঙে লেখা হয় – তাই নিশ্চিন্ত হয়ে নিতে হবে যে প্রতিটি শুরুর বন্ধনীর অনুরূপ রঙে শেষের বন্ধনী রয়েছে।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/6/2019