এক্সেলের প্রাথমিক পরিচিতি

আগে যে ভাবে শেখানো হয়েছে, একই ভাবে এক্সেল শুরু করতে হবে। নীচের ছবিতে যে রকম স্ক্রিন দেখানো হয়েছে, এক্সেল খুললে সেই রকম দেখতে হবে। অফিস প্রোগ্রামগুলির বিশিষ্টতা এবং সাধারণ উপাদানগুলি এক্সেল-এ দেখতে পাওয়া যায়। ফরম্যাটটিতে টুল বারের নীচে থাকে ‘ফরমুলা বার’, এখানে তথ্য লেখা এবং সম্পাদন করা হয়। আর থাকে ‘নেম বক্স’, যা এক্সেলের কোথায় কাজ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে বলে দেয়।

এক্সেলের স্ট্যাটাস বারের বাঁ দিকের ‘রেডি’ শব্দটি বুঝিয়ে দেয় যে আদেশ গ্রহণ করতে এক্সেল প্রস্তুত। এক্সেলে কাজ করার সময় স্ট্যাটাস বারের অন্যান্য মোড যেমন ‘এন্টার’ দেখতে পাওয়া যায়। যখন তথ্য টাইপ করা হয়, তখন যেমন ‘এন্টার’ দেখতে পাওয়া যায় ঠিক তেমনই তথ্য পরিবর্তনের সময় এডিট দেখতে পাওয়া যায়।

এক্সেল ফাইলকে বলা হয় ওয়ার্কবুক এবং এটি এক বা একাধিক পেজের সাহায্যে তৈরি হয়। এই পেজগুলিকে বলা হয় ওয়ার্কশিট। প্রতিটি নতুন ওয়ার্কবুকে তিনটি ওয়ার্কশিট থাকে, কিন্তু প্রয়োজনমতো ওয়ার্কশিট যোগ করতে বা বাদ দিতে পারা যায়।

এক্সেলে কাজ করার সময় প্রথম যে ওয়ার্কবুক খোলা হয়, তাকে বলা হয় বুক ১, দ্বিতীয়টি বুক ২ এবং একই ভাবে চলতে থাকে কিন্তু সেভ করার সময় ওয়ার্কবুকের আরও অর্থবহ নাম দেওয়া সম্ভব।

একটি ওয়ার্কশিটে বর্ণের সাহায্যে কলাম এবং সংখ্যার সাহায্যে রো সাজানো হয় ওয়ার্কশিটে ১৬,৩৮৪টি কলাম থাকে। A থেকে Z এর মাধ্যমে কলাম সাজানো হয়, এই ভাবে AA থেকে AZ, BA থেকে BZ ক্রম ধরে চারটি কলাম পর্যন্ত সাজানো হয়। এতে রো থাকে ১০৪৮৫৭৬ রো এবং কলামের প্রতিচ্ছেদক অংশকে বলা হয় সেল। একটি সেল কলামের বর্ণ এবং রো এর সংখ্যা দ্বারা বোঝানো হয় -- একে এর অ্যাড্রেস বা রেফারেন্স বলা হয়। তাই ওয়ার্কশিটের বাঁ দিকের ওপরের কোণের সেলের ঠিকানা A ( কলামের বর্ণ সব সময় আগে আসে) কারণ এটি কলাম A এবং রো ১-এ অবস্থিত। এর ডান দিকের সেলটি হল B1 এবং তার নীচের সেল হল B2 ।

সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম