ওয়ার্ডপ্যাডের মতোই এম এস ওয়ার্ড-এর সাহায্যে নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রেও নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য কি বোর্ডকে ব্যবহার করতে হবে। কম্পিউটারে এম এস ওয়ার্ড খুললে সংশ্লিষ্ট উইন্ডোটির মধ্যে নথি বা প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু টাইপ করার নির্দিষ্ট অংশে কম্পিউটার নিজেই একটি সঙ্কেত দেখাতে থাকে। কি বোর্ডের সাহায্যে নথি বা প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু টাইপ করা শুরু করলে ঐ সঙ্কেতটির জায়গা থেকেই হরফগুলি কম্পিউটারের পর্দায় ফুটে উঠতে শুরু করে। এখানে আমরা আগের মতোই ধরে নিচ্ছি, কম্পিউটারে ইংরাজিতে নথি বা প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং, যে নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করতে চাওয়া হচ্ছে, তার শব্দগুলিকে অক্ষর অনুযায়ী কি বোর্ডের নির্দিষ্ট বাটন টিপে টাইপ করতে হবে। কি বোর্ডে সংখ্যা এবং বিভিন্ন চিহ্নেরও বাটন থাকে। নথি বা প্রতিবেদনে কোনও সংখ্যা বা চিহ্নকে ব্যবহার করতে হলে কি বোর্ডের সাহায্যে নির্দিষ্ট বাটন টিপে টাইপ করা সম্ভব।
ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে, কোনও অনুচ্ছেদ শেষ করে পরের অনুচ্ছেদে যেতে হলে কি বোর্ডের এন্টার বাটনটি এক বার টিপতে হবে। এই ভাবে এম এস ওয়ার্ডে ইচ্ছামতো নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করতে পারা যায়। সাধারণ কি বোর্ডের সাহায্যে যখন কোনও অক্ষর টাইপ করা হয়, তখন ইংরাজির ছোট হাতের অক্ষর কম্পিউআরের পর্দায় দেখা যায়। বড় হাতের কোনও অক্ষর টাইপ করতে হলে কি বোর্ডের শিফট বাটনটি চেপে রেখে ঐ অক্ষরের নির্দিষ্ট বাটনটিকে টিপতে হবে। আবার কি বোর্ডের বেশ কিছু বাটনে সঙ্কেত থাকে। সে ক্ষেত্রে উপরের সঙ্কেতটিকে ব্যবহার করতে হলে কি বোর্ডের শিফট বাটনটি চেপে রেখে ঐ অক্ষরের নির্দিষ্ট বাটনটিকে টিপতে হবে। আবার একটি শব্দ টাইপ করার পরে পরবর্তী শব্দটি টাইপ করার আগে উভয়ের মধ্যে ফাঁকা রাখতে হয়। তার জন্য কোনও শব্দ টাইপ করে কি বোর্ডের স্পেস (Space) বাটনটি এক বার টিপতে হবে। তা হলেই শব্দটির পরে একটি অক্ষর ধরার মতো ফাঁক তৈরি হবে। এ বার পরের শব্দটি টাইপ করতে হবে। অর্থাৎ, খাতায় লেখার সময় আমরা দু’টি শব্দের মাঝখানে যে ফাঁক রাখি, কম্পিউটারের নথি বা প্রতিবেদন তৈরির সময় সেই ফাঁকের ব্যবস্থা করতে হয় কি বোর্ডের স্পেস বাটনকে কাজে লাগিয়ে। কি বোর্ডের একেবারে নীচের সারিতে সব থেকে লম্বা যে বাটনটি থাকে, সেটিই স্পেস বাটন।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/11/2019