এটিকে ব্যবহার করে ছোট বড় বিভিন্ন আকারের নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। সাধারণত লেখার সময়ে আমরা যে খাতা ব্যবহার করি, ওয়ার্ডপ্যাডকে তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। খাতায় পেনসিল বা কলম দিয়ে লিখতে হয়। আর ওয়ার্ডপ্যাডে কিছু লেখার দরকার হলে কি বোর্ডের সাহায্য নিতে হয়। অর্থাৎ, কি বোর্ডই এ ক্ষেত্রে পেনসিল বা কলমের কাজ করে। ওয়ার্ডপ্যাডে কি বোর্ডের সাহায্যে টাইপ করে কোন নথি বা প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়।
খাতায় লেখার ক্ষেত্রে যেমন কোনও পাতার জায়গা শেষ হয়ে গেলে পরের পাতায় যেতে হয়, তেমনি কম্পিউটারেও পৃষ্ঠা ধরে টাইপ করতে হয়, কোনও পৃষ্ঠা শেষ হয়ে গেলে কম্পিউটার নিজেই পরের পৃষ্ঠা খুলে দেয় তার পর্দায়। ওয়ার্ডপ্যাডের সাহায্যে নথি বা প্রতিবেদন তৈরি করার সময়ে কি বোর্ডের মাধ্যমে যা টাইপ করা হয়, সেখানে নানা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা সম্ভব। চাইলে পর পর দু’টি লাইনের মাঝে স্বাভাবিকের থেকে বেশি ফাঁক রাখার ব্যবস্থা করা যায়, প্রতিটি পৃষ্ঠায় ডান ও বাঁ দিকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে প্রতিবেদনের বিষয়কে সাজাতে পারা যায়, যে কোনও কথাকে যে কোন লাইনের মাঝামাঝি জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব (শিরোনামের ক্ষেত্রে সাধারণত করা হয়ে থাকে) অথবা ডান দিক কিংবা বাঁ দিকেও সরিয়ে নেওয়া যায়। এমনকী ইটালিক হরফে, মোটা হরফে বা সরু হরফে টাইপ করতে পারা যায়। টাইপ করার সময়ে একটি অনুচ্ছেদ শেষ করে পরের অনুচ্ছেদে যেতে হলে কি বোর্ডে এন্টার লেখা বাটনটি টিপতে হবে।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/5/2019