আমরা জানি, নিজে লিখে যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ বা ভাগ করা যায়, তেমনই যন্ত্রের সাহায্যেও এগুলি করা যেতে পারে। যে যন্ত্রটির সাহায্যে নিজের মেধাকে ব্যবহার না করেও যোগ, বিয়োগ, গুণ বা ভাগ করা যায়, সেই যন্ত্রটির নাম ক্যালকুলেটর। উন্নত মানের ক্যালকুলেটরে অঙ্কের আরও নানা ধরনের সমাধান করা সম্ভব। কম্পিউটারেও ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
সাধারণত কম্পিউটারে দু’ ধরনের ক্যালকুলেটর থাকে, স্ট্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটর এবং সায়েন্টিফিক ক্যাসকুলেটর। স্ট্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটরে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গমূল, শতাংশ ও অন্যোন্যক নির্ণয়ের সুযোগ থাকে। সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরে এগুলির সঙ্গে আরও কিছু উঁচু মানের সমাধানের সুযোগ থাকে।
কম্পিউটারে যে ক্যালকুলেটর থাকে, তাকে একটি সহায়িকা বলা হয়ে থাকে। এটিকে খোলার নিয়ম ওয়ার্ডপ্যাডের মতোই। অর্থাৎ, প্রথমে কম্পিউটারের পর্দায় নীচের বাঁ দিকে যেখানে স্টার্ট বোতামটি রয়েছে, মাউসের সাহায্যে মাউস পয়েন্টারটিকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে। তার পর মাউসের বাঁ দিকের বোতামে এক বার ক্লিক করতে হবে। কম্পিউটারের পর্দায় স্টার্ট বোতামের উপরে একটি তালিকা খুলে গেছে। ঐ তালিকায় প্রোগ্রাম শব্দটির উপরে মাউস পয়েন্টারকে নিয়ে যাওয়া হয়। তা হলে প্রোগ্রাম শব্দটির পাশে আরেকটি তালিকা খুলে যাবে। এ বার সেখানে অ্যাক্সেসরিজ শব্দটির উপরে মাউস পয়েন্টারকে নিয়ে গেলে তার পাশে আরেকটি উপ-তালিকা খুলে যাবে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সেখানে ক্যালকুলেটর (Calculator) বলে একটি শব্দ আছে। এ বার মাউস পয়েন্টারটিকে মাউসের সাহায্যে ঐ শব্দের উপরে নিয়ে গিয়ে মাউসের বাঁ দিকের বোতামে এক বার ক্লিক করতে হবে। তা হলেই কম্পিউটারের পর্দায় ক্যালকুলেটর খুলে যাবে। বলা ভাল, কম্পিউটারের পর্দায় ক্যালকুলেটর নামের একটি উইন্ডো খুলে যাবে।
এটি স্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটরও হতে পারে, আবার সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরও হতে পারে। কোনও কম্পিউটারে যখন প্রথম বার ক্যালকুলেটর নামক উইন্ডোটি খোলা হয়, তখন সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটরকেই কম্পিউটার তার পর্দায় উপস্থিত করে। কিন্তু কোনও কম্পিউটারে যদি আগে ক্যালকুলেটরকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা হলে শেষ বার ব্যবহারের সময় যে ধরনের ক্যালকুলেটর নিয়ে কাজ করা হয়েছিল, পরের বার ক্যালকুলেটরকে খুললে কম্পিউটারের পর্দায় সেই ধরনের ক্যালকুলেটরকেই দেখা যাবে।
অর্থাৎ, বর্তমান ব্যবহারকারীর আগে একই কম্পিউটারে যদি অন্য কোনও ব্যবহারকারী স্ট্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটরকে ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান ব্যবহারকারী যদি তার পরে ক্যালকুলেটর খোলেন, তা হলে কম্পিউটারের পর্দায় স্ট্যান্ডার্ড ক্যালকুলেটরকেই দেখতে পাবেন। আবার আগের ব্যবহারকারী যদি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে থাকেন, তা হলে বর্তমান ব্যবহারকারী ক্যালকুলেটর খুললে ঐ ধরনের ক্যালকুলেটরকেই কম্পিউটারের পর্দায় দেখতে পাবেন।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/21/2020