যে সব উইন্ডোতে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের প্রোগ্রাম ধরা থাকে (যেমন এম এস ওয়ার্ড, এম এস এক্সেল, পেইন্ট ইত্যাদি), সেগুলিকে বলা হয় অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো। এই উইন্ডোগুলি দিয়েই বেশির ভাগ কাজ করা হয়ে থাকে এবং তাই এগুলিকে বলা হয় মূল উইন্ডো বা parent windows।
এমন কিছু উইন্ডো আছে, যেগুলির সাহায্যে ডকুমেন্ট বা নথি নিয়ে কাজ করা যায়। সেগুলিকে ডকুমেন্ট উইন্ডো বলা হয়। যেমন, এম এস ওয়ার্ড। কোনও অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডোর মধ্যে যদি উইন্ডোর আকৃতি বিশিষ্ট এমন কোনও অংশ থাকে (সাধারণত সাদা রঙের), যেখানে কি বোর্ডের মাধ্যমে ডকুমেন্ট বা নথি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে, এখন সেই উইন্ডোগুলিকেই ডকুমেন্ট উইন্ডো বলা হয়। ৩.১২ নম্বর ছবিটি দ্রষ্টব্য। এর একটি অন্যতম ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য হলো, বিভিন্ন ডকুমেন্ট উইন্ডোতে বিভিন্ন নথি নিয়ে কাজ করা সম্ভব। আবার কোনও একটি ডকুমেন্ট উইন্ডো নিয়ে কাজ করতে করতে সেটিকে মিনিমাইজ করে রেখে একই নামের আরেকটি উইন্ডোকেও কম্পিউটারের পর্দায় খোলা সম্ভব।
যে সব উইন্ডোর আকার পরিবর্তন করা যায় না, অর্থাৎ যে সব উইন্ডোকে ছোট বা বড় করা যায় না, সেগুলিকে মোডাল উইন্ডো বলা হয়। যেমন — ডেস্কটপ।
যে সব উইন্ডোর আকার পরিবর্তন করা যায়, অর্থাৎ যে সব উইন্ডোকে ছোট বা বড় করা যায়, সেগুলিকে নন মোডাল উইন্ডো বলা হয়। যেমন মাই ডকুমেন্টস, মাই কম্পিউটার, এম এস ওয়ার্ড ইত্যাদি।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/9/2019