সমস্যা হলে শিক্ষকদের কাছে এসো --- প্রথম প্রজন্মের একটা অংশের শিশুদের চেষ্টা করেও এখনও এই অভ্যাস তৈরি করতে পারিনি। এটা আমাদের দুর্বলতা। এই প্রশ্নে নিশ্চয় আজকের কর্মশালা আগামী দিনে পথ দেখাবে যে কী ভাবে সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এটা কাটিয়ে উঠব এবং একটা বিদ্যালয়ের একই শ্রেণির সব শিশুকে দু’ একটা কারণ ছাড়া নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত করাতে পারব।
কোনও কোনও পরিবার অতি উৎসাহিত হয়ে শিশুদের টিউশনির ব্যবস্থা করে। এর প্রভাব অতি মারাত্মক। টিউশনি শিক্ষক একটা গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পড়ান আর স্কুল শিক্ষক পাঠ্যবই বিভিন্ন সময়ের প্রশিক্ষণ অনুসরণ করে পড়ানোর চেষ্টা করেন। ফলে কচিকাঁচা শিশুদের কাছে এটা একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উত্তর আসে টিউশনি না দিলে বাকি সময় বই নিয়ে বসে না, বাড়ির লোকদেরও বাচ্চাদের নিয়ে বসার সময় থাকে না। সংখ্যায় কম হলেও একটা শ্রেণি আছে যাদের বাচ্চারা স্কুলে আসার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত গরু বা ছাগল নিয়ে থাকে। স্কলের সময়ে হন্তদন্ত হয়ে স্কুলে ঢোকে। মিড – ডে মিল চালু থাকার জন্য স্কুলের উপস্থিতি খুব ভাল। দেখা যায় name less শিশু অর্থাৎ যাদের ৫ বছর হয়নি তারাও একটা ভাল সংখ্যায় স্কুলে ভিড় করে। যার ফলে মিড ডে মিল পরিচালনা করা শিক্ষকদের ভাবিয়ে তোলে। আবার দেখা যায় ছাত্রের সংখ্যার সাথে চাল বা টাকার কোনও মিল থাকে না। কোন মাসের ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে দেওয়া হয় তাও শিক্ষকদের জানা নেই। এই সম্পর্কে এস আই অফিস থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই।
আমার বক্তব্য এর একটা সুষ্টু নিয়মনীতি থাকলে বা শিক্ষকদের কাছে কোনও লিখিত নির্দেশ থাকলে ভাল হত। তবে প্রকল্পটি শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় রাখার একটা পরিকল্পনা মাফিক উদ্যোগ। এটা চালু থাকাই ভাল।
বিদ্যালয়ে পোশাকের ব্যবস্থা সব শিশুদের জন্য থাকলে ভাল, কারণ গ্রামে বেশির ভাগ পরিবার যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে তারা দরিদ্র পরিবার থেকেই আসে।
সূত্র : কলমচারি, প্রতীচী ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/17/2019