শিশুরা শিক্ষার প্রাসঙ্গিক পাঠ নিতে এসে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তার মধ্যে অন্যতম হল —
১) শব্দ গঠন, যুক্তবর্ণ, যুক্ত শব্দের উচ্চারণ
২) গণিতের ক্ষেত্রে স্থানীয় মানের ধারণা লাভ
৩) ইংরেজি শব্দের নতুন অভিজ্ঞতা
৪) গণিতের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে পড়তে না পারার জন্য ভাষার অঙ্কের সমাধান না করতে পারা। এ ক্ষেত্রে আমি দেখেছি বিভিন্ন T L M -এর ব্যবহার এবং শিক্ষক মহাশয়ের আনন্দদায়ক পাঠদান উপরোক্ত বাধাগুলি অতিক্রম করতে সাহায্য করে।
অভিভাবকগণ এবং স্থানীয় মানুষের ভূমিকা
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতিতে অভিভাবকগণের সক্রিয় সহযোগিতা এবং স্থানীয় মানুষের উৎসাহ শিশুর শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে গঠিত M T A এবং শিক্ষক অভিভাবক সমিতির সভা সামাজিক শিক্ষার অগ্রগতিতে অনেক সহায়ক হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার সামগ্রিক উন্নতিতে অন্যান্য দিক ---
১) মিড ডে মিল প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিতকরণে এবং তাদের পুষ্টিসাধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এর সুষ্ঠু পরিচালনা এবং সরকারি তরফে সুনির্দিষ্ট ও ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি ও দুর্বলতা থাকায় তা সব সময় সব জায়গায় সমান ভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
আমি আমার বিদ্যালয়ে স্বয়ম্ভরগোষ্ঠীর সহযোগিতায় মিড ডে মিল সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করলেও ছেলেমেয়েদের খাবার জন্য বসার জায়গায় অভাব, সময়মতো সরকারি অর্থ না পাওয়া বা গোষ্ঠীর লোকদের সঠিক সাম্মানিক না পাওয়া অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করে।
বিদ্যালয় পরিকাঠামো
সর্বশিক্ষা অভিযানের সৌজন্যে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতি হলেও ছাত্র সংখ্যা অনুযায়ী টয়লেট, পানীয় জলের জোগান সমস্যার সৃষ্টি করে।
শিক্ষার্থী অনুযায়ী শিক্ষনের অভাব
শিক্ষকগণের যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও একটি শ্রেণিতে ৫০-এর বেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রাথমিক শিক্ষার প্রগতিতে অন্যতম বাধা বলে আমার মনে হয়েছে।
উপরোক্ত সমস্যা থাকলেও আমার মনে হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাগণ আরও একটু আন্তরিক হলে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
সূত্র : কলমচারি, প্রতীচী ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/21/2020