আবেদন আগে পাঠানোর একটা সুবিধা আছে। তোমার সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। তুমি যে গোছালো, সব কিছু সুষ্ঠুভাবে করতে পারো এবং সময়ের দাম দিতে জানো, এটা তারই প্রমাণ। কখনও সাধারণ পোস্টে অ্যাপ্লিকেশন পাঠাবে না। ভালো কুরিয়ার সার্ভিসের সাহায্যে আবেদেনের শেষ তারিখের অন্তত সাত-দশ দিন আগে সেটা পাঠিয়ে দাও। রসিদটা সঙ্গে রাখো, প্রয়োজনে সেটা ট্র্যাক করতে পারবে।
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন টার্ম শুরুর অনেক আগেই তাদের ভর্তির ফলাফল ছেলেমেয়েদের জানিয়ে দেয়। যদি একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে থাকো, বেশ কয়েকটি জায়গায় পেয়ে গিয়ে থাকো, তখন তোমার বেছে নেওয়ার পালা। অনেক সময় এমনও হয়, তোমার পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে তুমি ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ রয়েছো। এ ক্ষেত্রেও তোমার কাছে দু’টো পথ থাকে। যদি এর মধ্যেই অন্য কোথাও থেকে ডাক পেয়ে থাকো, সেখানে ভর্তি হয়ে যাও। না হলে অপেক্ষা করো সিট খালি হওয়ার। যাই হোক, লেটার অব অ্যাকসেপট্যান্স হাতে পেয়ে গিয়েছো। এ বার বাকি শুধু ভিসা। এ ক্ষেত্রে তুমি সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা অফিসে যাও বা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করো। ভিসার জন্য আর যা যা তথ্য লাগবে সব জোগাড় করে ফেলো। কোনও কোনও দেশের ক্ষেত্রে ভিসা ইন্টারভিউ দিতে হয়।
তবে একটা কথা বলে রাখি, পাসপোর্টটা কিন্তু আগে থেকে করে রাখবে। লেটার অব অ্যাকসেপট্যান্স হাতে পেয়ে যাওয়ার পর পাসপোর্ট, ভিসা সব করতে হলে কিন্তু অনেক ঝামেলা। ঠিক সময়ে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে না পৌঁছতে পারলে নতুন করে যোগাযোগ করে তোমার অসুবিধা জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের মতামতের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এতদিনের পরিশ্রমটা জলেও যেতে পারে। তাই আগের কাজ আগে করে রাখ।
এক বার ভিসা হাতে মিলে গেলে, ব্যস। এ বার শুধু তোমার স্বপ্নের উড়ানে বসার অপেক্ষা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ২০ জানুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019