অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

এলভিস প্রেসলি

এলভিস প্রেসলি

এলভিস প্রেসলি বিংশ শতাব্দীর সব চেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের মধ্যে এক জন । তিনি এক জন কালচারাল আইকন। তিনি তাঁর ডাকনাম এলভিস নামেও বহুল পরিচিত। তিনি রক অ্যান্ড রোল সংগীতের জনক। এলভিস প্রেসলির জন্ম ৮ জানুয়ারি, ১৯৩৫ সালে, আমেরিকার মিসিসিপ্পির টুপেলো নামক স্থানে। তিনি তাঁর পরিবারের সাথে টুপেলো ছেড়ে মেমফিস, টেনেসি-তে এসে পড়েন । তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩ ।

সেখানে তিনি ১৯৫৪ সালে স্যাম ফিলিপস নামক এক ব্যাক্তির ‘সান রেকর্ডিংস’ নামে একটি গান গাওয়ার ইনস্টিটিউটে গান গাওয়ার মাধ্যমে তাঁর সংগীতজীবন শুরু করেন । তিনি সংগীতশ্রোতাদের কাছে আফ্রো-আমেরিকান মিউজিকের একটি রূপ ফুটিয়ে তুলতে সফল হন।

প্রেসলি রক অ্যান্ড রোল সংগীতের জনক ছিলেন। তাঁর গাওয়া প্রথম একক গান ছিল ‘হার্টব্রেক হোটেল’। যেটি ১৯৫৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পায়। এই গানটির মধ্যেই প্রথম রক অ্যান্ড রোলের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। মুক্তির পর পরই গানটি আমেরিকার নাম্বার ওয়ান হিট গানে পরিণত হয়। এর পরে তিনি টেলিভিশনে গান গাইতে শুরু করেন এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর গান সেরা গানের তালিকার প্রথম স্থান দখল করে নেয় এবং তিনি সমকালীন গায়কদের মধ্যে সেরা বিবেচিত হন। কন্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি এক জন চলচ্চিত্র অভিনেতাও ছিলেন। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘লাভ মি টেন্ডার’। ছবিটি ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে মুক্তি পায়। তাঁর ব্যান্ডদলের নাম ছিল – দ্য ব্লু মুন বয়েজ। সেই ব্যান্ডদলের সদস্যসংখ্যা ছিল ৩। তাঁরা হলেন, এলভিস প্রেসলি, স্কটি মুরে এবং বিল ব্ল্যাক। ১৯৫৮ সালে তিনি বাধ্যতামূলক ভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার তাঁর সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে। তিনি সে সময় কিছু স্টেজে তাঁর কিছু গান করেন। এবং তাঁর সেই সময়কার গাওয়া গানগুলো বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর সফলতা পায়। ১৯৬০-এর দশকে তিনি বেশ কিছু হলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এবং গানের অ্যালব্যাম করে তাঁর ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন। ১৯৬৮ সালে তিনি সাত বছর পর আবার স্টেজে গান গাইতে শুরু করেন। তাঁর এ সময়ের করা ট্যুরগুলোও বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয় এবং সাথে সাথে প্রচুর জনপ্রিয়তাও পায়। ১৯৭৩ সালে এলভিস প্রেসলির স্টেজে করা একটি গান প্রথম বারের মতো স্যাটেলাইট থেকে দেখানো হয়। প্রায় ১৫০ কোটি বিলিয়ন মানুষ গানটি দেখেন। তিনি জীবনের শেষ দিকে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায়। অনেকেই মাদকাদ্রব্যকেই তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ১৬ই আগস্ট হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪২ বছর।

সুত্র: পোর্টাল টিম দ্বারা সংকলিত

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/10/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate