কুয়াশা ও মেঘে ঢাকা পাইন গাছে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রামটি কালিম্পং থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভূটানের সঙ্গে বাণিজ্যের পুরনো পথের মধ্যে অবস্থিত গ্রামটি রয়েছে ২৩৫০ মিটার উচ্চতায়। এখানে একটি বৌদ্ধ মন্দির ও প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রকৃতি উপভোগ ও পাখি দেখার জন্য বিখ্যাত লাভা, নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে ওঠার সূচনাবিন্দুও। শিলিগুড়ি থেকে সেবক ব্রিজ পেরিয়ে ডামডিম-গরুবাথান হয়েও আসা যায় লাভা। থাকার জন্য লাভায় আছে ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বাংলো সহ নানা বেসরকারি হোটেল। উন্নত ও সুব্যাপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপোলি মুকুট লাভার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। মূল শহর ছাড়িয়ে জঙ্গলের নিরিবিলি পথে ঘুরে বেড়ালেও মন তরতাজা জয়ে উঠবে।
কালিম্পং-এর একটি ছোট্ট, শান্ত গ্রাম হল লোলেগাঁও। এটি অপূর্ব সুন্দর । ঘন সবুজ অরণ্য এবং শান্ত উপত্যকার লোলেগাঁওকে প্রকৃতি অকৃপণ হাতে দান করেছে। ভোরের কুয়াশায় মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কালিম্পং ও লাভা থেকে পাইনের জঙ্গলে ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ ধরে লোলেগাঁও যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। বনবাংলোর বারান্দায় বসে অদূরের কালিম্পং শহর দেখো। সন্ধ্যে নামলে এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য। মনে হয় অগুনতি জোনাকি দীপ জ্বালিয়ে রেখেছে পাহাড়চুড়োয়। এখানে বসে বসেই সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়।
কালিম্পং অঞ্চলের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মানা হয় রিশপ-রিম্বিককে। এটি লাভা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এবং কালিম্পং থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে ৮২৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। লাভা থেকে পাহাড়ি পথে ট্রেকিং করে পৌঁছনো যায় ‘পাহাড়ের মাথায় একলা গাছে’ (‘রিশপ’ শব্দের অর্থ)। অবশ্য লাভা থেকে রিশপ পর্যন্ত জিপ চলার পথও আছে। রিশপের রাস্তা এখনও কাঁচা। বিদ্যুৎ এখনও না পৌঁছনোয়, এখানে থাকার মধ্যে একটা মধ্যযুগীয় অনুভূতির মজা আছে। অপার সৌন্দর্যের আধার রিশপ। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন হাতের কাছে। স্থানীয় শেরপা ও লেপচারা কটেজের মতো বেশ কিছু পর্যটকদের থাকার জায়গা বানিয়েছেন। নাথুলা পাস, তিন সীমানা, গ্যাংটক, তিব্বতের পাহাড়গুলি সহ এখান থেকে হিমালয়ের অসাধারণ দৃশ্য চোখ পড়ে।
সূত্র: পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020