নিউক্লিয়ার বন্ধন বিষয়টি ভালো করে বোঝার জন্য আমাদের প্রথমে বিস্তৃত ভাবে বুঝে নিতে হবে কী ভাবে প্রোটন ও নিউট্রন (এক সঙ্গে যাকে নিউক্লিয়াস বলে) এক সঙ্গে জুড়ে থাকে। বন্ধনের ধারণাটিকে আমরা ভালো ভাবে পরীক্ষা করে দেখি।
বিপরীত তড়িৎ ধর্ম পরস্পরকে আকর্ষণ করে, তাই ধনাত্মক তড়িৎ-যুক্ত নিউক্লিয়াস যে ঋণাত্মক তড়িৎ-যুক্ত ইলেকট্রনকে ধরে রাখবে, এটা বাস্তবোচিত বলেই মনে হয়। কিন্তু প্রোটন নিজেরা কী করে? তারা সকলে যদি এক সঙ্গে একটা ছোট জায়গায় থাকে এবং সকলেই ধনাত্মক তড়িৎ বহন করে, তা হলে তারা নিশ্চয় পরস্পরকে বিকর্ষণ করবে। সে ক্ষেত্রে পরমাণু তৈরির আগেই নিউক্লিয়াস ভেঙে যাবে এবং পারস্পরিক বিকর্ষণের জেরে ধনাত্মক তড়িৎ যুক্ত প্রোটিনগুলি আলাদা আলাদা ভাবে ছিটকে বেরিয়ে যাবে। তা হলে কীসের জন্য নিউক্লিয়াস ভাঙে না? একটা নতুন শক্তির সন্ধান পাওয়া যেতেই এই প্রশ্নের উত্তর মিলল। সেই অত্যন্ত আকর্ষণীয় আবিষ্কারটির সম্পর্কে তোমাদের এখানে বিস্তৃত ভাবে বলতে পারব না। আমরা বিষয়টা এখানে চট করে তাড়াতাড়ি বলে নেব।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020