এটা আবিষ্কৃত হয়েছে যে খুব চেনা তড়িৎ শক্তি এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছাড়াও (যার জন্য আমরা পৃথিবীতে থাকতে পারি), আরও দু’টো শক্তি আছে, যাদের জন্য পরমাণুর নিউক্লিয়াস স্থায়ী রূপে থাকে। প্রথম শক্তিটিকে বলে বলশালী শক্তি। এর জন্যই নিউক্লিয়াস ভাঙে না। অপরটি হল দুর্বল শক্তি, যার জন্য কোনও কোনও পরমাণুতে নিউক্লিয়াস ভেঙে যায়। যখন আমরা কোনও রকম বিকিরণ ও তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা করি তখন এই দুর্বল শক্তির প্রসঙ্গ আসে, ওষুধের দুনিয়ায় এই শব্দগুলি এখন খুবই পরিচিত। নিউট্রন ও প্রোটনের আকর্ষণী শক্তি এতটাই তীব্র হয় যে তা প্রোটনগুলির বিকর্ষণ শক্তিকে অতিক্রম করে নিউক্লিয়াসকে সংঘবদ্ধ রাখে। দেখা যাক কার্বনের মতো একটা খুব চেনা পরমাণুর ক্ষেত্রে এটা কী ভাবে হয়। কার্বনে ৬টি ইলেকট্রন আছে। অতএব ভারসাম্য রাখার জন্য এতে নিশ্চয় ৬টি প্রোটন থাকবে। কিন্তু যদি তুমি কার্বনের ভর পরিমাপ কর (এটা তুমি কী ভাবে করবে!), তা হলে দেখবে, সেটা হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর থেকে প্রায় ১২ গুণ ভারী, যেন এটাতে ১২টি প্রোটন আছে। এর ব্যাখ্যা হল, কার্বনে যে ৬টি নিউট্রন আছে, সেগুলির ভর প্রোটনের সমান। ধনাত্মক তড়িৎবিশিষ্ট ৬টি প্রোটন ইলেকট্রনগুলিকে ধরে রাখে অন্য দিকে ৬টি নিউট্রনের বলশালী শক্তি ধনাত্মক তড়িৎধর্মী প্রোটনকে আটকে রেখে নিউক্লিয়াসকে সংঘবদ্ধ রাখে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/27/2019