পাত্র ঝাঁকানোর মতো ইউরেনিয়ামকে একটি নিউট্রন দিয়ে আঘাত করতে হবে। ইউরেনিয়াম সেটিকে নিয়ে নেবে। নিউক্লিয়াসের অংশ হয়ে গেলেই নিউট্রনটি তার বন্ধন শক্তি হারাবে (প্রায় ৭MeV)। ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস সেই শক্তিটি নিয়ে নেবে। নির্দিষ্ট শক্তির থকে বেশি শক্তি পেয়ে সেটা তখন উত্তেজিত অবস্থায় পৌঁছবে। বিভাজনের শক্তি সংক্রান্ত বাধা পেরোতে সেটা তখন যথেষ্ট হয়ে যাবে।
ইউরেনিয়াম প্রায় দু’টি সমান অংশে ভেঙে যায় এবং কিছু নিউট্রন আলাদা হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় সে কিছু শক্তি নির্গত করে, যেমন আমরা আগেই বলেছি। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, সে কিছু নিউট্রনও নির্গত করে। সেই নিউট্রনগুলি তখন পাশ্ববর্তী ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াসকে ধাক্কা দেয়। সেই নিউক্লিয়াসের অংশ তখন আরও শক্তি এবং আরও স্বাধীন নিউট্রন নির্গত করে। সেই নিউট্রনগুলি অন্যান্য নিউট্রন দ্বারা শোষিত হয় এবং ফোয়ারার মতো প্রক্রিয়ার জন্ম দেয়। এতে যে শক্তি উৎপাদন ঘটে তাকে বলে শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া।
বিষয়টি বোঝা যেতে পারে যদি আমরা নিউক্লিয়াসকে একটি তরলের ফোঁটা হিসেবে দেখি। নিউট্রনের ধাক্কা খেলে ফোঁটাটির আকার পাল্টে যায়। শোষিত নিউট্রন দ্বারা নির্গত শক্তির ফলে ফোঁটাটি কাঁপতে থাকে এবং ছড়িয়ে যায়। বিকৃত চেহারার নিউক্লিয়াসটি অস্থায়ী হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ভেঙে দু’টো আলাদা বৃত্তাকার স্থায়ী ফোঁটায় পরিণত হয়। কিছু নিউট্রন হারিয়ে যায় এবং দু’টি ফোঁটা তাদের মধ্যেকার প্রোটনগুলির বিকর্ষণ শক্তির ফলে দূরে সরে যায়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020