ভারতবর্ষে এখনও তেমন কোনও কেন্দ্রীয় আইন তৈরি হয়নি যাতে স্কুলের শারীরিক শাস্তি বন্ধ করা যায়। বিভিন্ন রাজ্যে অবশ্য নানা রকমের আইন তৈরি হয়েছে এই ধরনের শাস্তিকে রোধ করার জন্য।
কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রতিককালে শিশু নিপীড়নের রোধে একটি আইন তৈরির কাজ চালাচ্ছে। যেখানে দৈহিক শাস্তিকে শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ধরা হয়েছে। যতদিন না আইন তৈরি হচ্ছে তত দিন আমাদের হাতে আইনি ব্যবস্থা হিসাবে জা আছে তাকেই ব্যবহার করতে হবে।
ভারতবর্ষে যে রাজ্যগুলিতে দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে
রাজ্য |
দৈহিক শাস্তি |
আইন / নীতি |
তামিলনাড়ু |
নিষিদ্ধ |
তামিলনাড়ু শিক্ষা বিধির ৫১তম বিধি সংশোধন করে সে রাজ্যে দৈহিক শাস্তি ২০০৩-এর জুন থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনী ব্যবস্থা হিসাবে যে কোনও রকম মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা দেওয়া নিষিদ্ধ। |
গোয়া |
নিষিদ্ধ |
২০০৩-এর গোয়া শিশু আইন বলে দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ্। |
পশ্চিমবঙ্গ |
নিষিদ্ধ |
২০০৪ এর ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, শিশুদের ওপর বেত্রাঘাত করা বেআইনি। এবং এ নিয়ে অ্যাডভোকেট তাপস ভঞ্জ কলকাতা একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। |
অন্ধ্রপ্রদেশ (হায়দরাবাদ) |
নিষিদ্ধ |
১৯৬৬-এর সরকারি আদেশ অনুযায়ী যে দৈহিক শাস্তির ব্যবস্থা ছিল, স্কুল শিক্ষা সচিব ভি সুব্বারাও ২০০২-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের আদেশানুসারে তা তুলে নেন। নতুন আদেশানুসারে অন্ধ্র সরকার ১৯৬৬ সালের শিক্ষাবিধির ১২২ নম্বর বিধি সংশোধন করে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে, যা অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
দিল্লি |
নিষিদ্ধ |
অভিভাবকরা একসঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য আদালতে পিটিশন দেয় । দিল্লি স্কুল শিক্ষা আইন (১৯৭৩) অনুসারে দৈহিক শাস্তির সুযোগ দিল্লি হাইকোর্ট কেড়ে নেয় এবং ২০০০ সালে আদালত বলে, এটা অমানবিক এবং শিশুদের মর্যাদার পক্ষে ক্ষতিকারক। |
চন্ডীগড় |
নিষিদ্ধ |
১৯৯০ সাল থেকে দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ। |
হিমাচল প্রদেশ |
নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে |
দৈহিক শাস্তির ফলে একজন শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার ঘটনার পর স্কুলে দৈহিক শাস্তি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। |
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019