ভারতের মতো দেশ, যেখানে বিশাল সংখ্যক বাবা-মা গরিব, কাজের জন্য ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়, তাদের কোনও সহায়ক ব্যবস্থা নেই, তাদের ওপর শাস্তি-সহ কোনও বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেওয়াটা তাদের দারিদ্যের জন্য শাস্তি দেওয়ার সামিল, যে দারিদ্র তারা নিজের ইচ্ছায় বেছে নেয়নি। বিখ্যাত শিক্ষাবিদ জে পি নায়েক এক বার কৌতুক করে বলেছিলেন, যদি ছেলেমেয়েকে স্কুলে না পাঠানোর জন্য বাবা-মাকে জেলে পাঠানো হয়, তা হলে যত শিশু স্কুলে পড়ে, তার চেয়ে বেশি বাবা-মা জেলে থাকবে।
কোনও শাস্তি না থাকলেও আইনের ১০ নং ধারায় বলা হয়েছে, ছেলেমেয়ের স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। এর অর্থ স্কুল পরিচালন কমিটি, স্থানীয় সংস্থা এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অনিচ্ছুক বাবা-মাকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য জোর করবে। পথ-শিশু ও শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে, তারা যাতে কাজ করতে বাধ্য না হয় এবং স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের, তেমন হলে এদের জন্য আবাসিক স্কুলের ব্যবস্থা করতে হবে। যে সব বাবা-মা তাদের বয়ঃসন্ধির মেয়েদের স্কুলে পাঠায় না বা বাল্যবিবাহে উৎসাহী তাদের আটকাতে হবে অথবা বাল্যবিবাহ আইন তাদের ওপর প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের হস্তক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020