ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির লক্ষ্য পূরণে উপরোক্ত নীতিই কি যথেষ্ট? রাষ্ট্রের উদ্যোগগুলি ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা ভারতের শক্তি নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন সম্ভাবনার উপর যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির লক্ষ্য বিচ্যুত।
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সম্পর্কিত সরঞ্জাম প্রস্তুতিকরণ শিল্প স্থাপনে অসরকারি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান সুদের হার অত্যন্ত চড়া এবং আর্থিক সংস্থাগুলিও এই শিল্পে বিনিয়োগ করতে অনিচ্ছুক। অধিকন্তু, যে হেতু অনেক বিনিয়োগকারী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব প্রায় সম্পূর্ণ করে এনেছে, তাই তারা বাজার থেকে অর্থলগ্নি প্রত্যাহার করে নিলে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ বাধা পাবে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদকরা যাতে বিনিয়োগ করার মতো পুঁজি লাভ করতে পারে তার জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারের কোনও সর্বাত্মক কৌশল প্রণীত হয়নি।
একই সঙ্গে বিশ্বের প্রধান প্রধান শক্তির পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদক দেশগুলির তুলনায় এ দেশের উৎপাদকদের মুনাফা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কম। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই বাজারভিত্তিক বিপণন পদ্ধতি এবং বাধ্যতামূলক নীতি গ্রহণ করেছে। তবুও স্বল্প রূপায়ণ হার এবং অংশগ্রহণে স্বল্পতার কারণে এই সব নীতি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। ২০১১ সালের মার্চ মাসের সূচনা পর্বে ১,২২,৪৪,১৭৪টি ‘পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি শংসাপত্র’ ছাড়া হয়। ২,৪৫২টি নিবন্ধীকৃত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদক এই শংসাপত্র গ্রহণ করলেও ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মাত্র ৬৩৫৪২০৬টি শংসাপত্রর টাকা পাওয়া গিয়েছে। ভারতে ২৯টি রাজ্যের মধ্যে ২২টি রাজ্য তাদের স্টেট ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন দ্বারা ঠিক করে দেওয়া ‘রিনিউয়েবল পারচেজ অবলিগেশন’ পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র সাতটি রাজ্য তাদের আরপিও লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছ। পাশপাশি ভারতে ছ’টি রাজ্যে তাদের সাফল্যের হার শূন্য।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020