এই প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে কার্যকর ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও তা বণ্টন করতে গেলে দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার ব্যাপারটিতে। দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সহায়তা করবে সৌর বিদ্যুৎ নিগম বা এসইসিআই। একেই বলা হচ্ছে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং। দেশে উৎপন্ন সেল ও মডিউলের সাহায্যে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে এক কোটি টাকা প্রদান করা হবে। শুধু দেশে তৈরি মডিউল ব্যবহার করা হলে প্রতি মেগাওয়াটে টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ৫০ লক্ষে। মোট প্রকল্প খরচ এবং মডিউল ও সেল কেনার খরচের মধ্যে যে ফারাক সেটিকেই ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং হিসাবে ধরা হয়েছে।
ভিজিএফ দু’ ভাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে --
২৫ বছরের মধ্যে টানা এক বছর যদি প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হয় বা প্রকল্পের মূল সম্পদগুলি বিক্রি করে দেওয়া হয় তা হলে এসইসিআই ভিজিএফের টাকা ফেরত চাইতে পারে। যদি টাকা দেওয়া না হয় তা হলে সম্পদের উপর তাদের অধিকার বর্তাবে।
মন্ত্রকের হয়ে এই প্রকল্পের পুরো দেখভাল করবে এসইসিআই। ভিজিএফ বণ্টন করার জন্য তাদের এক শতাংশ হারে কমিশন দেওয়া হবে। আপাতত এসইসিআইকে ১০০০ কোটি টাকা বণ্টনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর হয়ে গেলেই তারা স্থানীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে মডিউল ও সেল কিনতে পারবে। তার পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ভিজিএফের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবার দ্বিতীয় উপায় হিসাবে সরাসরি মন্ত্রক দেশিয় উৎপাদকদেরও ভিজিএফের টাকা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসইসিআইকে আর ভিজিএফের টাকা বণ্টন করতে হবে না। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিও আর সরাসরি ভিজিএফের টাকা হাতে পাবে না।
সূত্র : কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/27/2019