কেন্দ্রীয় সরকার অরণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে এবং অরণ্যের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারিত করতে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে। দেশের বিকাশ ও উন্নয়নে অরণ্যের প্রকৃত মূল্যকে অনুধাবন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভাড়েকর নয়াদিল্লিতে সোমবার বলেন, প্রত্যেককে তাদের জীবদ্দশায় কম করেও ১০ থেকে ১৫টি গাছ অবশ্যই লাগাতে হবে এবং গাছের যত্নও নিতে হবে যাতে গাছেরা একটি ‘অক্সিজেন ব্যাঙ্ক’ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্কে যেভাবে টাকা জমানো হয়, ঠিক একইভাবে একজন ব্যক্তি প্রতি পাঁচ বছরে একটি করে গাছ লাগিয়ে ‘অক্সিজেন ব্যাঙ্ক’ তৈরি করবে। মন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা হল পরিবর্তনের মাধ্যম, কেননা ছাত্ররাই পারে গাছের যত্ন নিতে এবং তারাই পরিবেশ সম্পর্কে অনুভূতি প্রবণতা বৃদ্ধি করতে পারে।
এই উপলক্ষ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে দিল্লি সরকারে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শ্রী ইমরান হুসেন বলেন, দিল্লিকে আরও সবুজ করে তুলতে দিল্লি সরকার কোনো রকম প্রয়াসকেই হাতছাড়া করবে না।এদিন শ্রী জাভাড়েকর এবং শ্রী হুসেন বৃক্ষ রোপন করেন এবং শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এছাড়া শ্রী জাভাড়েকর একটি “হেরিটেজ ম্যাপ”-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। আসোলা ভাট্টি অভয়ারণ্যের আশেপাশের বিদ্যালয়গুলির পড়ুয়ারা এদিন পৃথিবীকে শোষণ করার বিষয়টির উপর আলোকপাত করে একটি পথনাটক (নুক্কান নাটক) উপস্থাপনা করেন।
উল্লেখ্য, এ বছর আন্তর্জাতিক অরণ্য দিবসের মূল ভাবনা হল “অরণ্য ও জল”। জীবনের জন্য পরিস্রুত জল যে অপরিহার্য এবং এই গ্রহের জন্য পরিস্রুত জল সরবরাহের ক্ষেত্রে অরণ্য যে প্রধানতম উৎস সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এই ভাবনা গ্রহন করা হয়েছে।
সুত্র: পিআইবি
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/30/2016