সুন্দরবন বিষয়ক দফতরের (সাগরদ্বীপ বাদে) প্রস্তাব অনুসারে ডবলুবিএসইডিসিএল সুন্দরবন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, মথুরাপুর-২ এবং কুলতলি ব্লকের এসডিএ-র মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রদত্ত ৮৭.০৬ কোটি টাকায় মোট ৮২টি মৌজায় বিদ্যুতায়ন হবে। ইতিমধ্যে ৩০টি মৌজার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি মৌজাগুলির কাজ চলছে। কাজ শেষ করার সম্পূর্ণ সময়সীমা ধার্য হয়েছে মার্চ ২০১৬ । সাগরদ্বীপের ৪২টি গ্রামে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কোস্টাল জোনাল ম্যানেজমেন্ট দফতরের মাধ্যমে।
রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি বিপিএল এবং এপিএল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। শুরুতে রাজ্যের ১১টি জেলায় (জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা) ‘সবার ঘরে আলো’ প্রকল্পে বিআরজিএফের মাধ্যমে ওই সব জেলার সমস্ত বিপিএল ও এপিএল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে ১১টি জেলার ২৭,৯৭৪টি মৌজায় ২০.৪৪ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে যার মধ্যে ১৮,৬৬৭টি মৌজায় ৭.১৫ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৫। এখনও পর্যন্ত ওই ১১টি জেলার ১৭,৬৪৪টি মৌজায় কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে এবং ৫.২২ লক্ষ বিপিএল ও ৪.০২ লক্ষ এপিএল বাড়িতে বিআরজিএফ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবনে রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রকল্প শুরুর আগে অপ্রচলিত উপায়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। এ জন্য বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও এই কাজে জড়িয়ে নেওয়া হয়। মূলত সৌর বিদ্যুতের দিকেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। যেমন সাগরদ্বীপে আলাদা করে সৌর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছিল। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দ্বীপের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারত। পরে গ্রিডের মাধ্যমে প্রচলিত বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে গিয়ে সাগরদ্বীপকে আলোকিত করা হয়। সীমান্ত অঞ্চলের বহু জেলাতেও অপ্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তিত হয়ে প্রচলিত বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়েছে।
সূত্র : পঞ্চায়েতী রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020