পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ নিয়মাবলী অনুযায়ী, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে প্রথমে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার স্থানীয় অফিস থেকে নতুন কানেকশন সম্পর্কিত বুকলেট জোগাড় করতে হবে। নির্ধারিত বুকলেটটি পূরণ করে যে বাড়ির জন্য সংযোগ নেওয়া হচ্ছে তার স্কেচ এবং প্রয়োজনে নির্ধারিত আর্নেস্ট মানি সহ স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে জমা করতে হবে। আবেদনপত্র জমা করার সময় অবশ্যই কাউন্টার থেকে সই করা রসিদ মনে করে নিয়ে নিতে হবে। আবেদনপত্র জমা করার পরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা সাত দিনের মধ্যে (পৌর এলাকায়) অথবা ১৫ দিনের মধ্যে (গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়) পরিদর্শনে যাবেন। পরিদর্শনের পর ওই প্রতিনিধি একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন। যার দু’টি ভাগ থাকবে। একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার জন্য অপরটি গ্রাহকের জন্য। বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আগ্রহী গ্রাহকের কত টাকা খরচ হবে তার একটি খসড়া বা কোটেশন পরিদর্শন হয়ে যাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা গ্রাহককে পাঠাবে। ওই কোটেশন পাওয়ার ৯০ দিনের মাথায় নতুন সংযোগ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার দেওয়া আনেক্সচার বি পূরণ করে নির্ধারিত অর্থ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অফিসে জমা দেবেন।
আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বাসস্থানের প্রমাণ পত্র (ভোটার কার্ড, পাশপোর্ট, বাড়ি ভাড়ার বিল, পৌরসভা বা পঞ্চায়েতের ট্যাক্সের বিল, সরকারি দফতর থেকে নেওয়া যে কোনও নথি যা ওই বাসস্থানের অধিকার প্রমাণ করে) জমা দিতে হবে। বড় কারখানা বা বহুতল আবাসান অথবা বাণিজ্যিক স্বার্থে নির্মিত বহুতলের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়্ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র প্রয়োজন।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর যদি দেখা যায় ‘ডিস্ট্রিবিউশন মেইন’ আগে থেকেই রয়েছে সে ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে আর যদি কোনও যন্ত্রাংশ সংযোজন করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ৪০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। কখনও কখনও মাটির তলায় ১০০ মিটার পর্যন্ত কেবল লাইন পাতার প্রয়োজন থাকে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক ৪৫ দিন পর এবং ডিস্ট্রিবিউশন মেইনের সঙ্গে নতুন কোনও সংযোজন এবং একই সঙ্গে ওভারহেড এক্সটেনশন করার প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রে গ্রাহক ৬০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন। এ ছাড়া যে কোনও ক্ষেত্রে গ্রাহক খুব বেশি হলে ৩০০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারেন।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/27/2020