জননী সুরক্ষা যোজনা (জেএসওয়াই) জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিরাপদ মাতৃত্ব সংক্রান্ত একটি প্রকল্প। দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সুফলের কথা প্রচার করে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমানোই এর লক্ষ্য। পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই প্রকল্প সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপায়ণ করা হচ্ছে। জাতীয় মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রকল্পের (এনএমবিএস) কিছু রদবদল করে ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে চালু করা হয় জননী সুরক্ষা যোজনা। জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের অংশ হিসাবে এনএমবিএস কাজ শুরু করে ১৯৯৫ সালের আগস্টে। এই প্রকল্পটি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের হাত থেকে ২০০১-০২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের হাতে চলে আসে। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা গর্ভবতী মহিলারা, যাঁরা ঊনিশে পা দিয়েছেন, এনএমবিএস প্রকল্প অনুসারে তাঁদের দু’টি জীবিত বাচ্চার জন্য ৫০০ টাকা করে শিশুপ্রতি দেওয়া হয়। এনএমবিএস প্রকল্প অনুসারে দেশ জুড়ে বিপিএলভুক্ত সব গর্ভবতী মহিলাই এই সাহায্য পেতেন। জননী সুরক্ষা যোজনা চালু হওয়ার পর বিপিএলভুক্ত গর্ভবতী মহিলা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। রাজ্যগুলোর মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে এবং সুবিধাভোগী গ্রাম না শহরের তা দেখা হচ্ছে। রাজ্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মাপকাঠি হল তার কাজ। যে রাজ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হচ্ছে সেটি হল উচ্চ পারফরমিং রাজ্য (এইচপিএস), আর যে রাজ্যে যদি ২৫ শতাংশের কম প্রতিষ্ঠানিক প্রসব হয় তাকে নিম্ন পারফরমিং রাজ্যের (এলপিএস) তকমা দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, ওড়িশা, অসম এবং জম্মু-কাশ্মীরকে নিম্ন পারফরমিং রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের বাদবাকি রাজ্য উচ্চ পারফরমিং রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020