সর্ব প্রথম দরকার অসুখটি সম্পর্কে সচেতনতা। দ্বিতীয়ত দরকার সামগ্রিক ভাবে বিশেষজ্ঞ চক্ষু-চিকিত্সক দ্বারা চক্ষুপরীক্ষা। সামগ্রিক চক্ষু পরীক্ষা বলতে বোঝায় :
আপনার দৃষ্টিশক্তির প্রান্তিকতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বা আদৌ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা। এই পাঁচটি পরীক্ষাই কিন্তু অপরিহার্য। আর পেরিমেট্রি পরীক্ষা না হলে আপনি যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই থাকবেন। রোগ নির্ণয়ও সঠিক হবে না।
যাঁদের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি, তাঁদের প্রতি বছরই গ্লকোমা পরীক্ষা করাতে হবে।
এ ছাড়া যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার করছেন তাঁরাও উপরিলিখিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
কোন কোন ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করানো উচিত
প্রাথমিক পর্বে রোগটি নির্ধারণ করা গেলে নির্দিষ্ট আইড্রপ বা চোখের ওষুধের সাহায্যে গ্লকোমাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গ্লকোমার দরুণ চোখের স্নায়ু বা অপটিক নার্ভের ক্ষতির পরিমাণ কতটা, সেই বুঝে অনেক ক্ষেত্রে দু’টি বা তিনটি চোখের ওষুধেরও দরকার লাগতে পারে। সারা জীবনই আপনাকে ওষুধগুলি ব্যবহার করে যেতে হবে। গ্লকোমা চিকিত্সার আর এক উপায় লেজার সার্জারি। চিকিত্সায় সুফল আনতে ও তাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে কখনও কখনও লেজার সার্জারি এবং আই ড্রপ দুইয়েরই প্রয়োগ করতে হয়। চোখে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার চক্ষুচিকিত্সক আপনাকে সাহায্য করবেন আপনার পক্ষে কোন পদ্ধতিটি উপযোগী ও কার্যকর, তা বুঝতে৷
সূত্র : ডা: টুটুল চক্রবর্তী, এই সময়, ১৩-৩-১৫, http://bengali.cri.cn
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/13/2020