- ১৫ মিনিটের বেশি অজ্ঞান হয়ে থাকলে দ্রুত শিরা অথবা রেকটামে কিছু ইনজেকশন দিতে হবে। ডাক্তার ডাকতে হবে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই ঘটনা ঘটে খুব কম। শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সব ঠিক হয়ে যায়।
- সাধারণ ফিটের ক্ষেত্রেও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। যেমন —
- অজ্ঞান হয়ে গেলে মাথা এক পাশে ফিরিয়ে দিন যাতে গ্যাঁজলা শ্বাসনালিতে ঢুকে বিপত্তি বাধাতে না পারে।
- বাঁধানো দাঁত থাকলে বার করে দিন।
- জামা, প্যান্ট, টাই ঢিলে করে দিন। বিশেষ করে টাই এবং জামার গলার বোতাম খুলে নেওয়া দরকার। নয়তো তড়কার সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- আশপাশ থেকে ধারালো জিনিস সরিয়ে নিন।
- হাত, পা চেপে ধরার দরকার নেই।
- দাঁত আটকে গেলে অনেকে মুখের মধ্যে চামচ দিয়ে খোলার চেষ্টা করেন। জোরাজুরি করলে দাঁত ভেঙে যেতে পারে। অতএব সেই চেষ্টা না করাই ভাল।
- ফিট চলাকালীন ওষুধপত্র খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
- ফিটের পর খানিক ক্ষণের জন্য ক্লান্ত অথবা মেজাজ খারাপ লাগতে পারে।
- ফিটের পর অনেক সময় মাথাব্যথা হয়। ব্যথা অসহ্য হলে অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
কিছু তথ্য
- ৩০ বছর বয়সের পর প্রথম তড়কা হলে বা ফিটের ধরন বদলে গেলে বুঝতে হবে এটা সেকেন্ডারি এপিলেপসি। রোগের কারণ খুঁজে তার চিকিত্সা করতে হবে।
- প্রতি বার ফিটে মস্তিষ্কের কিছু ক্ষতি হয়। স্থায়ী ক্ষতি এড়াতে ফিটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ চিকিত্সায় গাফিলতি করলে চলবে না।
- কিছু বিশেষ মৃগীতে অপারেশন ভালো ফল হয়।
তথ্য : ডাঃ অনুপম দাশগুপ্ত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/27/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.