অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন

কী করবেন

  • স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। এক সেকেন্ডে ব্রেনের কয়েক হাজার নার্ভ কোষের ক্ষতি হয়। এক মিনিটে নষ্ট হয় প্রায় কুড়ি লক্ষ কোষ। এক বার নষ্ট হয়ে গেলে তাদের আর ঠিক করা যায় না। কাজেই একটুও দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হন। স্ট্রোক হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে চিকিত্সা শুরু হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিদেনপক্ষে ছ’ ঘণ্টার মধ্যে।
  • সিটি বা এম আর আই স্ক্যান করে দেখা হয় কী ধরনের স্ট্রোক হয়েছে। ইস্কিমিক স্ট্রোক হলে টিস্যু প্লাজমিনোজেন অ্যাকটিভেটর ইঞ্জেকশন দিয়ে ব্লাড ক্লট খোলার চেষ্টা করা হয়। একে বলে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি। অনেক রোগীই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এক দিকে প্যারালিসিস হয়ে গেছে এমন রোগীও অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
  • আজকাল সরু ক্যাথেটারের সাহায্যে সরাসরি ক্লটে ইঞ্জেকশন দেওয়া যাচ্ছে। রোগী ছ’ ঘণ্টার মধ্যে এলেও খুব ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
  • ছ’ ঘণ্টা পরে চিকিত্সা শুরু হলে আগের মতো ভালো ফল না পাওয়া গেলেও চেষ্টা করা হয় যাতে আর বেশি ক্ষতি না হয়।
  • একটু সুস্থ হওয়ার পরই শুরু হয় রিহ্যাবিলিটেশন। অর্থাৎ দ্রুত মানুষটিকে তাঁর পূর্ণ কর্মক্ষমতায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। শরীর সচল করতে শুরু হয় ফিজিওথেরাপি। মনকে হতাশামুক্ত করতে সাইকোথেরাপি।
  • শরীর কতটা সচল হবে তা নির্ভির করে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ু নিজে থেকে কতটা ঠিক হয়ে উঠবে তার উপর। ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য যত দিন স্নায়ু কর্মক্ষম হয়ে হাত-পা কে সচল করতে না পারছে তত দিন ব্যয়ামের সাহায্য পেশি এবং সন্ধিগুলিকে সচল রাখা যাতে কাজ না করতে করতে তারা অক্ষম না হয়ে যায়।
  • স্নায়ুর কর্মক্ষমতা ফেরার সর্বোচ্চ সময় এক থেকে দেড় বছর। অর্থাৎ এর মধ্যেই যত টুকু যা ঠিক হওয়ার তা হবে। এর পর ফিজিওথেরাপি চালিয়ে কোনও লাভ হয় না।
  • মারাত্মক হতাশা এবং অবসাদ কাটাতে দরকার হয় প্রফেশনাল কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির। আত্মীয়বন্ধুদের সাহায্যও খুব জরুরি। সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন যত দিন অবসাদ কাটিয়ে উঠতে না পারছেন, তাঁকে কী ভাবে সামলাতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত আগলে রাখার মনোভাব থেকেও ক্ষতি হতে পারে।
  • রিহ্যাবিলিটেশনের পর্ব চলাকালীনই স্ট্রোকের পরবর্তী আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেমন —
    • উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। খাওয়াদাওয়ার নিয়ম মেনে চলা। প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া।
    • টাটকা শাকসবজি এবং ফলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্ট্রোক ঠেকাতে এদের কার্যকর ভূমিকা আছে।
    • ঘুম যাতে ঠিক ঠাক হয় সে দিকে খেয়াল রাখা।
    • ডাক্তারের পরামর্শমতো কিছু ব্যয়াম করা।
    • ধূমপান ছেড়ে দেওয়া।
    • ডাক্তারের পরামর্শমতো কিছু ওষুধও খেতে হবে।

    তথ্য : ডাঃ জয়ন্ত রায়

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/5/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate