অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কেন হয়

রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ায় ব্রেনের কোনও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং সেই অবস্থা যদি ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকে বা ওই ক্ষতির ফলে রোগী মারা যান, তবে তাকে স্ট্রোক বলে। স্ট্রোক দু’ ধরনের। হেমারেজিক এবং ইস্কিমিক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে হেমারেজিক স্ট্রোক হয়। তার মূল কারণ —

  • উচ্চ রক্তচাপ
  • অ্যানিউরিজম অর্থাৎ মস্তিষ্কের রক্তবাহী শিরা উপশিরার কোনও অংশ আচমকা বেলুনের মতো ফুলে ওঠা। এই ফুলে ওঠা অংশ ফেটে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • ব্রেন টিউমার।
  • ভ্যাসকুলার ম্যালফর্মেশন অর্থাৎ মস্তিষ্কের কোনও রক্তবাহী শিরার গঠনগত ত্রুটি।
  • কোকেন, অ্যামফিটামিন; হৃদরোগে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ যেমন — টি পি এ, স্ট্রোপ্টোকাইনেজ; ডিভিটি নামের অসুখে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ থেকে বিপদ আসতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা হলে দেখা দেয় ইস্কিমিক স্ট্রোক। তার মূলে আছে —
    • শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
    • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
    • হাই কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস এক সঙ্গে থাকলে সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
    • ভ্যালভঘটিত হৃদরোগ ইত্যাদি।

কী করে বুঝবেন স্ট্রোক হয়েছে

  • স্ট্রোকের মুহূর্তে বিশেষত হেমারেজিক স্ট্রোকে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। তার সঙ্গে আরও এক বা একাধিক উপসর্গ থাকতে পারে। যেমন —
    • হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
    • খিঁচুনি
    • শরীরের কোনও অংশ অসাড় হয়ে যাওয়া
    • চোখে অন্ধকার দেখা
    • হঠাৎ ডাবল ভিশন, কথা জড়িয়ে যাওয়া শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা
    • অনেক সময় মাথাব্যথা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে খানিকটা কমে যায়। রোগী ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে স্ট্রোকের মতো একটা ঘটনা ঘটে গেল।
  • মেজর স্ট্রোকে অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে পক্ষাঘাত, কথা বন্ধ ইত্যাদি হয়। ঠিক হতে সময় লাগে বেশ কিছু দিন। রোগী মারাও যেতে পারেন।
  • ট্রানসিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক বা টি আই এ-তে খুব অল্প সময়ের জন্য মুখের একটা পাশ, একটা হাত কি একটা পা একটু অবশ হয়ে আবার ঠিক হয়ে যায়। চোখের সামনে কালো পর্দা পড়ে। খানিক বাদেই আবার ঠিক হয়ে যায়। একে হালকা ভাবে না নেওয়াই ভালো। কারণ এ হল বড় স্ট্রোকের আগাম সতর্কবার্তা।
  • রিভার্সিবল ইস্কিমিক নিউরোলজিকাল ডেফিসিট-এ স্ট্রোক হয়। কিন্তু দু-তিন দিনে রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে যান। এ হল মেজর স্ট্রোকের ওয়ার্নিং সাইন।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/4/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate