আর্সেনিক দূষণের এই পরিস্থিতি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। বহু বছর ধরেই ধরিত্রী এই বিষ ধারণ করে আসছে, যা অক্লান্ত গবেষণার মাধ্যমে আমাদের সামনে এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ আর্সেনিক দূরীকরণ কোনও সহজ কাজ নয়। আর্সেনিক দূরীকরণের বেশ কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার হলেও তা বেশ খরচসাপেক্ষ। কম দামি কোনও আর্সেনিক দূরীকরণের যন্ত্র এখনও বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু যে দরকারি পদক্ষেপটি আমরা আজ থেকেই নিতে পারি তা হল সাবধানতা ও পানীয় জল পরিশুদ্ধকরণের সহজ পন্থার অবলম্বন।
সাবধানতা
- (১) ভূগর্ভস্থ জলের অগভীর জলস্তরগুলিতে আর্সেনিকের পরিমাণ সব চেয়ে বেশি থাকে। কৃষিতে সবুজ বিপ্লব আনার জন্য অগভীর নলকূপ খনন করে সেচের কাজে লাগানোর উপর নিষেধাঞ্জা এখন অনেক শিথিল হয়ে গেছে যা আমাদের অত্যন্ত বিবেচনার সাথে কাজে লাগাতে হবে। কাজের জন্য ব্যবহৃত জলে আর্সেনিকের পরিমাণ যদি খুব বেশি না হয়, তা হলেও সেচের জন্য যতটুকু জল দরকার ঠিক ততটুকু পাম্প চালানো উচিত। এই জলের অপচয় করলে আমরা শুধু আর্সেনিকের দূষণের জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত হব না, অগভীর ভূগর্ভস্থ জলস্তরে জলের পরিমাণ কমতে থাকলে ঐ অঞ্চল ধীরে ধীরে ধসপ্রবণ হয়ে যাবে ও কম মাত্রার ভূকম্পনে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
- (২) ভূগর্ভের গভীর জলস্তর আর্সেনিকের দূষণ মুক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ মিটার থেকে ১০০ মিটার অবদি গভীর নলকূপগুলি থেকেই আর্সেনিকের অতি মাত্রায় উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই সম্ভব হলে পান করার, রান্না করার ও গৃহস্থালির কাজের জন্য এবং খাবারের দোকানের জলের ব্যবহারের জন্য গভীর নলকূপ থেকে জল সংগ্রহ করা উচিত যা ১৫০ মিটারের বেশি গভীর হবে। জলাশয়, পুকুর অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের জলাধারের উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.