পরবর্তী পদ্ধতিটি খুব কম সময়ের প্রয়োজনে (২-৫ দিন) ব্যবহৃত হতে পারে। ধানের খোসা বা তুষ ভালো করে জলে ধুতে হবে (৩-৪কেজি) এবং উনুনের আঁচে সারা দিন গরম করে একেবারে শুকিয়ে নিতে হবে। এই শুকনো তুষ মিহি গুঁড়ো করে আগের পদ্ধতির মতো একটি পাত্রে (সূক্ষ্ম ছিদ্র তলদেশে করে নিতে হবে) সিন্থেটিক কাপড়ের বেশ খানিকটা দিয়ে তার উপর মিহি বালি (২ কেজি) এবং তার উপর ২-৩ কেজি তুষের গুঁড়ো দিতে হবে। আর্সেনিকযুক্ত জল এই পাত্রে ঢাললে জলের বেশির ভাগ আর্সেনিক দূরীভূত হবে ও পাত্রের নীচের ছিদ্র দিয়ে পরিষ্কার জল নির্গত হবে।
যদি কোনও অঞ্চলের জলে লোহার মাত্রা বেশি না হয়, শুধু সে ক্ষেত্রেই নলকূপের তলার মেঝেতে জলের দাগ দেখে জলে আর্সেনিকের মাত্রা সম্পর্কে ধারণা করা যাবে। যদি নলকূপের মেঝেতে জলের দাগ কালচে হয়, তবে ঐ নলকূপের জলে আর্সেনিক নেই বা নিরাপদ মাত্রায় আছে। কিন্তু যদি মেঝেতে জলের দাগ লালচে হয়, তবে আর্সেনিকের মাত্রা অত্যন্ত বেশি বলে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশে কোনও নলকূপে আর্সেনিকযুক্ত জল বেরোলে ঐ নলকূপের গায়ে লাল রং ও আর্সেনিকবিহীন জল বেরোলে তার গায়ে সবুজ রং করার প্রথা চালু আছে। আমাদের দেশেও এই রেওয়াজ চালু হলে মানুষের উপকার হবে।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020