বৈদ্যুতিন বর্জ্যে থাকে হরেক বিপজ্জনক ভারী ধাতু এবং প্লাস্টিক। পলিব্রোমিনেটেড ডাইইথাইল ইথার, ব্রোমিনেটেড ফ্লেম রিটারডেন্ট এর মতো অন্যান্য পদার্থ। মানুষ ও জীবজন্তুর পক্ষে এ সব পদার্থ ভয়ানক বিপদ বিশেষ। পরিবেশে মেশার আগে তাই এ বর্জ্য থেকে ক্ষতি দূর বা কমানোর প্রক্রিয়া (ট্রিটমেন্ট) করা জরুরি। এ হেন প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম রিসাইক্লিং (যান্ত্রিক/রাসায়নিক পদ্ধতিতে ফের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা), পুড়িয়ে ফেলা ও মাটি চাপা দেওয়া।
রিসাইক্লিং কিছু পরিমাণ দূষণকারী পদার্থ দূর করেত পারে। কিন্তু বেশির ভাগ বর্জ্যের ঠাঁই হয় মাটির গর্ত বা রিসাইক্লিং কেন্দ্রে। মানুষের স্বাস্থ্য বা পরিবেশের ক্ষতি করে চলে। বৈদ্যুতিন বর্জ্যে প্রতি বছর ৮ লক্ষ টনের বেশি থাকে তামা। রিসাইক্লিং সত্ত্বেও বছরে ৫ হাজার টন তামা নির্গত হয় পরিবেশে (বার্ট্রাম ও অন্যরা, ২০০২)। বাতিল রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার মাটিতে পড়ে থেকে ওজোন ধ্বংসকারী সিএফসি গ্যাস ছড়ায়।
বৈদ্যুতিন বর্জ্য প্রায়ই পুড়িয়ে ফেলা হয়। পোড়ানোর সময় নির্গত গ্যাস এবং দহন শেষের ছাই অনেক সময় বিষাক্ত থাকে। পলিব্রোমিনেটেড ডাইফিনাইল ইথার প্লাস্টিকের সঙ্গে রাসায়নিক ভাবে যুক্ত নয় বলে পরিবেশে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে (দেঙ ও অন্যরা, ২০০৭)।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/30/2019
বর্জ্যের ট্রিটমেন্টের যে সব পদ্ধতি আছে তা নিয়ে এখা...