রিসাইক্লিংয়ের সময় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলি খুলে ফেলা এবং ভাঙাভাঙি করা হয়। রিসাইক্লিং করে কম্পিউটার থেকে ৯৫ শতাংশ বের করা হয় দরকারি জিনিস। আর ক্যাথোড রে টিউব মিনিটরের ৪৫ শতাংশ জিনিসপত্তর। জাপানের মতো উন্নত দেশে উচ্চ প্রযুক্তির রিসাইক্লিংয়ের দরুন পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যত্সামান্য (আইজাওয়া ও অন্যরা, ২০০৮)।
অত্যাধুনিক কারিগরির মাধ্যমে ফেলে দেওয়া ক্যাথোড রে টিউব-এর হাইলেড (সিসে) গ্লাস খুলে নেওয়া যায়। অথচ এতে পরিবেশের ক্ষতি অতি নগণ্য (অঁদ্রেওলা ও অন্যরা, ২০০৭)।
বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে বিপজ্জনক পদার্থ বিশেষ আধারে সুরক্ষিত থাকে। বর্জ্য সংগ্রহের সময় হঠাৎ ভেঙে গিয়ে তা থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ভাঙাভাঙির সময় বিপজ্জনক পদার্থ মেশা নোংরা ধুলো থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির না হলে রিসাইক্লিংয়ের দরুন দূষণ সৃষ্টি হয়। নির্গত বিষাক্ত ভারী ধাতু স্থানীয় লোকজনের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদ ডেকে আনতে পারে। উন্নত বিশ্ব থেকে বর্জ্য নিয়ে জাহাজের অধিকাংশ পাড়ি জমায় চীনে। সেখানকার তাইঝাউ অঞ্চলে এ সব জাহাজ থেকে খালাস করা বর্জ্য রিসাইক্লিং চলছে সেই সাতের দশক থেকে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/25/2019