ক্রনিক মাইলোসাইটিক লিউকোমিয়া (সিএমএল) যে কোনও বয়সের এবং যে কোনও লিঙ্গের ব্যক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এই রোগ বিরল। এই রোগ ৪০ থেকে ৬০ বয়সের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি হয়। কারণ হল দু’টি নির্দিষ্ট ক্রমোজমের অবস্থানগত পরিবর্তন যা সাধারণত ফিলাডেলফিয়া ক্রমোজম নামে পরিচিত। ফিলাডেলফিয়া ক্রমোজম একটি অস্বাভাবিক উৎসেচক তৈরি করে (টাইরোসাইন কাইনেস), যেটি শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সিএমএল –এর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় লিউকোমিয়া কোষ অস্থি মজ্জায় উৎপাদিত হয়, কখনও কখনও তা প্লিহা এবং যকৃতেও হয়। তীব্র লিউকোমিয়ায় যেখানে অপূর্ণাঙ্গ শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে, তার তুলনায় সিএমএল ক্রনিক ধাপে সাধারণ দেখতে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কখনও কখনও অনুচক্রিকাও বৃদ্ধি পায়। এই রোগের সময়ে আরও বেশি করে লিউকোমিয়া কোষ অস্থি মজ্জা ভর্তি করে এবং অন্যরা লোসিকায় ঢোকে।
আস্তে আস্তে লিউকোমিয়া কোষ আরও বেশি পরিবর্তিত হয় ও রোগ দ্রুত বৃ্দ্ধি পায় এবং তার পর সঙ্কটজনক অবস্থায় যায়। সাধারণত প্লিহার বড় হয়ে যাওয়া, জ্বর এবং ওজন হ্রাস এই সময়ে ঘটে থাকে। তীব্র দশাতে, সিএমএল-এর কোনও লক্ষণ নাও থাকতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ ক্লান্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়। তাদের খাবার ইচ্ছে চলে যায়, ওজন কমে, জ্বর অথবা রাতে ঘাম শুরু হয় এবং শরীর ভার ভার অনুভূত হয় -- যা সাধারণত বর্ধিত প্লিহার জন্য হয়। রোগ যখন সঙ্কটের দিকে যায় মানুষ তখন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে কারণ লোহিত কণিকা এবং অনুচক্রিকা হ্রাস পায় যার ফলে মলিনতা, কালশিটে পড়া এবং রক্তক্ষরণ ঘটে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/9/2020