গর্ভপাতের সময় নিম্ন প্রজনন নালীর সংক্রমণ থাকলে, তা গর্ভপাতের পর বিপদের কারণ হতে পারে। দেখা গেছে যে সাধারণ ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে গর্ভপাত-পরবর্তী ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। কিন্তু প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহারের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক না পাওয়া গেলেও গর্ভপাত করানো যায়, কেননা, এমনিতেই গর্ভপাত-পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর কড়া নজর দেওয়া ও জীবাণুমুক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।
যদি ক্লিনিকাল পরীক্ষায় মনে হয় যে সংক্রমণ আছে, তবে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে পর্ভপাত করানো যেতে পারে। যে সব জায়গায় নিয়মিত ভাবে এই সংক্রমণের পরীক্ষা করা হয়, সেখানে পরীক্ষা করালেও, যদি আপাত ভাবে সংক্রমণের লক্ষণ না থাকে, তবে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা না করেই গর্ভপাত করানো যায়।
নিষিক্ত ডিম জরায়ুর বদলে গর্ভনালি, ডিম্বাশয় বা ডগলাস পাউচে (জরায়ুর পিছনের অঞ্চল) স্থাপিত হলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। গর্ভাধান জরায়ুতে না হয়ে অন্য কোথাও হয়েছে কিনা তা বোঝা যায় কয়েকটি লক্ষণ দেখে। যেমন, গর্ভাবস্থার সময়সীমা অনুযায়ী গর্ভাশয় বড় না হওয়া, তলপেটে ব্যথা, বিশেষত তার সঙ্গে যদি যোনির রক্তক্ষরণ বা অল্প রক্তস্রাব থাকে, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাশে ভাব এবং কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে উপাঙ্গীয় মাংসপিন্ড থাকা। স্থানভ্রষ্ট গর্ভাবস্থা হয়েছে সন্দেহ হলে কোনও রকম দেরি না করে সেটি চিহ্নিত করা ও চিকিৎসা শুরু করা উচিত বা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে এমন জায়গায় পাঠানো উচিত যেখানে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ আছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/2/2020