একটি গর্ভপাতকে তখনই সম্পূর্ণ বলা হবে, যখন বাড়তে থাকা ভ্রূণের সমস্ত তন্তু ও ফুলটি যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। সম্পূর্ণ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে কয়েক দিনের মধ্যেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে৷ এ রকম ক্ষেত্রে মহিলাটির বিশ্রাম নেওয়া উচিত ও ভারী জিনিস তোলা উচিত নয়। ২-৩ সপ্তাহ কোনও রকম ব্যায়াম করবেন না। তাঁকে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং যৌন সংসর্গ এড়িয়ে চলতে হবে।
যদি গর্ভের ভেতর ভ্রূণের কিছু অংশ বা ফুল রয়ে যায়, তবে গর্ভপাত অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। গর্ভধারণের দশম ও কুড়িতম সপ্তাহের মাঝামাঝি গর্ভপাত হলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ চলতেই থাকে ও গর্ভে রয়ে যাওয়া মৃত তন্তুগুলি থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে, যা জ্বর ও পেটে ব্যথার কারণ হয়। গর্ভপাত অসম্পূর্ণ থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসাকর্মীকে দিয়ে গর্ভ পুরোপুরি পরিষ্কার করাতে হবে। যদি অসম্পূর্ণ গর্ভপাত সংক্রমিত হয়, তবে তা থেকে জ্বর ও জননাঙ্গগুলিতে ব্যথা হতে পারে। সংক্রমণের চিকিৎসা না হলে, তা থেকে ডিম্বনালীতে ক্ষত হতে পারে, যা কোনও মহিলার বন্ধ্যাত্ব আনতে পারে। গর্ভপাতের পরে এক জন মহিলার যদি সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। গর্ভপাত হয়ে গেলে, বিশেষ করে অসম্পূর্ণ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে, আবার গর্ভবতী হওয়ার জন্য মহিলাদের বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করা উচিত। এই সময়ে গর্ভধারণ এড়াতে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
কিছু মহিলার বার বার গর্ভপাত হতে থাকে। গর্ভধারণের পরে পরেই একটি বা দু’টি গর্ভপাত হলে, তাঁকে ভরসা দিতে হবে। কিন্তু গর্ভাবস্থার পরের দিকে তৃতীয় বা চতুর্থ বার গর্ভপাত হলে, তাঁকে এর কারণ খোঁজার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/27/2019