মেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ক্রনিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। প্রতিরোধই হল সবচেয়ে বড় প্রতিকার। জীবনযাত্রাকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে জীবনযাপনের গুণগত মান বাড়ে এবং ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
মেনপজ এজন মহিলার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কোনও না কোনও দিন তার জীবনে এই সময়টা আসতে বাধ্য। যখন মাসিক ঋতু বন্ধ হয়ে যায় এবং সেক্স হরমোনের পরিমাণ কমে আসতে থাকে তখন অর্থাৎ মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা যখন কমে আসে সেই সময় এই অবস্থার সূত্রপাত। অনেক সময় মেনপজের ফলে অনেক ক্ষতিকারক লক্ষণ দেখা দেয়।
অবশ্য এ ব্যাপারে এক জনের সঙ্গে অন্য জনের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা রয়েছে। ১২ মাস টানা ঋতু না হলে এক জন মহিলা মেনপজের অবস্থার সম্মুখীন হন বা তার মেনপজ হয়েছে বলা যায়। শেষ বার ঋতুমতী হওয়ার পর ১২ মাসের সময়কালকে ‘পেরিমেনপজাল’ পর্যায় বলা হয়। এর পর এক জন মহিলা মেনপজের অবস্থায় পৌঁছন। ককেশীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনপজ হওয়ার বয়স ৫০-৫২ বছর। ভারতে ৪৬-৪৭ বছর বয়সে সচরাচর মহিলারা এই অবস্থায় পৌঁছে যান। কিছু কিছু জাতি বা গোষ্ঠীর মহিলাদের ক্ষেত্রে সময়টা আরও আগে শুরু হয়। যে সব মহিলার অস্ত্রোপচার করে ওভারি বাদ দেওয়া হয়েছে বা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে তাদের অনেক আগেই মেনপজ শুরু হতে পারে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/23/2019