অপ্রথাগত ক্ষেত্র শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলিই নয়, আজ উন্নত দুনিয়াতেও কর্মসংস্থানের একটি বড় উৎস। তাই নীতি প্রণেতা ও গবেষকদের কাছে এই ক্ষেত্র যেমন অস্তিত্বের প্রশ্ন, উন্নত বিশ্বে অবশ্যই তা নয়। ১৯৭০-এর দশকের উন্মেষ পর্ব থেকে পার হয়ে আশি, নব্বইয়ের দশক অতিক্রম করে অপ্রথাগত ক্ষেত্র এখন বর্ধিষ্ণু ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ধরনের উদ্যোগগুলি লাভজনকও বটে। শুধু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেই নয়, বেশ কয়েক বছর ধরে উন্নয়নশীল দেশগুলির জিডিপিতে এই ক্ষেত্রের অবদানও বাড়ছে। প্রথাগত গ্রাসাচ্ছাদনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে আজকে লাভজনক উদ্যোগ, অপ্রথগাত উদ্যোগের দীর্ঘ যাত্রাপথের আলোচনা অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য।
গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণা থেকেই অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ধারনার তত্ত্বগত ভিত্তি গড়ে উঠেছে। এই সমস্ত সমীক্ষা ও গবেষণায় ‘দ্বৈতবাদ’ বা ‘দ্বৈত অর্থনীতির’ উপস্থিতিকে উন্নয়নশীল দেশগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসাবে জোর দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই জোর দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন লিউইস, ফেই-রানিস এবং হ্যারিসন-টোডোরো। এক দিকে লুইস এবং ফেই-রানিস উন্নয়নশীল অর্থনীতিকে গ্রামীণ এবং নাগরিক, এই দু’টি ক্ষেত্রে ভাগ করেছেন। আবার অন্য দিকে, হ্যারিস-টোডোরো নাগরিক ক্ষেত্রের মধ্যেও বিভাজন দেখেছেন।
অতীতে দ্বৈতবাদের তত্ত্ব নিয়ে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে আবার নতুন করে আগ্রহের সূচনা হয়। এটা দেখা যায় যে, আধুনিক নাগরিক অর্থনীতি, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতিতেও এই তত্ত্ব প্রয়োগ করা যাবে। কারণ এই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং গ্রাম থেকে শহরে শ্রমিকের ভিড়ে আধুনিক ক্ষেত্রে নতুন কর্মপ্রার্থীদের স্থান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেনিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আন্তজার্তিক শ্রম সংগঠনের (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন) কর্মসংস্থানের মিশনে দেখা যায় যে এই দেশগুলিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটা বড় অংশই প্রথাগত নিয়ামক ব্যবস্থার বাইরে সম্পাদিত হচ্ছে। কেনিয়া মিশনে এই ধরনের প্রথম অপ্রচলিত ক্ষেত্র্রের অস্তিত্ব বা এর টিকে থাকার বিষয়টিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
অপ্রথাগত ক্ষেত্রের মধ্যে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলি সমাজে গৌণকাজ হিসাবে স্বীকৃত। সে অর্থে সেই সব কাজগুলিকে অর্থনৈতিক মানদণ্ডে বিচার করা হয় না।
অপ্রথাগত ক্ষেত্রে প্রান্তিক গৌণ কাজকর্মকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এই মিশনে ক্ষুদ্রায়তন এবং অনথিভুক্ত কাজের পরিধি বোঝানোর জন্য আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে এক দিকে কৃষি ও অন্যান্য গ্রামীণ কর্মকাণ্ড এবং অন্য দিকে শিল্প ও পরিষেবার মতো অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যর্থতাকেই অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অস্তিত্বের প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হয়।
ঘানায় শহরাঞ্চলের শ্রমিকদের উপর চালানো গবেষণায় এই ধরনের একটা বিভাজনের আভাস দেওয়ার জন্য কিথ হার্ট প্রথম ‘অপ্রথাগত ক্ষেত্র’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। হার্ট যে ভাবে ‘প্রথাগত ক্ষেত্র’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তা মোটামুটি আধুনিক নাগরিক ক্ষেত্র এবং অপ্রথাগত ক্ষেত্রের সমার্থক যাকে নগরের প্রচলিত ক্ষেত্রের সম্প্রসারিত ব্যাখ্যা হিসাবে দেখা যেতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই আগে যে শ্রেণি-বিভাজন ছিল এখনকার শ্রেণি-বিভাজন তার থেকে আলাদা এবং সেটি সম্পূর্ণভাবেই আধুনিক এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে নগরায়ণ প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতি যেটি প্রচলিত গ্রামীণ অর্থনীতির আধুনিক শিল্পকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার সূচক হিসাবেও কাজ করে। এই সমস্ত গবেষণায় প্রথাগত এবং অপ্রথাগত ক্ষেত্রের মধ্যে দ্বৈতবাদের বিশ্লেষণ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে নাগরিক অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বিশ্লেষণ আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে।
এই ভাবে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ইতিহাসকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, ১৯৭০-এর দশক, উন্মেষ পর্ব, যখন অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ধারণা মনের মধ্যে অঙ্কুরোদ্গম হয়। ১৯৮০-র দশক, প্রসারণের দশক যখন এই ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকের দ্বারা গৃহীত হয় এবং সেই সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯০-এর দশক সরকারিভাবে রূপদানের পর্ব। এই সময় অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ধারণা আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পায় এবং বিভিন্ন আন্তজার্তিক সরকারি কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০০ সাল এবং ভবিষ্যতের সম্প্রসারণের বছরগুলি যখন গবেষণার ক্ষেত্রে অপ্রথাগত ক্ষেত্র নতুন করে এবং আরও বেশি করে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
,h3>অপ্রথাগত ক্ষেত্র ও উন্নয়নশীল বিশ্বউন্নয়নশীল বিশ্ব এবং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি থেকে বাজার অর্থনীতির পথে যাত্রা শুরু করা দেশগুলিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে। এই দেশগুলিতে দরিদ্র শ্রেণির আয় ও কর্মসংস্থানের উৎস হিসাবে এই ক্ষেত্রের গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ বিতর্কের অবকাশ নেই। গবেষণার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব প্রসঙ্গে খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে আইএলও-র আন্তজার্তিক শ্রম সম্মেলন বিষয়ক প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশেষত উন্নয়নশীল ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি থেকে বাজার অর্থনীতির পথে পা বাড়ানো দেশগুলিতে যে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা হয়েছে মূলত অপ্রথাগত অর্থনীতিতে, কারণ, প্রথাগত অর্থনীতিতে বেশির ভাগ মানুষই চাকরির সুযোগ পান না বা কোনও ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। (আইএলও ২০০২)
এই সমস্ত দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অস্তিত্বকে একটি অস্থায়ী পর্ব বলে মনে করা হলেও উন্নয়ন প্রক্রিয়া জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষেত্র টিকে যায় এবং সম্প্রসারিত হয়। ধীরে ধীরে উন্নয়নশীল দেশগুলির বিপুল উদ্বৃত্ত শ্রমের যে সমস্যা তার সমাধানের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে এই ক্ষেত্র। এরও পর উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কাঠামোগত বিন্যাস কর্মসূচি চালু হওয়ার পর প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা তথা ব্যয় সাশ্রয়ের খাতিরে সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই তাদের নিয়োগ পরিসর সঙ্কুচিত করে দেয়। ফলে এই সমস্ত অর্থনীতিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের টিকে থাকা, সম্প্রসারণ এবং স্থায়িত্ব অনিবার্য হয়ে পড়ে। এই কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাথমিক ভাবে এই ধারণাটিকে নিয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছিল। পরে উন্নত দেশগুলিতেও অপ্রথাগত সম্পর্কিত গবেষণায় আগ্রহ বাড়ে। যদিও বর্তমানে উন্নত দেশগুলিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অস্তিত্ব থাকলেও এই সমস্ত উদ্যোগগুলির ধরণ ও প্রকৃতিতে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই ক্ষেত্রকে দরিদ্র শ্রেণির জন্য অস্তিত্বের প্রশ্ন বলা যেতে পারে, যেখানে মানুষের সামনে বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনও পথ নেই।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
উন্নত দেশগুলিতে মানুষ এই ধরনের উদ্যোগগুলিতে প্রবেশ করে অন্য লক্ষ্য নিয়ে। কারণ এই ধরনের উদ্যোগে প্রথাগত ক্ষেত্রের তুলনায় অনেক বেশি স্বশাসন, নমনীয় পরিবেশ ও স্বাধীনতা পাওয়া যায়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কর্মকাণ্ড হওয়ার দরুন উন্নত দেশগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম উন্নত দেশগুলিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্র শ্রম-নিবিড়, স্বল্প আয়মূলক এবং সেই সঙ্গে স্বল্প পুঁজি সম্পন্ন। তবে অপ্রথাগত ক্ষেত্র সম্পর্কিত সাম্প্রতিক সমীক্ষাগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বড় অংশই এমন অনেক কর্মকুশল এবং সেগুলি লাভে চলছে (ইউসিএইচএস২০০৬)। তবে এই তথ্য কতটা ঠিক তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপিতে অপ্রথাগত উদ্যোগের গড় অংশ উত্তর আফ্রিকায় ২৭ শতাংশ থেকে সাহারা পার্শ্ববর্তী আফ্রিকায় ৪১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আবার লাতিন আমেরিকার জিডিপিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অবদান যেখানে ২৯ শতাংশ সেখানে এশিয়ার এই অংশটা ৪১ শতাংশ। কম্বোডিয়ায় কৃষি ছড়া অন্যান্য ক্ষেত্রের জিডিপিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এই সমস্ত হিসাব থেকে একটা কথা পরিষ্কার যে, কৃষিবর্হিভুত জিডিপিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বিকাশের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় নীতিপ্রণেতা ও গবেষকদের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষত যে ভাবে এই দেশগুলিতে অদক্ষ শ্রমিক ও স্থানীয় সম্পদ নিয়ে এই ক্ষেত্র বিকশিত হচ্ছে তা দেখে এই আগ্রহ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, উৎপাদন ও আয়ের পথ সৃষ্টিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্র যে বড় ভূমিকা পালন করেছে তাতে এই ক্ষেত্রকে এই সমস্ত দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
সেই প্রথাগত গ্রাসাচ্ছাদনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে আজকের লাভজনক উদ্যোগ—অপ্রথাগত ক্ষেত্রের এই দীর্ঘ যাত্রাপথে এর সংজ্ঞা প্রকৃতির মধ্যে অনেক বৈচিত্র ও অসমসত্ত্বর ধারণা এসেছে। সংজ্ঞা, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, কর্মকাণ্ড এবং বিষয়ের বৈচিত্র বা অসমসত্ত্ব প্রকৃতির ফলে এর অন্তর্নিহিত ধারণাকে এমন ভাবে প্রয়োগ করছেন যাতে এর একাধিক অর্থ দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
দেশ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ভেদে এই ক্ষেত্র আলাদা আলাদা হতে পারে, এমনকী একই শহরের বিভিন্ন অংশে এই ক্ষেত্রের রূপভেদ থাকতে পারে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদ (ইউএসইসিওএসওসি) দ্বারা গৃহীত আন্তজার্তিক সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘অপ্রথাগত ক্ষেত্র’ শব্দটি যে বিষয়গুলি নির্দেশ করে সেগুলি হল, (ক) সমস্ত বেসরকারি এবং নিগমবদ্ধ নয় (অপ্রথাগত উদ্যোগ) এমন উদ্যোগসমূহ বা বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবা উৎপাদন ও বিক্রয়ে নিযুক্ত পরিবার এবং (খ) পূর্বনির্ধারিত নিম্নসীমা কম কর্মিসংখ্যা সম্পন্ন উদ্যোগ সমূহ (এনসিইইইউএস ২০০৬)
গ্রামাঞ্চলে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে মূলত ভূমিহীন কৃষিশ্রমিক, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি, ভাগ চাষি, পশুপালন পোলট্রি ও মাছ চাষে নিযুক্ত ব্যক্তি, গ্রামীণ কারিগর ও শিল্পী, অরণ্যে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত কর্মী, তাড়ি প্রস্তুতকারক প্রমুখ ব্যক্তি। অন্য দিকে শহরাঞ্চলে অপ্রথাগত ক্ষেত্র গঠিত হয়েছে মূলত নির্মাণ, কাঠের কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহণ ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নিযুক্ত দৈহিক পরিশ্রমকারী শ্রমিক তথা পথবিক্রেতা, হকার, মাথায় করে মল বহনকারী, পোশাক প্রস্তুতকারী ইত্যাদি নিয়ে। আইএলও-র সংজ্ঞা অনুযায়ী অপ্রথাগত ক্ষেত্র হল কঠোর পরিশ্রমী দরিদ্রদের কর্মক্ষেত্র যারা কোনও সরকারি কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত, নথিভুক্ত, নিয়ন্ত্রিত বা সুরক্ষিত নয়। এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন, এই কাজে যোগ দেওয়া সহজ, দেশীয় সহায় সম্পদের ওপরেই নির্ভর করে এই সমস্ত উদ্যোগ গড়ে ওঠে। উদ্যোগের উপরে থাকে পারিবারিক মালিকানা, সীমাবদ্ধ স্থানে পরিচালিত হয় এই উদ্যোগ, শ্রম নিবিড় এই উদ্যোগে অন্যের কাছ থেকে গৃহীত প্রযুক্তি ও প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা তথা অনিয়ন্ত্রিত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বাইরে থেকে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে পরিচালিত হয় (আইএলও ১৯৭২)। ‘অপ্রথাগত কর্মী’ বলতে তাদেরই বোঝায় যাদের কর্মনিযুক্তির শর্ত কোনও শ্রম আইন, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিশেষ বিশেষ কর্মসংস্থানমূলক সুযোগ-সুবিধার আওতাধীন নয়। ‘অপ্রথাগত অর্থনীতির’ মধ্যে দু’টি বিষয় রয়েছে যথা অপ্রথাগত কর্মী এবং অপ্রথাগত ক্ষেত্র (আইএলও ২০০২)। সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
ডি মোটো (১৯৮৪) তাঁর ‘আদার পাথ’-এ (অন্য পথ) দেখিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগের বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর এই কারণেই যাদের কাছে বৈধ আর্থিক স্বার্থ পূরণের জন্য চালু আইন পালনের মূল্য লাভের অঙ্কের চেয়ে অনেক চড়া হয়ে যায় তাদের কাছে একটা বড় আশ্রয় অপ্রথাগত ক্ষেত্র। স্নেইডার (২০০৪) আরও বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের সংজ্ঞায় বলেছেন, এই ক্ষেত্র সমস্ত বাজারভিত্তিক পণ্য পরিষেবার আইনি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সেগুলিকে বিভিন্ন কারণে সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আড়াল করা হয়। এই বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে আয়কর, মূল্যযুক্ত বা অন্যান্য কর ফাঁকি, সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে অর্থ প্রদান এড়িয়ে যাওয়া, কিছু আইনি মাপকাঠি যেমন শ্রম সংক্রান্ত মাপকাঠি, ন্যূনতম মজুরি, সর্বাধিক কাজের সময়, নিরাপত্তার মান ইত্যাদি এড়ানো এবং সর্বোপরি বিশেষ কিছু প্রশাসনিক নিয়মকানুন এড়িয়ে চলার তাগিদ। এই সংজ্ঞার মধ্যে যে ধারণা নিহিত রয়েছে, তা অপ্রথাগত ক্ষেত্রের অধীনে সম্পাদিত কাজকর্মকে একটা আইনি মর্যাদা যেমন দেয় তেমনই একই সঙ্গে কিছু অদ্ভুত শ্রম বাজার সম্পর্কিত মাপকাঠির অনুপস্থিতিকেও স্বীকৃতি দেয়। এই সমস্ত উদ্যোগ মূলত তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড যেমন, কাজকর্ম পরিচালনার অনুমতি, ব্যবসার নাম, ব্যবসার চত্বরের নিবন্ধীকরণ ইত্যাদির জন্যই নিজেদের নথিভুক্ত করিয়ে থাকে।
অপ্রথাগত অর্থনীতি পর্যবেক্ষণের আওতার বাইরে থাকার অর্থনীতির (নন অবজার্বড ইকোনমি) একটি অংশ (ওইসিডি২০০২)। ১৯৯৩ সালের এসএনএ (সিস্টেম অফ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট) এনওইকে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলা বেআইনি, অপ্রথাগত ক্ষেত্র, নিজেদের চূড়ান্ত ভোগ ব্যবহারের জন্য পারিবারিক উৎপাদন বা কর্মকাণ্ড বলে শ্রেণিবিভক্ত করেছে যেগুলি মৌলিক তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচির ঘাটতির দরুণ হিসাবের বাইরে রয়ে গিয়েছে। ১৫-তম আইসিএলএস (ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্ট্যাস্টিসটিকস)-এর প্রস্তাব অনুযায়ী অপ্রথাগত ক্ষেত্রের সংজ্ঞা হল : সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান ও উপার্জনের লক্ষ্য নিয়ে পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনে নিয়োজিত ইউনিটগুলিকে নিয়েই মোটামুটি ভাবে এই ক্ষেত্র গঠিত যা কিনা এই ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য। এই ইউনিটগুলি সাধারণত কোনও সংস্থার নিম্নস্তরে পরিচালিত হয়। সেখানে উৎপাদনের উপাদান হিসাবে শ্রম ও মূলধনের কোনও পার্থক্য প্রায় থাকে না।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ইউনিটগুলির আয়তন হয় ক্ষুদ্র। শ্রম সম্পর্কের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক গ্যারান্টি সহ চুক্তিমাফিক ব্যবস্থাপনার ফলে ঠিকা নিয়োগ, আত্মীয়তা, ব্যক্তিগত পরিচয় বা সামাজিক সম্পর্ক এখানে প্রাধান্য পায়। (ওইসিডি ২০০২)
অপ্রথাগত ক্ষেত্রের মধ্যে যে সমস্ত কাজর্ম অন্তর্ভুক্ত করা হবে সেগুলি তথা সেগুলির অর্থনৈতিক দিক এবং সেগুলির বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয় তথ্যে একটি সমত্ত্বচরিত্র আনার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন। এই লক্ষ্যে আরও কিছু মাপকাঠি যুক্ত করা হয়েছে যথা—
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
মালিকদের নিজের ঝুঁকি ও দায়িত্বে প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করতে হয় এবং উৎপাদনের জন্য গৃহীত কোনও ঋণ বা আর্থিক দায়ের জন্য তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।
উৎপাদনব্যয়কে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক ব্যয় থেকে আলাদা করা যায় না। অনুরূপ ভাবে বাড়িঘর বা যানের মতো মুলধনী দ্রব্য একই সঙ্গে ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হয়। দু’টো উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্রাসাচ্ছাদনের জন্যই কৃষিকর্ম হয় আবার কোনও ক্ষেত্রে কৃষিজ পণ্যের বাজারেও বিক্রি করা হয়। এই কারণেই আইসিএলএস কৃষিকাজকে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বাইরে রাখার সুপারিশ করেছে। যদিও বৃহৎ অপ্রথাগত ক্ষেত্র বিশিষ্ট বেশির ভাগ দেশেই কৃষিরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আসলে এই মাপকাঠি বা শর্তগুলি একটা সার্বিক কাঠামো রচনা করে যার মধ্যে কোনও একটি দেশের সাপেক্ষে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের প্রকৃত সংজ্ঞা তৈরি করা উচিত। সব দেশের ক্ষেত্রেই যে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের সংজ্ঞা এক এবং অভিন্ন হবে তার কোনও মানে নেই। এই মাপকাঠি বা শর্তগুলিকে মিলিয়ে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে। জাতীয় আইনগুলির মধ্যে প্রভেদ থাকতে পারে, কর্মিসংখ্যার সীমা এবং কী ভাবে তা গণনা করা হবে তার পদ্ধতির মধ্যে ফারাক থাকতে পারে।
অপ্রথাগত ক্ষেত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ তথা নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী বিচারের জন্য ১৫-তম শ্রম সম্মেলনের প্রস্তাব দেশগুলির ক্ষেত্রে যথেষ্ট নমনীয় রাখা হয়েছে। তবে এই নমনীয়তা আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে তুলনামূলক বিচারের ক্ষেত্রকে কিছুটা সঙ্কুচিত করে দিচ্ছে। আন্তজার্তিক ক্ষেত্রের তুলনামূলক বিচারের জন্য বর্তমানে ব্যবহৃত মোটামুটি সর্বজনমান্য অভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমন্বিত জাতীয় সংজ্ঞাগুলি ভিত্তিক একটি সীমিত সংজ্ঞা দরকার। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালে ভারত সরকারের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের সভাপতিত্বে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান বিষয়ক একটি আন্তজার্তিক বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী ‘দিল্লি গ্রুপ’ গঠিত হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্ট্যাটিসস্টিকাল ডিভিশন (ইউএনএসডি)-কে এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জোগাড় করতে বলা হয়।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
এই গোষ্ঠী তখন থেকেই নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বিচারের জন্য অভিজ্ঞতার আদানপ্রদান, সদস্য দেশগুলির দ্বারা অনুসৃত সমীক্ষা ও গবেষণা পদ্ধতি তথা সংজ্ঞাসহ তথ্য সংগ্রহের নথি প্রস্তুতকরণ, অপ্রথাগত ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের মান ও তুলনামূলক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত আলাপ আলোচনার আয়োজন করে চলেছে। আন্তজার্তিক সংজ্ঞা অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া কাঠামোর ভিত্তিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের যে জাতীয় সংজ্ঞাগুলি উঠে এসেছে তার মধ্যে এক সংগতি সাধনের চেষ্টা করেছে ‘দিল্লি গ্রুপ’। এই গোষ্ঠীর তৃতীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। এবং নিম্লিখিত সুপারিশ গৃহীত হয়েছে—
যে হেতু বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, তাই বর্তমান অপ্রথাগত অর্থনীতির জাতীয় সংজ্ঞাগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সমন্বয় সাধন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় স্তরে ব্যবহৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী আন্তজার্তিক সংস্থাগুলির অপ্রথাগত অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে অপ্রথাগত অর্থনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যের আরও ভালো তুলনামূলক বিচারের জন্য এই আন্তজার্তিক সংস্থাগুলিকে অপ্রথাগত অর্থনীতির অন্তর্গত অংশ হিসাবে এই তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে, যেগুলিকে অভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। তবে অপ্রথাগত অর্থনীতির অন্তর্গত এই অংশ নির্ধারণের জন্য এই গোষ্ঠী যে সুপারিশ গ্রহণ করেছে তার আওতায় অপ্রথাগত ক্ষেত্রের একটা ক্ষুদ্র অংশই আসে, এই গোষ্ঠী স্বীকার করে নিয়েছে যে এর পরিসর সম্প্রসারিত করার জন্য ভবিষ্যতে প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। এই গোষ্ঠীর পরামর্শ অনুযায়ী একই সঙ্গে তিনটি অত্যাবশ্যক মাপকাঠি ও কিছু অতিরিক্ত মাপকাঠি প্রয়োগ করতে হবে। যেমন পাঁচজনের কম মজুরি প্রাপ্ত কর্মীসংখ্যা সহ উৎপাদনের ইউনিট, এবং নথিভুক্ত নয় এমন উৎপাদন ইউনিট। এর মধ্যে যে পরিবারগুলি পারিশ্রমিক দিয়ে পরিচারক/পরিচারিকা নিয়োগ করছে সেগুলিকে এর আওতা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবেই অপ্রথাগত ক্ষেত্রের এক সর্বাত্মক সখ্যায় শেষ পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।
অপ্রথাগত ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মানদণ্ড খুঁজে বের করাটা গবেষণা সাপেক্ষ। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্র ধরে ধরে এই কাজ চলছে।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
অপ্রথাগত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে দেশগুলিকে সঠিক দিশা দেখানোর জন্য একটি কারিগরি নির্দেশিকা তৈরি করতে দিল্লি গ্রুপ অগ্রণী সংস্থা হয়ে উঠেছে। এর আগে অপ্রথাগত ক্ষেত্রে পরিসখ্যান সংগ্রহের উপর বিশেষ মনোযোগই দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই বিষয়টির গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত চার দশকে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের উপর যথেষ্ট গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ তো হয়েইছে এবং সেই সঙ্গে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের ধারণাটিও উন্নত হয়েছে। ২০০৫ সালে দিল্লি গ্রুপ এবং আইএলও সহযোগিতার ভিত্তিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা তৈরিতে রাজি হয় যেখানে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের বাইরের অপ্রথাগত কর্মসংস্থানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অপ্রথাগত ক্ষেত্র সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্য হাতে পাওয়া যায়নি। এর ব্যাপারে কোনও সর্বজনীন সংজ্ঞা না থাকা এবং এই বিষয়টির বিপুল বৈচিত্র বা অসমতত্ত্ব প্রকৃতিই এর জন্য দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। এমনকী এই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যের মধ্যেও ব্যাপক বৈচিত্র। ফল তথ্য সংগ্রহের কাজ হয়ে পড়ে ভীষণ জটিল। অপ্রথাগত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের উন্নয়ন বিশেষ ভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে জরুরি। কারণ ওই দেশগুলিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রকে উপার্জন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির একা গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলে ধরা হয়।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের উদ্যোগ ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিযুক্ত শ্রমিক সম্পর্কিত তথ্যের প্রধান ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা এবং সেই সঙ্গে স্থান ও কালের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট মাপকাঠি ভিত্তিক ধারণা, সংজ্ঞা, আওতা, তুলনামূলক বিচারপদ্ধতিতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের জন্য পরিসংখ্যান তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করার সুপারিশ করতে ভারতে জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশন (এনএসসি) ২০১০ সালে অসগঠিত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান বিষয়ক এক কমিটি গঠন করে।এই কমিটির মত অনুযায়ী, ভারতে অপ্রথাগত ক্ষেত্রের উদ্যোগ ও কর্মসস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে অনেক ত্রুটি রয়েছে। এর মূল কারণ হল, আইএলও-র কাঠামো অনুযায়ী তথ্য ব্যবস্থাপনের জন্য যে প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা, আওতা এবং ধারণা সম্পর্কিত মত রয়েছে তা থেকে এ দেশে চালু তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার বিচ্যুতি। অর্থনীতির এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশের কার্যকারিতা আরও ভালো ভাবে বোঝার জন্য এই ঘাটতিগুলি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।
সূত্র : যোজনা, অক্টোবর ২০১৪
Email: ashimamajumdar011@gmail.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020