কেন্দ্রীয় বা রাজ সরকার পঞ্চায়েতের কাজে হস্তক্ষেপ না করলেও অর্থ বরাদ্দ করা বা বৃহত্তর প্রকল্পগুলির রূপরেখা তৈরি করা তাদের দায়িত্ব। একসময় ভাবা হয়েছিল টাকা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য পঞ্চায়েতের টাকা সরাসরি জেলা শাসকের হাতে দেওয়া হবে।কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপিত্ত জানায়। তাদের বক্তব্য, এভাবে কাজ করলে ঠিক হচ্ছে না ভুল হচ্ছে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ওকানও নজরদারি থাকবে না।
স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি বহু চেষ্টা করে দেখল গ্রাম জীবনে কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে না। কারণ এই বিপুল জনসংখ্যার বিশাল দেশে কয়েক জন বিধায়ক ও সাংসদের পক্ষে সাধারণ সকল মানুষের উন্নয়নের ব্যাপারে খেয়াল রাখা, সমস্যার সন্ধান রাখা ও সমাধানের উপায় বের করা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের পক্ষেও দূরে রাজধানীতে তাদের সমস্যা আর সঙ্কটের খবর পৌঁছে দেওয়া ও তার প্রতিকারের দাবি পেশ করা সম্ভব নয়।
শহরের ও গ্রামের নাগরিকদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্যই মিউনিসিপ্যালিটি এবং পঞ্চায়েত নামক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
কেউ কারওর উন্নয়ন ঘটিয়ে দিতে পারে না, কেবল মানুষ নিজেই পারে নিজের উন্নতি করতে -- এই কথাটি দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বমূলক প্রক্রিয়া থেকে জানা গিয়েছে। প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা আর সংসদ-বিধানসভাকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল আর তারা নাগরিকদের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে দেবে, এই ছিল ধারণা। কিন্তু বহু বৈচিত্র্যসম্পন্ন ১২০ কোটি মানুষের দেশে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া এই প্রক্রিয়া তেমন কাজ করছে না। যদি উপরোক্ত পদ্ধতিতে উন্নয়ন সম্ভব হত তা হলে প্রত্যেকের থাকত নিজস্ব জমি, শক্তপোক্ত বাড়ি, অন্তত মাধ্যমিক স্তর অবধি শিক্ষা। অপুষ্টিতে কেউ ভুগত না। থাকত চিকিৎসার সুযোগ ও ক্ষমতা। প্রত্যেকের থাকত ন্যূনতম উপার্জন যাতে সম্মান ও স্বচ্ছলতার সঙ্গে জীবনযাপন করা যায়। থাকত সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া চর্চা ও কিছু আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়েছে?
সুতরাং এ কথা বলাই যায়, বাইরে থেকে এসে উন্নয়ন করে দেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। মানুষকে নিজের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সেই কারণেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থার জন্ম।
গান্ধীজি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার রূপরেখা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, গ্রামগুলি যাতে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে প্রসারিত করা নয়, নৈতিক জীবনযাপেনর ক্ষেত্রেও ইতিন পঞ্চায়েতকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
গান্ধীজি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার রূপরেখা দেওয়ার সময় বলেছিলেন, গ্রামগুলি যাতে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে প্রসারিত করা নয়, নৈতিক জীবনযাপেনর ক্ষেত্রেও ইতিন পঞ্চায়েতকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিনটি স্তর
এই তিনটি স্তরের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে দেওয়া হল যা আমাদের সকলের জানা উচিত।
|
জেলা পরিষদ |
পঞ্চায়েত সমিতি |
গ্রাম পঞ্চায়েত |
গড়ে কত ভোটার একজন সদস্য নির্বাচন করেন |
৬০ হাজার |
৪৫ হাজার |
৯০০ |
মূল সভা |
সাধারণ সভা |
সাধারণ সভা |
সাধারণ সভা |
সদস্য কারা |
নির্বাচিত সকল সদস্য |
নির্বাচিত সকল সদস্য |
নির্বাচিত সকল সদস্য |
পদাধিকার বলে সদস্য কারা |
স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদ (যদি মন্ত্রী না হন), ওই জেলার সকল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি |
স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদ (যদি মন্ত্রী না হন), ওই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য (যদি তিনি সভাপতি বা সহ সভাপতি না হন), ওই পঞ্চায়েত সমিতির সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান |
ওই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত সকল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য যদি তিনি সভাপতি বা সহ সভাপতি না হন। |
প্রধান প্রশাসককে কী বলে? (যেমন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী) |
সভাধিপতি |
সভাপতি |
প্রধান |
কারা নির্বাচন করেন |
পদাধিকার বলে সদস্য বাদে সকল নির্বাচিত সদস্য |
পদাধিকার বলে সদস্য বাদে সকল নির্বাচিত সদস্য |
পদাধিকার বলে সদস্য বাদে সকল নির্বাচিত সদস্য |
তার দায়িত্ব কী? |
সধারণ সভার হয়ে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করা। |
সাধারণ সভার হয়ে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করা |
সাধারণ সভার হয়ে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করা |
ক’টি দফতর |
১০টি |
১০টি |
৫টি |
তাদের কী বলে? |
স্থায়ী সমিতি |
স্থায়ী সমিতি |
উপ সমিতি |
কাদের নিয়ে গঠিত? |
পদাধিকার বলে সদস্য সহ সাধারণ সভার সকল সদস্য দ্বারা নির্বাচিত ৩-৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। স্থায়ী সমিতির এই সদস্যরা তাঁদের ভিতর থেকে এক জনকে সভাপতি নির্বাচন করেন |
পদাধিকার বলে সদস্য সহ সাধারণ সভার সকল সদস্য দ্বারা নির্বাচিত ৩-৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। স্থায়ী সমিতির এই সদস্যরা তাঁদের ভিতর থেকে এক জনকে সভাপতি নির্বাচন করেন |
পদাধিকার বলে সদস্য সহ সাধারণ সভার সকল সদস্য দ্বারা নির্বাচিত ৩-৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। স্থায়ী সমিতির এই সদস্যরা তাঁদের ভিতর থেকে এক জনকে সভাপতি নির্বাচন করেন |
কী কী স্থায়ী সমিতি |
অর্থ, পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন, খাদ্য, বিদ্যুৎ, বন ও ভূমি, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ |
অর্থ, পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন, খাদ্য, বিদ্যুৎ, বন ও ভূমি, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ |
অর্থ, শিল্প ও পরিকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জীবিকা, নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ |
স্থায়ী সমিতির প্রধানকে কী বলে? (রাজ্যে যেমন মন্ত্রী) |
কর্মাধ্যক্ষ |
কর্মাধ্যক্ষ |
সঞ্চালক |
তাদের দায়িত্ব কী? |
স্থায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজ নিজ বিষয়ের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করা। |
স্থায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজ নিজ বিষয়ের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করা। |
উপ সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজ নিজ বিষয়ের দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করা। |
প্রধান স্থায়ী সমিতি কোনটি? |
অর্থ, সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা |
অর্থ, সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা |
অর্থ, সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা |
কে কর্মাধ্যক্ষ, কারা তার সদস্য |
সভাপতি কর্মাধ্যক্ষ, বাকি ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ সদস্য |
সভাপতি কর্মাধ্যক্ষ, বাকি ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ সদস্য |
প্রধান সঞ্চালক, বাকি ৪ জন সঞ্চালক সদস্য |
তাঁর কী কাজ |
সংস্থা তথা জেলা প্রশাসনের অফিস পরিচালনা, সকল স্থায়ী সমিতির উন্নয়নের নীতি ও লক্ষ্য স্থির করা, বিভিন্ন স্থায়ী উপ সমিতির মধ্যে বাজেটের আগে বরাদ্দ বণ্টন ও পরিকল্পনা করানো এবং জেলা পরিষদের সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাজেট করা |
সংস্থা তথা জেলা প্রশাসনের অফিস পরিচালনা, সকল স্থায়ী সমিতির উন্নয়নের নীতি ও লক্ষ্য স্থির করা, বিভিন্ন স্থায়ী উপ সমিতির মধ্যে বাজেটের আগে বরাদ্দ বণ্টন ও পরিকল্পনা করানো এবং জেলা পরিষদের সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাজেট করা |
সংস্থা তথা জেলা প্রশাসনের অফিস পরিচালনা, সকল স্থায়ী সমিতির উন্নয়নের নীতি ও লক্ষ্য স্থির করা, বিভিন্ন স্থায়ী উপ সমিতির মধ্যে বাজেটের আগে বরাদ্দ বণ্টন ও পরিকল্পনা করানো এবং জেলা পরিষদের সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাজেট করা |
প্রশাসনিক প্রধান কে |
জেলাশাসক তথা নির্বাহী আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক |
বিডিও তথা নির্বাহী আধিকারিক, জয়েন্ট বিডিও তথা যুগ্ম নির্বাহী আধিকারিক |
প্রধান এবং নির্বাহী সহায়ক |
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
সমস্যা জানানোর জন্য বা সমাধানের জন্য এই সরকারকেই সব চেয়ে কাছে পাওয়া যায়। সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু মূল কারণ, এই সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সংসদে মানুষের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে গ্রাম সংসদে বা ব্লক সংসদে বা জেলা সংসদে তৈরি হয়। অন্তত এমনটা হওয়াই আইন। নিজেদের উন্নয়নের দায়িত্ব ও অধিকার নিজেদের হাতেই। তাই স্ব-আয়ত্তে এই শাসনব্যবস্থার সরকার।
এই কাজগুলি করার জন্য একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও প্রতি বছরের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এই কথা আইনেই বলা আছে।
মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে কাজ করলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এ সবের মাধ্যমে সকলের জীবন যাপনের মান বৃদ্ধি।
পঞ্চায়েত যে মানুষের সরকার, এই নীতিকে বাস্তবায়িত করার জন্য গ্রাম সংসদ ও গ্রামোন্নয়ন সমিতি নামক দু’টি সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন সমিতি অবশ্য গ্রাম সংসদের অধীন একটি উপসংস্থা।
কেন্দ্রীয় বা রাজ সরকার পঞ্চায়েতের কাজে হস্তক্ষেপ না করলেও অর্থ বরাদ্দ করা বা বৃহত্তর প্রকল্পগুলির রূপরেখা তৈরি করা তাদের দায়িত্ব। একসময় ভাবা হয়েছিল টাকা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য পঞ্চায়েতের টাকা সরাসরি জেলা শাসকের হাতে দেওয়া হবে।কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপিত্ত জানায়। তাদের বক্তব্য, এভাবে কাজ করলে ঠিক হচ্ছে না ভুল হচ্ছে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ওকানও নজরদারি থাকবে না।
এই সভায় গত আর্থিক বছরে (যা বিগত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে) ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট যা আয় হয়েছে তার হিসাব পেশ করা হবে। সেখানে ওই সংসদ থেকে কর বাবদ মোট যা আয় হয়েছে তার হিসাব দেওয়া হবে। কোন কোন পরিবারের কত কর দেওয়া বাকি আছে তা-ও সকলকে জানানো হবে।
তার পর ওই সংসদে নিজস্ব তহবিল থেকে ও বিভিন্ন প্রকল্পে মোট কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, কোন কোন কাজের জন্য তা ব্যয় হয়েছে, কত শ্রমদিবস ওই প্রকল্পে সৃষ্টি হয়েছে ও কত টাকার মালপত্র খরচ হয়েছে তার বিস্তারিত সকল হিসাব দেওয়া হবে যাতে সাধারণ মানুষ তাঁদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তা মিলিয়ে বুঝে নিতে পারেন। কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নির্বাহের কাজ যথার্থ ভাবে না হলে অথবা মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে না হলে আপত্তি নথিভুক্ত করা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কোন কোন পরিবার কী কী সুবিধা পেয়েছ তার বর্ণনা দেওয়া হবে যাতে সকলে সে সব কথা জানতে পারে।
এই সভায় আগামী বছরে ওই সংসদে কোন কোন কাজ করা দরকার তার তালিকা পেশ করবে গ্রামোন্নয়ন সমিতি। কেন এই কাজগুলি করা প্রয়োজন তার তথ্য ও যুক্তি দেবে। কোন কোন পরিবারের কী কী উপকার বা ঋণ-অনুদান প্রস্তাব করা হচ্ছে তা-ও বলা হবে গ্রামোন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে। যুক্তি ও তথ্যও প্রদান করবে।
এই ভাবে এই সভায় গ্রাম সংসদের পরিকল্পনা তৈরি করে সেটি পঞ্চায়েতে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতকে সেই অগ্রাধিকার মেনেই সেই কাজগুলি করতে হবে। না করতে পারলে পরের সভায় কেন করা গেল না তা জানাতে হবে।
দু’টি সভাতেই সরকারের নতুন নতুন প্রকল্প ও সুবিধা যা আসছে তা সকলকে ব্যাখ্যা করে বোঝানোর দায়িত্ব প্রধান, সদস্য ও সরকারি কর্মচারীদের।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পঞ্চবার্ষিক ও তা থেকে বার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির কাজে গ্রাম সংসদকে সহায়তা করাই গ্রামোন্নয়ন সমিতির মূল কাজ। এই উদ্দেশ্যে গ্রামোন্নয়ন সমিতি ---
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
পঞ্চায়েত আইনের ১১৫ (ক) ধারায় প্রতি ব্লকে একটি করে ব্লক সংসদ গঠন করতে হবে। ব্লক সংসদের সদস্যরা হলেন সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
পঞ্চায়েত সরকার সাধারণ মানুষের সরকার। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষই গ্রাম সংসদে বসে ঠিক করবেন কোন কোন উন্নয়নমূলক কাজ কোন প্রকল্পের অর্থে হবে কিংবা কোন কোন মানুষ কোন প্রকল্পের উপকার বা সাহায্য পাবেন। এটাই পঞ্চায়েতের মূল নীতি এবং আইন। এ কারণেই পঞ্চায়েত স্বশাসিত সরকার। এই অধিকার মানুষে্র জানা প্রয়োজন। এবং শুধু জানলেই হবে না, অধিকার প্রয়োগ করতে তার উপযুক্ত হওয়া দরকার।
এখন সাধারণ মানুষ যদি নিজের গ্রাম সম্পর্কে না জানেন, সরকারের সব প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত না হন এবং সে ব্যাপারে মত দেওয়ার উপযুক্ত না হন তা হলে নিজের গ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত করবেন কী ভাবে? না জানলে, না সিদ্ধান্ত নিলে উপভোক্তা নির্বাচনে ভুল হবে, কাজে ভুল হবে, কাজের গুণগত মান খারাপ হবে, কাজ করতে বিভিন্ন সমস্যা হবে, দেরি হবে, উন্নয়ন যথাযথ হবে না। চার দিকে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হবে। কথা শোনা হয় না বলেই সাধারণ মানুষ গ্রাম সংসদে যেতে চান না। শুনলেও সেই অনুসারে কাজ হয় না বলেই গ্রাম সংসদে তাঁরা যান না।
উপযুক্ত হতে গেলে সাধারণ মানুষকে জানতে হয়, গ্রামোন্নয়নের জন্য যত প্রকল্প আছে সেগুলোর উদ্দেশ্য কী? নিয়মনীতি কী? কোন কোন কাজ কী প্রকল্পে করা যায় ও কারা কারা তার উপকার পেতে পারে। তা যদি তাঁরা না জানেন তা হলে তাঁরা গ্রাম সংসদে মতামত দেবেন কী করে? সিদ্ধান্তই বা নেবেন কী ভাবে?
কিন্তু সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত সরকার ও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ পান না। তাঁরা প্রায়ই কিছুই জানতে পারেন না। সুতরাং সাধারণ মানুষকে সরকার, সরকারি ব্যবস্থা ও সকল গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে জানতে হবে। কী ভাবে তাঁরা জানবেন? এই সকল বিষয়ে প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে। কোথায় মত দেবেন? গ্রাম সংসদে।
ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে অন্তত একটি ব্লকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপুর ব্লক এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। দু’বছর এই উদ্যোগ চলবে। সার্থক হলে এই নীতি অন্যান্য ব্লকেও ভবিষ্যতে প্রয়োগ করা হতে পারে।
‘সংস্থা থেকে সংসদ’ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও তার প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা। এটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতেরই উদ্যোগ। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সংস্থা পরামর্শদাতা সহায়ক সংস্থা মাত্র।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
সে কারণে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবে ‘ল্যাব টু ল্যান্ড’ উদ্যোগ।
প্রত্যেক সংসদ থেকে দুই/তিন জন করে শিক্ষিত যুবক-যুবতী নির্বাচিত করেছে সংসদ। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সংস্থা তাঁদের এই কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করেছে। তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে ভারত নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবক।
সরকারের সকল প্রকল্প মানুষকে জানানো।
সংস্থা থেকে সংসদ উদ্যোগে গ্রাম সংসদকে সার্থক করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তাঁরা পঞ্চায়েত প্রশাসনকে পরামর্শও দেবেন।
এইভাবে প্রচার, প্রসার, প্রশিক্ষণ, সমীক্ষা সঠিক ভাবে গ্রাম সংসদ করে পরিকল্পনা তৈরি, মানুষের মাধ্যমে রূপায়ণ, গ্রাম উন্নয়নের গুণগত ও পরিমাণগত মানবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগই সংস্থা থেকে সংসদ।
এখন অবধি গ্রামোন্নয়নের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ব্যতিরেকে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন। সেটাই প্রশাসনিক কাঠামোর রীতি, নীতি, পদ্ধতি। উন্নয়নের চিন্তাভাবনা ও তার নির্বাহ শহরে বসে করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গ্রামের ভিতর থেকে সেটি করার একটি নীতি তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নীতি রীতিতে পরিণত হয়নি। তার কারণ গ্রামের মানুষের এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কেবলমাত্র গ্রহীতার ভূমিকায় থেকে যাওয়া, কর্তার ভূমিকায় না আসতে পারা। কোনও উন্নয়নই স্থায়ী হতে পারে না, কোনও নিয়মই রীতি ও অভ্যাসে পরিণত হয় না যতক্ষণ না নিজে করা হয়। গ্রামকে নিজের উন্নয়ন করতে গেলে গ্রামবাসীদের সেটি জানাতে হবে।
সংস্থা থেকে সংসদের সমগ্র প্রক্রিয়াকে সাহায্য করার জন্য গ্রামের মানুষের প্রতিনিধি প্রয়োজন। এবং সেই প্রতিনিধিদের নির্বাচন করছেন গ্রামবাসীরাই। তাঁরা স্বেচ্ছায় নিজের গ্রামকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে যুক্ত হয়েছেন।
ভারত নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবকরা সংস্থা থেকে সংসদ উদ্যোগের প্রধান কর্মী বলা যায়। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১১৪টি সংসদ থেকে, সংসদের সদস্য তথা নির্বাচকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। কোনও পারিশ্রমিকের প্রত্যাশা না করে তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ সংসদের গ্রামোন্নয়নের সকল কাজে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় সহায়কের ভূমিকা পালন করবেন, এই অঙ্গীকার করে তাঁরা এসেছেন।
তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মহিলা। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি (খুব কম সংখ্যক), মাধ্যমিক (বেশি), উচ্চ মাধ্যমিক (বেশি) ও স্নাতক (অল্প সংখ্যক)। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভা থেকে নির্বাচিত মোট ২৬০ জন ভারত নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবক।
ভারত নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। কাজটি অনেকটা বয়েজ স্কাউটদের মতো। বহু স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজে ভারত স্কাউট যেমনভাবে অংশগ্রহণ করে তেমনভাবেই সপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবীরা দেশের কাজ করবে অনুমিত হয়।
ভারত নির্মাণ সেবকরা যে যে কাজ করবেন বা যে যে উদ্দেশ্যে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে-
স্বেচ্ছাসেবীরা সাধারণ মানুষ, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির হয়ে কাজ করবেন। তাঁরা সহায়কমাত্র। সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নন। কোনও কিছু করে দেওয়ার, করার অধিকারী নন। সেবকমাত্র তাঁরা। প্রশাসন যা চাইবে সেই কাজে তাঁরা সহায়তা করবেন। গ্রামে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নেই বলে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়েন। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের তথ্য পৌঁছয় না। সাধারণ মানুষের তথ্যও আবার প্রশাসনের কাছে পৌঁছয় না। স্বেচ্ছাসেবীরা এই সেতুর কাজ করবেন।
রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সংস্থা তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং পরামর্শ দেওয়ার ভূমিকা পালন করবে মাত্র।
গ্রামের সকল মানুষ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি এঁদের ব্যবহার করেন ও কাজ করার সুযোগ ও স্বাধীনতা দেন, যদি এঁদের নিরপেক্ষ থাকতে উদ্বুদ্ধ করেন, তা হলে উন্নয়নের গুণগত মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অনেক ভুল সংশোধিত হবে। অনেক বঞ্চিত মানুষ প্রাপ্য সুযোগ পাবেন। কিন্তু বাধা দিলে, নিরপেক্ষ থাকার পথে অন্তরায় হলে, এঁদের না রাখলে কোনও উপকারই গ্রাম এই সব স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে পাবে না।
মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে সামনে রেখে দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। গান্ধীজি স্বয়ং বিশ্বাস করতেন উন্নয়ন উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। উন্নয়নের প্রথম হাতিয়ার হল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পথে আমাদের দারিদ্রপীড়িত দেশ স্বাবলম্বী হবে। গ্রামে গ্রামে বিরাজ করবে শান্তি ও সহমর্মিতার পরিবেশ। শুধু রাষ্ট্র উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত স্তরের সমস্ত কিছু রূপায়ণ করতে পারে না। গ্রামের মানুষ যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নেন এবং তাঁকে সহায়তা করার জন্য দেশপ্রেমী যুবকরা যদি এগিয়ে না আসেন তা হলে উন্নয়ন হওয়া সম্ভব নয়। ভারত গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের এই বিকল্প মডেল তুলে ধরে আগামী দিনে প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে এটাই সবার দৃঢ় বিশ্বাস।
তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫ এর ধারা ২ (জ) অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতি ‘পাবলিক অথরিটি’-এর মর্যাদাসম্পন্ন বলে এই আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী এই আইন চালু হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতি তার সরকারি সমস্ত তথ্য ভাণ্ডার সংরক্ষণ করবে ও কিছু তথ্য প্রকাশ করবে। এই কাজগুলি ২০০৫ সালের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা; কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই তথ্যের পরিবর্তন হচ্ছে, বা নতুন তথ্যের আগমন ঘটছে। এই কারণে এই কাজটি ক্রমাগত করেই যেতে হয়। নিম্নে এই আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে অর্থ, সংস্থা, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির কাজগুলি দেওয়া হল :
উপরে বলা এই সকল তথ্য কেবল মাত্র প্রকাশ করলেই হবে না, এই তথ্যভাণ্ডার সর্বদা হাল নাগাদ করা চাই। তথ্য জানার অধিকার আইনের সঠিক রূপায়ণ করতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির তথ্যভাণ্ডারকে সুপরিকল্পিত উপায়ে সাজাতে হবে। অর্থ, সংস্থা, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির কাজ হল, পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিভাগের তথ্যকে একত্রীকরণ করা ও তার সময়ানুগ পরিমার্জন ও সংরক্ষণ। তথ্যের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই সুপরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
ক্রমিক সংখ্যা |
দফতর |
ঠিকানা |
ওয়েব সাইটের ঠিকানা |
১ |
রাজ্য সরকার |
নবান্ন, হাওড়া ৭১১১০২ |
|
২ |
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর |
জেসপ বিল্ডিং, ৬৩ এন এস রোড, কলকাতা ১ |
|
৩ |
অর্থ দফতর |
নবান্ন, হাওড়া ৭১১১০২ |
|
৪ |
স্বাস্থ্য দফতর |
স্বাস্থ্য ভবন, জিএন-২৯, সেক্টর ৫, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
৫ |
পরিবেশ দফতর |
|
|
৬ |
পূর্ত দফতর |
|
|
৭ |
পরিবহন দফতর |
পরিবহন ভবন, ১২ আর এন মুখার্জি রোড, কলকাতা ১ |
|
৮ |
কৃষি দফতর |
নবান্ন, হাওড়া ৭১১১০২ |
|
৯ |
সেচ দফতর |
জলসম্পদ ভবন, ব্লক ডিএফ, সেক্টর ৩, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
১০ |
সমবায় দফতর |
নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং, কলকাতা ১ |
|
১১ |
মত্স্য দফতর |
৩১, ব্লক জিএন, সেক্টর ৫, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
১২ |
প্রাণী সম্পদ দফতর |
এলবি ২, সেক্টর ৩, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
১৩ |
খাদ্য দফতর |
খাদ্য ভবন, ১১এ মির্জা গালিব স্ট্রিট, কলকাতা ৮৭ |
|
১৪ |
শিক্ষা দফতর |
বিকাশ ভবন, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
১৫ |
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর |
নবান্ন, হাওড়া ৭১১১০২ |
|
১৬ |
যুব কল্যাণ দফতর |
৩২/১ বিবিডি বাগ (সাউথ), স্ট্যান্ডার্ড বিল্ডিং, দ্বিতীয় তল, কলকাতা ১। |
|
১৭ |
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতর |
বিকাশ ভবন, নর্থ ব্লক, দশম তল, সেক্টর ২, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
১৮ |
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর |
|
|
১৯ |
ক্ষুদ্র শিল্প দফতর |
|
|
২০ |
বিদ্যুৎ দফতর |
বিদ্যুৎ ভবন, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
২১ |
অচিরাচরিত শক্তি দফতর |
নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং, কলকাতা ১ |
|
২২ |
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর |
অম্বর, ডিডি-২৭/ই, সেক্টর ১, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
|
২৩ |
অনগ্রসর কল্যাণ দফতর |
প্রশাসনিক ভবন, এসডিও বিধাননগর, চতুর্থ তল, ডিজে-৪, সেক্টর ২, সল্টলেক, কলকাতা ৯১। |
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/23/2020