আর্সেনিক মৌলটির ব্যবহার মানব সভ্যতার অতি প্রাচীন যুগ থেকে হয়ে আসছে। খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩০০০ সালে আর্সেনিক ব্যবহার করা হত আরও উন্নত কাঠিন্যের ব্রোঞ্জ ধাতুসংকর তৈরি করায়। মিশরীয়, গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় আর্সেনিক বিভিন্ন রঙ তৈরিতে কাজে লাগত। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে আর্সেনিকের ওষুধ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে রোমান সম্রাট নিরো ও সমকালীন রাজারা এই মৌলের তীব্র বিষক্রিয়া সম্পর্কে অবগত ছিলেন ও আর্সেনিকের ব্যবহার শুরু করেছিলেন শত্রু নিধনের একটি পন্থা রূপে।
ইংল্যান্ডে রানি ভিক্টোরিয়ার সময়ে ত্বক ফরসা রাখার স্বল্প দামের জনপ্রিয় প্রসাধনীতে আর্সেনিকের ব্যবহার লক্ষণীয়।
বলাই বাহুল্য এই প্রসাধনী আর্সেনিকের বিষক্রিয়া মুক্ত ছিল না। ১৮৮৫ সালে ইংল্যান্ডের ব্যাডফোর্ড নামের শহরে প্রসিদ্ধ মিষ্টিবিক্রেতা খাদ্যে ভুলক্রমে আর্সেনিক মিশিয়ে ফেলেছিলেন। এর ফলে খাদ্যের বিষক্রিয়ায় ২০০ জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন ও ২০ জন মারা যান। তৎকালীন সমাজে এই ঘটনা অত্যন্ত আলোড়ন ফেলে ও আর্সেনিকের পাত্রের গায়ে ‘বিষ’ (Poison), এই সতর্কবার্তাটি লেখা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। বর্তমানে আর্সেনিক প্রচলিত ভাষায় ‘সেঁকো বিষ’ (rat poison) নামে পরিচিত যা ইঁদুর জাতীয় প্রাণী মারার কাজে ব্যবহৃত হয়।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020
রাজ্যে আর্সেনিক দূষণের বিস্তৃতি ও তার প্রতিকার নিয়...