ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সহজ বিষয় কতগুলি জানা থাকলে অল্প সময়ে, দ্রুততার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। মোবাইলে বিকাশপিডিয়াও পড়াও যাবে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।
আমাদের মধ্যে ধারণা রয়েছে স্মার্ট ফোন ছাড়া মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব নয়। এ ধারণা ভুল। স্মার্টফোন ছাড়াও, সাধারণ ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। সাধারণ ফোনে জিপিআরএস ও এইজ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর স্মার্টফোনে জিপিআরএস ও এইজের পাশাপাশি ওয়াইফাই, থ্রিজি, ফোরজি এলটিই প্রযুক্তির ইন্টারনেটও কাজ করে। স্মার্টফোনের এ প্রযুক্তিগুলো দ্রুতগতির ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন।
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে ইন্টারনেট প্যাকেজ নিতে হবে। প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের আলাদা ধরনের ইন্টারনেট প্যাকেজ রয়েছে। কতটা ব্যবহার হতে পারে তা বিবেচনা করেই পছন্দসই প্যাকেজ নিন।এসএমএস, কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে বা অপারেটরের স্থানীয় স্টোরে গিয়ে পছন্দসই ইন্টারনেট প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন। মোবাইল অপারেটর সংস্থাগুলি মাঝে মাঝে প্যাকেজের রেট পরিবর্তন করে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে প্যাকেজ ভরুন।
হ্যান্ডসেট কম দামি হলেও তাতে ইন্টারনেট সেটিং ঠিক আছে কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। বাজারের অধিকাংশ মোবাইলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিভিন্ন অপারেটরের ইন্টারনেট সেটিং করা থাকে। আবার ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার পর অনেক অপারেটর এসএমএস থেকে ইন্টারনেট সেটিং পাঠিয়ে দেয়। এই সেটিং সেভ করে হ্যান্ডসেট রিস্টার্ট দিলে ইন্টারনেট চালু হয়ে যাবে। আপনি গো টু অ্যাড্রেস থেকে সাইটের ওয়েব অ্যাড্রেস লিখে সেই সাইটটি খুলতে পারবেন।
মোবাইলে স্বয়ংক্রিয় ইন্টারনেট অপশন ছাড়াও ব্রাউজার বাছাই করে ইন্টারনেট করতে পারেন। ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য সব চেয়ে ভালো ব্রাউজার হল অপেরা মিনি। এই ব্রাউজার থেকে কোনও ওয়েবসাইটে লগ-অন করলে তা আগে কমপ্রেস (ফাইল সাইজ কম) করে এবং খুব অল্প ডেটা খরচ করেই পেজ লোড হয়। এ জন্য অবশ্য ব্রাউজারে লোড নেওয়া ছবির গুণগত মানও যে খুব বেশি ভালো হবে তা কিন্তু নয়। কারণ কোনও পেজ লোড হওয়ার সময় এটি পেজটির প্রায় ৯০ শতাংশ ডেটা কমিয়ে দেয়। এই মোবাইল ব্রাউজারের সব চেয়ে বড় সুবিধা হল যে সব মোবাইলের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন নিম্নমানের, সে সব মোবাইলেও এটি ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া মাল্টি ট্যাব ব্যবহারের সুবিধা, আলাদা ডাউনলোডের সুবিধা, হিস্ট্রি থেকে ওয়েবপেজ ব্রাউজ করার সুবিধা, ওয়েবপেজ সেভ করে রাখার সুবিধা তো সাথে রয়েছেই। আর সব চেয়ে দ্রুত গতির ও সাশ্রয়ী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় অপেরা মিনি ব্রাউজারই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। এ ছাড়া প্রত্যেক মোবাইল থেকে ব্রাউজ করার জন্য মোবাইলের বিল্ট-ইন ব্রাউজারের (মোবাইলের মধ্যে আগে থেকে রাখা) পাশাপাশি মজিলা মোবাইল ব্রাউজার, ডলফিন মোবাইল ব্রাউজার, মাক্সথন মোবাইল ব্রাউজার, অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারও বেশ জনপ্রিয়।
তথ্য সূত্র : http://techshohor.com, http://www.comjagat.com ও অন্যান্য ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/6/2020