এই অবয়ব চিহ্ন বা আইকনটি একটি কম্পিউটারের প্রতিনিধিত্ব করে। পয়েন্টারটিকে ঐ আইকনের উপর নিয়ে গিয়ে মাউসের বাঁ দিকের বোতামে পর পর দু’ বার ক্লিক করলেই মাই কম্পিউটার নাম উইন্ডোটি খুলে যাবে। তাতে আবার বিভিন্ন ফোল্ডারের নানা তথ্য ধরা থাকে এবং ফোল্ডারগুলিও আইকনের চেহারা নিয়ে ঐ উইন্ডোতে অবস্থান করে। এই আইকনগুলিতে দু’ বার ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট উইন্ডোটি খুলে যাবে এবং তাতে সঞ্চিত তথ্য দেখা যাবে। মাই কম্পিউটার নামক আইকনটি থেকে যে উইন্ডোটি খোলা হয়, তাতে থাকে ড্রাইভ ফোল্ডার, কন্ট্রোল প্যানেল ফোল্ডার, প্রিন্টারস ফোল্ডার, ডায়াল আপ নেটওয়ার্কিং ফোল্ডার ইত্যাদি (৩.১৩ নম্বর ছবিটি দ্রষ্টব্য)।
মাই কম্পিউটার নামক উইন্ডোটির মধ্যে এই ফোল্ডারগুলি আইকনের আকৃতি নিয়ে থাকে। এগুলির প্রত্যেকটি থেকে একটি উইন্ডো খোলা যায় এবং ব্যবহারকারী তার সাহায্যে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এই আইকনগুলির যে কোনওটিকে খোলার পদ্ধতিও মাই কম্পিউটার নামক আইকনটি খোলার মতোই। অর্থাৎ যদি কেউ কন্ট্রোল প্যানেল ফোল্ডারটি খুলতে চান, তা হলে মাউস পয়েন্টারটিকে সংশ্লিষ্ট আইকনের উপরে নিয়ে গিয়ে মাউসের বাঁ দিকের বোতামে দ্রুত পরপর দু’ বার ক্লিক করতে হবে। তা হলে কন্ট্রোল প্যানেলের উইন্ডোটি খুলে যাবে কম্পিউটারের পর্দায়।
এখন আমরা আইকনের আকৃতি বিশিষ্ট এই ফোল্ডারগুলি সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেব।
মাই কম্পিউটারের মধ্যে এক বা একাধিক ড্রাইভ ফোল্ডার থাকতে পারে। ড্রাইভের নাম অনুসারে ফোল্ডারগুলির নাম হয়। যেমন, ‘সি’ ড্রাইভ, ‘ডি’ ড্রাইভ, ‘এ’ ড্রাইভ ইত্যাদি। যদি কম্পিউটারের সঙ্গে ফ্লপি ড্রাইভ যুক্ত থাকে, তা হলে সেটি ‘এ’ ড্রাইভ নাম নিয়ে কম্পিউটারের মধ্যে থাকবে। সাধারণত হার্ড ডিস্কে এক বা একাধিক ভাগ (Partition) থাকে। এ রকম প্রতিটি ভাগই একেকটি আইকনের আকৃতি নিয়ে থাকবে। যদি কম্পিউটারে ‘সি ডি রম’ যুক্ত থাকে, তা হলে সেটিও একটি ড্রাইভ ফোল্ডার হিসাবে মাই কম্পিউটারে থাকবে।
মাই কম্পিউটারের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেল ফোল্ডারে যে সব কাজ সম্পাদনের সুযোগ থাকে, সেগুলির মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাউসের সাহায্যে এই ফোল্ডারটি খোলা হলে যে সব কাজ সম্পাদনের সুযোগ পাওয়া যায়, কম্পিউটারের পরিভাষায় সেগুলির নাম হলো, অ্যাড রিমুভ হার্ডওয়্যার (এর সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে নতুন হার্ডওয়্যার যুক্ত করা যায় অথবা ইতিমধ্যেই যুক্ত কোনও হার্ডওয়্যারকে কম্পিউটার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়), অ্যাড রিমুভ প্রোগ্রামস (এর সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে কোনও সফটওয়্যার যুক্ত করা যায় অথবা কম্পিউটার থেকে কোনও সফটওয়্যারকে বিযুক্ত করে ফেলা যায়), ডিসপ্লে (কম্পিউটারের পর্দায় যা দেখা যায়, এর সাহায্যে সেগুলির ধরন পরিবর্তন করা যেতে পারে), ডেট–টাইম (কম্পিউটার যে তারিখ ও সময় দেখায়, এর সাহায্যে তাকে বদলানো যায়), মাউস (এর সাহায্যে মাউসের বোতাম দু’টির কাজকে অদল বদল করা যেতে পারে, মাউস পয়েন্টারের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং মাউস পয়েন্টারের চেহারা বদলে দেওয়া সম্ভব), কি বোর্ড (এর সাহায্যে কি বোর্ডটিকে নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়)।
এটি থেকে জানা যায়, কম্পিউটারের সঙ্গে কতগুলি প্রিন্টার যুক্ত আছে, সেগুলির ধরন ও প্রকৃতি কী।
কম্পিউটার টেলিফোন নম্বর ডায়াল করতে পারে এই ফোল্ডারটির সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে দেয় নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বর ডায়ালের মাধ্যমে।
সূত্র : কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, আই আই আই এম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/10/2020