অনুভুতি সম্বন্ধীয় ক্ষেত্র (ক্রাথওইয়াল, ব্লুম, মাসাই, ১৯৭৩) বলতে সেই সব ক্ষেত্র বোঝায়, যেখানে অনুভূতি, মূল্য, প্রশংসা, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি মানসিক আবেগের নিয়ে কোনও কাজ করা হয়ে থাকে। সরলতম থেকে শুরু করে জটিলতম, নিম্নলিখিত মোট পাঁচটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আলোচনা করা হল।
বিভাগ | উদাহরণ ও মূল শব্দ |
---|---|
ঘটনা শোনা : সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সচেতনতা এবং মন দিয়ে শোনার ইচ্ছা। |
উদাহরণ : শ্রদ্ধার সঙ্গে অন্যের কথা শোনা। নতুন আলাপ হওয়া লোকেদের কথা শোনা এবং তাঁদের নাম মনে রাখা। মূল শব্দ : জিজ্ঞাসা করা, নির্বাচন করা, বর্ণনা করা, অনুসরণ করা, প্রদান করা, ধরা, শনাক্ত করা, অবস্থান নির্দেশ করা, নাম করা, নির্দেশ করা, বাছাই করা, বসা, সোজা করা, জবাব দেওয়া, ব্যবহার করা। |
ঘটনায় মতপ্রকাশ : শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ। কোনও ঘটনায় যোগদান এবং প্রতিক্রিয়া প্রকাশ। শিক্ষার ফল হল মত প্রকাশের ইচ্ছে বা সন্তোষজনক মত প্রকাশ (প্রেরণা)। |
উদাহরণ : শিক্ষাকক্ষে আলোচনায় অংশগ্রহণ, উপস্থাপনা দেওয়া, ধারণাটিকে সম্পূর্ণ বুঝতে নতুন ভাবধারা, চিন্তাধারা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করা, সুরক্ষা আইনের ধারণা ও প্রয়োগ। |
মূল্যায়ন : কোন ব্যক্তির মূল্য, নির্দিষ্ট কিছু বস্তু, ঘটনা, আচরণের সাথে যুক্ত। সরলতম ক্ষেত্রে মানিয়ে চলা থেকে জটিল ক্ষেত্রে নিষ্ঠা পর্যন্ত তার বিস্তার। অভ্যন্তরীণ নির্দিষ্ট কতকগুলি মূল্যবোধের উপর মূল্যায়ন নির্ভরশীল।এই মূল্যবোধের সূত্রগুলি শিক্ষার্থীদের আচরণে পরিলক্ষিত হয় এবং সহজেই চিহ্নিত করা যায়। |
উদাহরণ : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস প্রদর্শন করে। ব্যক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক বৈপরীত্য সম্পর্কে সহানুভূতিশীল (বিভিন্ন মূল্যবোধ)। সমস্যা সমাধানে সক্ষম। সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে পরিকল্পনা করা এবং সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে করা। কোনও বিষয় সম্পর্কে বিশেষ মতামত থাকলে তা পরিচালনকারীদের জানানো। |
সংগঠন : বিভিন্ন মূল্যবোধ, দ্বন্দ্ব নিবৃত্তি করার বিপরীতে সংগঠিত মূল্যবোধ এবং মূল্যবোধের একটি অনন্য পদ্ধতি গড়ে তোলা এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তুলনা, সম্পর্ক নির্ধারণ এবং সংযোজনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। |
উদাহরণ : স্বাধীন ও দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারে সমতা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোঝা। নিজের আচরণের দায় স্বীকার করা। সমস্যা সমাধানে পদ্ধতিগত পরিকল্পনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা। পেশাগত নৈতিকতা মেনে নেওয়া। ক্ষমতা, ইচ্ছা ও বিশ্বাসের সমন্বয়ে জীবনের পরিকল্পনা করা। সংস্থা, পরিবার ও নিজের চাহিদা পূরণের জন্য সময়কে ভাগ করে নেওয়া। |
অভ্যন্তরীণ (চারিত্রিক) মূল্যায়ন : মূল্যবোধ পদ্ধতি আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। আচরণ বিপথগামী, সঙ্গতিপূর্ণ, ভবিষ্যতবাণীমূলক এবং সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষার্থীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। ছাত্রদের মানিয়ে চলার সাধারণ ধারাগুলি (ব্যক্তিক, সামাজিক, অনুভূতিক) নির্দেশমূলক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। |
উদাহরণ : স্বাধীন ভাবে কাজ করার দ্বারা স্বনির্ভরতা প্রদর্শন। দলগত কাজে এক সঙ্গে কাজ করা (গোষ্ঠীবব্ধ কার্য প্রদর্শন)। সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট মনোভাব গ্রহণ। দৈনন্দিন কাজে নৈতিক দিক থেকে পেশাদারিত্বের অঙ্গীকার। নতুন প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত ও আচরণের পরিবর্তন। মানুষের রূপ দেখে নয়, দর্শন নয়, কাজ দেখে মান নির্ধারণ। |
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/3/2020