প্রকৃতিপ্রেমিকদের জন্য শুশুনিয়া ভিজ়িট ইজ় আ মাস্ট। ছাতনা রেল স্টেশন থেকে মাত্র ছ’ কিলোমিটার দূরে শুশুনিয়া আদতে ১৫০০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়, যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। রয়েছে প্রচুর সবুজ, ঝর্ণা আর এঁকেবেঁকে বয়ে চলা গন্ধেশ্বরী নদী। শুধু তাই নয়, রয়েছে ন্যাচারাল স্প্রিং-ও। যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালবাস, তাদের জন্য রয়েছে ট্রেকিং আর রক ক্লাইম্বিং-এর সুযোগ। আমাদের রাজ্যে এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হল শুশুনিয়া। যারা অত ঝঞ্ঝাটে যেতে অরাজি, তারা এমনিই ক্যাম্প করে থাকতে পার পাহাড়ের কোলে। সরকারি, বেসরকারি, থাকা খাওয়ার সবরকম ব্যবস্থাই আছে এখানে।
শুনিয়া পাহাড় একটি পরিচিত পুরাতাত্ত্বিক ও ফসিল ক্ষেত্র। এই অঞ্চলে সিংহ, জিরাফ, হায়না ও অন্যান্য অনেক জীবজন্তুর ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম শিলালিপিটি এই পাহাড়েই অবস্থিত। এখানে একটি ঝরনার মুখে একটি প্রাচীন এক পাথরের নরসিংহ মূর্তি দেখা যায়। শুশুনিয়া ক্যাম্পিং ও পর্বতারোহণের একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র। শুশুনিয়া গ্রামের পাথর খোদাই শিল্প খুবই বিখ্যাত। এখানে অনেক প্রস্তরযুগীয় প্রত্নসামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হয়, প্রাচীনকালে রাজা চন্দ্রবর্মণ এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন।
কাছেই বিহারীনাথ। বাঁকুড়া জেলার আরও এক পাহাড় -- ১৪৮০ ফুট উঁচু। মহুয়া, শাল, পিয়ালের একাকী মৌন এই বিহারীনাথে জেগে আছে অপরূপ আদিম নৈঃশব্দ। বর্ষায় সবুজ পাহাড়ের গায়ে খেলা করে মায়াবী মেঘ-রোদ্দুরের আলো-ছায়া। বিহারীনাথ থেকেই চোখে পড়ে শরপাহাড়ি আর দূরের দিগন্তরেখায় আঁকা আবছা পাঞ্চেত পাহাড়। পাহাড়ের নীচেই শিব মন্দির, লাগোয়া জলাশয়। বিহারীনাথের কাছেই রানিগঞ্জ। দূরত্ব ৩৫কিমি। বাঁকুড়া ৫০ কিমি দূরে। গাড়িতে বাঁকুড়া থেকে দেড় ঘন্টায় আর রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে এক ঘন্টার কমেই পৌঁছনো যায় এখানে। দু’জায়গা থেকেই ভাড়া গাড়ি পাওয়া যায়। তা ছাড়া রানিগঞ্জ থেকে ঠিক বিহারীনাথ পাহাড় পর্যন্ত বাস সার্ভিস আছে- তবে সংখ্যায় কম। বিহারীনাথ পৌঁছনোর সব চেয়ে সহজ উপায় আসানসোল থেকে আদ্রাগামী লোকাল ট্রেনে উঠে মধুকুণ্ডা নামা আর সেখান থেকে গাড়ি বা ট্রেকারে সরাসরি ২০ কিমি দূরে বিহারীনাথ। এখানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জায়গা আছে।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020