পুরনো দিঘা থেকে হালফিলের মন্দারমণি, এ সব ছেড়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতেই পারো কাঁথি থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরের জুনপুটে। টুরিস্টদের ভিড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে না, আর এখানকার ‘ভার্জিন’ সমুদ্র সৈকতই এখানকার মূল আকর্ষণ।
দিঘার নব জন্মের আগে পশ্চিমবঙ্গে সৈকতনগরী খুঁজে পেতে জখন জল্পনা কল্পনা চলছে তখনই দিঘার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে পাশাপাশি উঠে এসেছিল জুনপুটের নাম। তবে ভাটার সময় সমুদ্রের জল অনেকটাই সরে যায় জুনপুটে। তাই খারিজ হয়ে যায় জুনপুটের নাম। কিন্তু এ-ও তো এক বৈশিষ্ট্য জুনপুটের। ভাটায় জল নেমে যায় বহু দূর। কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ বেলাভূমির ব্যাপ্তি আরও বাড়ে। তাই জুনপুটের বৈচিত্র্যে কখনও ভাটা পড়েনি। জুনপুটেও ঝাউবীথি আছে, সৈকতে সন্ন্যাসী কাঁকড়ার পদচারণা আছে, পূর্ণিমার রাতে বিচে চাঁদের লুটোপুটি খেলা আছে। আর উপরি পাওনা হিসাবে আছে অসংখ্য মাছের দর্শন। কালে কালে সামুদ্রিক মাছের উপনিবেশ গড়ে উঠেছে জুনপুটে। গবেষণা চলছে মাছ নিয়ে। ফিশারিজ় বিভাগের একটি মিউজ়িয়াম আছ। ঝাউবীথির সীমানা ছুঁয়ে পায়ে পায়ে চলে যাওয়া যায় সেই মিউজিয়ামে। আছে একটা লাইটহাউসও। তবে শান্ত সমুদ্র দেখার তুলনায় সে সব কিছুই নয়। এখানকার বিচে সময় কাটিয়ে ক্লান্তি তাড়ানোর মতো ভালো আর কিছু হতেই পারে না। কাঁথি থেকে মাত্র ১০ কিমি। গাড়িতে যাওয়া যায়। বাসও আছে। থাকার জন্য ছোটখাটো হোটেল পাবে। খরচ থাকবে নাগালের মধ্যেই।
একের পর এক সৈকত আবিষ্কার হচ্ছে মেদিনীপুরে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন বাঁকিপুট। জুনপুটেরই লাগোয়া বলা যায়, মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। আর চরিত্রেও জুনপুটেরই দোসর। সেই ভাটা, বিশাল সৈকত, সৈকত জুড়ে কাঁকড়ার দাপাদাপি এবং ঝাউবীথিকা। কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট আছে --- এখন টুরিস্টদের তেমন নজর পড়েনি এখানে। তাই তাদের নজরে আসার আগেই ঘুরে নাও। সেই সৈকতে রাজ করবে তুমিই। কারণ শুনশান বেলাভূমিতে তোমার সঙ্গী শুধু কাঁকড়ার দল আর প্রচুর পাখি। থাকার মতো জায়গা এখন একটাই। আর কাছাকাছি ঘুরে নিতে পারো দরিয়াপুর লাইটহাউস ও কপালকুণ্ডলার মন্দির।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020