অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ক্রোমোজোম তত্ত্ব ও জিন-ম্যাপ

ক্রোমোজোম তত্ত্ব ও জিন-ম্যাপ

আবিষ্কার : ১৯১১ - ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ

বিজ্ঞানী : টমাস হান্ট মরগান

আলফ্রেড হেনরি স্টার্টভেন্ট

ক্রোমোজোম হচ্ছে বংশগতির প্রধান উপাদান।

ক্রোমোজোম নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজমে বিস্তৃত এবং সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। বিজ্ঞানী এডউআর্দ  স্ত্রাসবর্গের ১৮৭৫ সালে সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। প্রজাটির বৈশিষ্ট্যভেদে এর ডিপ্লয়েড সংখ্যা ২ থেকে ১৬০০ পর্যন্ত হতে পারে। ডিপ্লয়েড হলো দুই সেট ক্রোমোজোম, যার একসেট পিতা থেকে আসে এবং আর একসেট মাতা থেকে আসে। একটি ক্রোমোজোম সাধারণত ৩.৫ থেকে ৩০.০ মাইক্রন দৈর্ঘ্যে ও ০.২ থেকে ২.০ মাইক্রন প্রস্থে্ হয়ে থাকে (১ মাইক্রন=০.০০১ মিলিমিটার)। ক্রোমোজোমের কাজ হলো মাতাপিতা হতে জিন সন্তানসন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমোজোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুন্ন রাখে। এ কারণে ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌতভিত্তি (Physical basis of heredity) বলে আখ্যায়িত করা হয়।

বংশগতি ক্রোমোজোম তত্ত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময়ে জীববিজ্ঞানী টমাস হান্ট মরগান কখনও কখনও নজর করেছিলেন যে, অন্বিত প্রলক্ষণগুলি আলাদা হয়ে যায়। ইতিমধ্যে, একই ক্রোমোজোমের অন্যান্য প্রলক্ষণগুলি যত্সামান্য যোগাযোগ উদ্ঘাটন করে। মোরগান প্রস্তাব করলেন যে কোনও প্রকার ক্রোসিংওভার (ক্রসওভার) বা পুনর্মিলন (রিকম্বিনেশন) প্রক্রিয়া এই ফলকে ব্যাখ্যা করতে পারে। বিশেষ ভাবে তিনি প্রস্তাব রাখলেন যে, দু’টি সংযুক্ত ক্রোমোজোম ‘গণ্ডী পার হয়ে’ তথ্য দেওয়া-নেওয়া করতে পারে। আজ আমরা জানি যে পুনর্মিলন হয় মেয়োসিসের প্রথম দশায়। মরগান ভাবলেন ক্রোমোজোমে জিনগুলি হল যেন সুতোর উপর মুক্তো বসানো (১৮৯৯-এ ভাইনার বলেছিলেন); অর্থাৎ তারা প্রাকৃতিক বস্তু। ক্রোমোজোমে জিনগুলি যত কাছাকাছি থাকবে, তাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ তত বেশি হবে। একই ক্রোমোজমে জিনের অবস্থান একটা থেকে অন্যটির, যত বেশি হবে ততই পুনর্মিলনে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মরগান সঠিক ভাবেই সিদ্ধান্ত করলেন যে, দু’টি জিনের মধ্যে সংবদ্ধতার (লিঙ্কেজ) শক্তি নির্ভর করে ক্রোমোজোমে তাদের পরস্পরের মধ্যে দূরত্বের উপর।

মরগান দ্বারা থিসিস উপস্থাপনের পর পরই তাঁর ২২ বত্সর বয়সি সহকর্মী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলফ্রেড হেনরি স্টার্টভেন্ট ভাবলেন যে যদি ক্রসিং-ওভার-এর কম্পাঙ্ক দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, তা হলে ক্রোমোজোমে জিনের অবস্থানকে ম্যাপের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে। যে রকম ভাবনা, সেইমতো স্টার্টভেন্ট জিন-ম্যাপ তৈরি করে ফেললেন ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে।

সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/16/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate