অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জিন-তত্ত্ব এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন-তত্ত্বের সংশ্লেষণ

জিন-তত্ত্ব এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন-তত্ত্বের সংশ্লেষণ

আবিষ্কার : ১৯১৮ থেকে পরবর্তীকাল

বিজ্ঞানী : ফিশার, হলডেন, রাইট

জিন জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় কর্তৃক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় মূলত ডাইঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (আরএনএ) এর প্রসারিত অর্থে যা পলপেপটাইড বা একটি আরএনএ শৃঙ্খলকে গঠন করে। জীবন্ত প্রাণী জিনের ওপর নির্ভর করে, কারণ তারা সকল প্রোটিন এবং গঠনমূলক আরএনএ শৃঙ্খলকে স্বতন্ত্রিত করে। জিন প্রজাতির তথ্যধারণ করে এবং প্রাণীর কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমেই প্রজাতির গুণ অব্যাহত থাকে। সমস্ত জৈবিক বৈশিষ্ট্যধারণকারী প্রাণীর জিন আছে। জিন শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ জিনেসিস থেকে যার অর্থ "জন্ম" বা জিনোস থেকে যার অর্থ "অঙ্গ"।

চার বেস ধারণকারী একটি দ্বৈত সর্পিল ডিএনএর রাসায়নিক গঠন। বর্তমানে জিনের সংজ্ঞা হল "জিনোম পরস্পরার একটি চিহ্নিতকরণযোগ্য অঞ্চল, যা বংশগতির একক ধারণ করে এবং এটি নিয়ন্ত্রক অঞ্চল, প্রতিলিপি অঞ্চল, এবং অন্য কার্মিক ক্রম অঞ্চলের সাথে সম্পর্কযুক্ত"।

বড় জিনগুলো এক ধরণের নিউক্লিয়ার প্রতিলিপি যা ৫০০ কেবি (১ কেবি - ১,০০০ বেস পেয়ার) বা ক্রোমোজোমাল ডিএনএর সমান। বড় জিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় জিনটি ডিস্ট্রোফিন-এর জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ২.৩ এমবির চেয়ে বড়। পরীক্ষামূলক জীববিজ্ঞান এবং বিবর্তনের মধ্যে এবং একই ভাবে মেন্ডেলীয় জেনেটিক-তত্ত্ব, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং উত্তরাধিকার বিষয়ে ক্রোমোজোম-তত্ত্বের মধ্যে একটি গুরুতর যোগসূত্র এসেছিল টমাস মরগানের ফ্রুট ফ্লাই ‘ড্রোসোফিলা মেলানোগাস্ট’-এর উপর গবেষণা থেকে । উত্তরাধিকার বিষয়ে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা মেণ্ডেলীয় ক্রোমোজোম-তত্ত্ব ব্যক্ত করেন ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁদের গবেষণাপত্র ‘দ্য মেকানিজম অফ মেন্ডেলিয়ান ইনহেরিটেন্স’-এর মধ্য দিয়ে। এ সময়ে বহু জীববিজ্ঞানীই ক্রোমোজোমের মধ্যে জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন, তবে কী ভাবে এটি প্রাকৃতিক নির্বাচন ও ক্রমিক বিবর্তনের সঙ্গে সুসঙ্গত তা পরিষ্কার হয়নি ।

প্রশ্নটির আংশিক সমাধান দিলেন রোনাল্ড ফিশার ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর গবেষণাপত্র ‘দ্য কোরিলেশন বিটুইন রিলেটিভস অন দ্য সাপোজিশন অফ মেন্ডেলিয়ান ইনহেরিটেন্স’-এর মধ্য দিয়ে। ফিশার দিয়েছিলেন মেন্ডেলীয় উত্তরাধিকার তত্ত্বের একটি দৃঢ় পারিসাংখ্যিক মডেল যা মেন্ডেলীয় ও জীবমিতি, দু’টি ধারাকেই সন্তুষ্ট করেছিল। এই পত্রটিকে অনেক সময় বলা হয় আধুনিক সংশ্লেষণ-তত্ত্বের প্রথম ধাপ।

১৯১৮ থেকে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে মধ্যে বংশগতি বিজ্ঞানে গবেষণার সমারোহে যে বিপুল উৎসাহের সঞ্চার হয়েছিল তা থেকে বেরিয়ে এল যে মেন্ডেলিয়ান বংশগতি তত্ত্ব প্রাকৃতিক নির্বাচন (ন্যাচার‍্যাল সিলেকশন) এবং ক্রম-বিবর্তন (গ্র্যাজুয়াল এভোলিউশন), দু’-এর সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই সংশ্লেষণ একটা সম্মিলিত ভাবধারার সৃষ্টি করল বিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বিষয়ে। সৃষ্টি হল ‘আধুনিক বিবর্তনীয় সংশ্লেষণ’ (মডার্ন এভোলিউশনারি সিন্থেসিস) যা প্রদান করল বিবর্তনের এক বহু স্বীকৃত কারণ।

সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate