অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ডিএনএ : বংশগতির মূল উপাদান

ডিএনএ : বংশগতির মূল উপাদান

প্রকাশ : ১৯২৮; ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজ্ঞানী : এফ গ্রিফিথ, ও টি আভেরি, কলিন ম্যাকলিয়ড ও ম্যাকলিন ম্যাকার্টি

ডিএনএ হল বংশগতির মূল উপাদান। এটি এসেছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা থেকে। প্রথম ধারাবাহিক পরীক্ষাগুলি সম্পাদন করেন ব্রিটিশ রোগজীবাণুবিদ এফ গ্রিফিথ ১৯২৮ সালে, যেখানে ব্যবহৃত হয়েছিল ব্যাকটেরিয়াম ডাইপ্লোকোকাস নিউমোনিয়া যেটা স্তন্যপায়ীদের মধ্যে নিউমোনিয়া ব্যাধির সঞ্চার করে ।

গ্রিফিথ লক্ষ করেন যে এই ব্যাকটেরিয়াদের দু’ রকমের স্ট্রেন আছে : এস টাইপ, যেটা ক্যাপসুলে থাকা অবস্থায় একটি সংশ্লেষিত মাধ্যমে মসৃণ জীবাণু উপনিবেশ তৈরি করে; আর টাইপ, যেটি ক্যাপসুলে থাকে না এবং একটি সংশ্লেষিত মাধ্যমে অমসৃণ জীবাণু উপনিবেশ তৈরি করে।

যখন এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া একটি সুস্থ ইঁদুরের দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয়, ইঁদুরটির নিউমোনিয়া হয় এবং মৃত্যু হয়। তাই এস টাইপকে নাম দেওয়া হল বিষময় বা রোগ-উত্‍‌পন্নকারী ব্যাকটেরিয়া। অন্য দিকে, আর টাইপ ব্যাকটেরিয়ারা বিষময় নয়।

আবার, গরমে মৃত এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া একটি সুস্থ ইঁদুরের দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হলে ইঁদুররা সুস্থ থাকে, নিউমোনিয়া হয় না ।

আবার, গরমে মৃত এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া আর টাইপ সুস্থ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশ্রণ করে একটি সুস্থ ইঁদুরের দেহে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয়, ইঁদুরটির নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যু হয়।

আবার, মৃত ইঁদুরটির দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়াকে স্বতন্ত্র করলে এস টাইপ ও আর টাইপ দু’টি ব্যাকটেরিয়াই সুস্থ থাকে।

গ্রিফিথ এই উপসংহারে উপনীত হলেন যে, পরিব্যাক্তি ব্যতীত একটি অদ্ভুত ব্যাপারের জন্য উপরোক্ত ঘটনাগুলি ঘটছে। তিনি এর নাম দিলেন রূপান্তর (ট্রান্সফরমেশন)।

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে অন্য তিন বিজ্ঞানী, গ্রিফিথের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি পুনর্বার করলেন এবং দেখলেন তাপ দ্বারা মৃত এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এমন একটি ক্যাপসুলে যখন জ্যান্ত আর কোষগুলি মিশ্রিত করা হল এবং মিশ্রণকে অন্তর্নিক্ষেপ করা হয় একটি ইঁদুরের দেহে, অসুস্থ ইঁদুরটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

এর থেকে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, এস ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোজোম ট্রান্সফরমেশন ঘটায়, ক্যাপসুলের নয়। অতএব তাঁরা ঘোষণা করলেন যে ব্যাকটেরিয়ার ট্রান্সফরমেশন মৃত রোগমূলক জীবাণু (দাতা) থেকে ডিএনএ-র অংশ স্থানান্তরিত হয়েছে সক্রিয় ও সজীব ব্যাকটেরিয়াতে (গ্রাহক)। এর দ্বারা দাতা সেল-এর চরিত্র বোঝা যায়, তাই এর নাম দেওয়া হল ‘রিকম্বিন্যান্ট’।

মিশ্রণ

ফল

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া+ এস টাইপ ব্যাকটেরিয়ার শ্বেতসার

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া + এস টাইপ ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া + এস টাইপ ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ

এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া

আর টাইপ ব্যাকটেরিয়া+ এস টাইপ ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ
+ ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিজ

এস টাইপ ব্যাকটেরিয়া

আভেরি ও অন্যদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখায় যে ডিএনএ রূপান্তরের কার্যকারক।

সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/21/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate