অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ভিটামিন বি-এর গঠন

ভিটামিন বি-এর গঠন

আবিষ্কার : ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ

বিজ্ঞানী : রবার্ট উইলিয়ামস

ভিটামিন হলো খাদ্যের একটি অত্যাবশ্যকীয় জৈব রাসায়নিক উপাদান, যা শরীরের ভেতরে তৈরি হয় না এবং অবশ্যই খাবার থেকে গ্রহণ করতে হয়। আমাদের ধারণা, ভিটামিন শরীরে শক্তি জোগায়, ভিটামিন খেলে দুর্বলতা কমবে বা খারাপ স্বাস্থ্য ভালো হবে। আসলে ধারণাটা ঠিক নয়। ভিটামিন থেকে শরীরে সরাসরি কোনো শক্তি উৎপন্ন হয় না। তবে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য, যেমন শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাবারের বিপাক-প্রক্রিয়ায় ভিটামিন অংশ নেয়। ফলে দেহে কোনো একটি ভিটামিনের অভাব হলে সেই নির্দিষ্ট উপাদানের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। জৈব রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ভিটামিনকে সাধারণত জলে ও চর্বিতে দ্রবণীয় এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হচ্ছে এ, ডি, ই, কে। জলে দ্রবণীয় ভিটামিন বি এবং সি।

বেরিবেরি নামক অসুখ যা স্নায়ুর প্রদাহ ঘটায়, তার কারণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ভিটামিন বি বা থিয়ামাইন নামক ওষুধের কথা আমরা জানতে পারি। বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন বেরিবেরি ঘটায় এক শ্রেণির বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া। ঊনবিংশ শতাবদীর শেষ ভাগে খ্রিসটিয়ান আইকমান ও গারিট গ্রিঞ্জস নামে দু’জন ডাচ বিজ্ঞানীর গবেষণা অনুসরণ করে দেখা গেল বেরিবেরির কারণ হল খাদ্যে বিশেষ কোনও প্রাকৃতিক উপাদানের জন্য।

১৯১১ সালে লন্ডনের লিস্টার ইনস্টিটিউট-এ কাসিমির ফাঙ্ক যৌগটিকে কেলাসিত করবার চেষ্টা করেন। একে তিনি নাম দেন ‘ভিটামিন’ (ভাইটাল আমিন-এর সংক্ষেপ)। তিনি যে রাসায়নিকটি পৃথক করলেন দেখা গেল সেটা বেরিবেরি-রোধক নয়। অবশেষে ১৯২৬ সালে ডাচ কেমিস্ট বি সি পি ইয়ানসেন এবং ডব্লিউ ডোনাথ ধানের তুষ থেকে কেলাসিত করে একটি বস্তু বার করলেন যার নাম তাঁরা দিলেন অ্যানেইউরিন। তাঁরা বস্তুটির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌল, গন্ধক পরমাণু, লক্ষ করেননি যার ফলে প্রকাশিত তথ্য অনেক দিন ভ্রমের সৃষ্টি করেছিল।

ইয়ানসেন ও ডোনা-এর একই সময়ে আমেরিকায় রবার্ট উইলিয়ামস একই বিষয়ের উপর গবেষণা করছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ঐ বস্তুটিকে পৃথক করতে সক্ষম হলেন অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এক পদ্ধতির সাহায্যে - পেলেন এক আউন্সের এক – তৃতীয়াংশ সম্পদ এক টন চালের বাইরের ত্বক থেকে। পাশাপাশি তিনি রাসায়নিক গঠনের মধ্যে গন্ধক অণুর উপস্থিতি আবিষ্কার করলেন। বস্তুটির তিনি নাম দিলেন ‘থিয়ামাইন’, গন্ধকের (থিয়ল) উপস্থিতিকে মর্যাদা দিতে।

সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/26/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate